পরের বছরের আগে বিপিএল নয়, ডিপিএল নিয়ে আশাবাদী বিসিবি
প্রেসিডেন্টস কাপ, এরপর একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের পর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দেরি না করার পরিকল্পনা থাকলেও এ বছর বিপিএল আয়োজন করছে না বিসিবি। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে বিপিএল পরের বছর পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে, বলেছেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন।
২০১৯-২০ মৌসুমের ডিসেম্বর জানুয়ারিতে হয়েছিল সর্বশেষ বিপিএল, আগের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির সঙ্গে রেভিনিউ শেয়ারিং মডেলে বনিবনা না হওয়ায় বঙ্গবন্ধু বিপিএল নামে বিসিবিই নিজেদের দল নিয়েই আয়োজন করেছিল সে আসর। পরের বিপিএল শেষবারের মতো করেই হবে কিনা, সে সিদ্ধান্তও নেয়নি বিসিবি।
“এ বছর তো হচ্ছে না বিপিএল। সামনের বছর দেখা যাবে। অবস্থা এবং পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে সবকিছু। কোনো খেলাই আমরা বাদ দিতে চাচ্ছি না। আমরা সব খেলাই ফেরাতে চাচ্ছি। তবে অবশ্যই সবকিছু পরিস্থিতির উপরে। কারণ বিপিএলের কথা যখনই আসবে তখন বিদেশি ক্রিকেটার অবশ্যই থাকবে। একই সঙ্গে প্রোডাকশনের ব্যাপার আছে। এখন সেগুলো যদি আমরা করতে পারি বাংলাদেশে তাহলে ভালো, আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে ওখানে তো আরেকটু বড়”, রবিবার প্রেসিডেন্টস কাপের প্রথম ম্যাচের দিন সাংবাদিকদের বলেছেন পাপন।
প্রেসিডেন্টস কাপ দিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট মাঠে ফিরিয়েছে বিসিবি, এরপর তাদের পরিকল্পনায় আছে কর্পোরেট টি-টোয়েন্টি লিগ। সেটিতেও দলগুলি বিসিবিই ঠিক করে দিতে চায়। কমপক্ষে ৫টি দল এবং প্রতিটিতে অন্তত ১৫ জন করে ক্রিকেটার নিয়ে দলগুলি গড়ার সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন পাপন এর আগে।
“আসলে এই যে ভারসাম্যপূর্ণ দল তৈরি করা, তিনটা (প্রেসিডেন্টস কাপের), এটাই ছিলো আমাদের উদ্দেশ্য। আসলে উন্মুক্ত করে দিলে কোনো কোনো কর্পোরেট হাউজ হয়তো খুবই শক্তিশালী দল করে ফেলবে অন্যরা অনেক দুর্বল হবে। তাহলে আসল প্রতিযোগিতাটা হয়না। আমাদের আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের স্থানীয় ক্রিকেটারদের খেলা, (তাদের) দেখা এবং তাদের মান বাড়ানো। সেদিক দিয়ে আমরা চিন্তা করেছি সামনে যে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটা আছে সেটাও আমরা সেট করে দিব পাঁচটা দল, প্রায় একই ধরনের।”
সে টুর্নামেন্টে বিদেশী ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ এখনও নিশ্চিত করেনি বিসিবি। স্থানীয় ক্রিকেটারদের দল বিসিবি ঠিক করে দিলেও বিদেশী ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে ড্রাফট বা লটারি করা যায় কিনা, সে সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে এক রাউন্ডের পরই স্থগিত হয়ে যাওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ নিয়েও আশার কথা শুনিয়েছেন তিনি আবারও, “ডিপিএল কবে শুরু হবে সেটা এখন বলা মুশকিল। তবে এই টুর্নামেন্টটি (প্রেসিডেন্টস কাপ) যদি সফলভাবে করতে পারি। এরপর টি-টোয়েন্টি লিগটি করতে পারি এরপর ইনশাআল্লাহ একটা সময় বলতে পারবো। মানে এরপর আর দেরি করার কোনো কারণ নেই। যদি আমাদের এই দুটি টুর্নামেন্ট সফল হয় তাহলে এরপরেরটিতে চলে যাব।”
ডিপিএলের ক্ষেত্রে বায়ো-সিকিউর বলয় তৈরি করা মূল চ্যালেঞ্জ, বলেছেন তিনি, “আমার ধারণা আমরা করতে পারবো। এটুকু আমার বিশ্বাস রয়েছে। আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে এক জায়গায় রেখে ওই জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করে… সেই পরিবেশে কেউ ঢুকতে পারবে না, সেই জায়গায় ওদেরকে রেখে থাকা, খাওয়া, অনুশীলন, খেলা সব শেষ করানো- যেগুলো কিনা আমরা এখন করছি, টি-টোয়েন্টিতে করবো।
“মানে একটা হোটেলে তো এতজনকে রাখা যাবে না। তবে ক্লাবগুলো তো এত দামি হোটেলে রাখতেও পারবে না ক্রিকেটারদের। এটা নিয়ে কি করা যায় সেটা নিয়ে বলেছি। আপনারা জেনে যাবেন কয়েকদিনের মধ্যে। বিকেএসপি একটা ভালো অপশন হতে পারে এখানে। ওদেরকে আমরা যে দুটি অপশনের কথা বলেছি তার মধ্যে একটা হলো বিকেএসপি। এখন দেখতে হবে ওরা খালি আছে কিনা, সেখানে এতজনকে রাখা যাবে কিনা। আর তিনটি মাঠেই খেলা যাবে আশা করি। আমাদের তিনটি মাঠেই একসঙ্গে খেলা যাবে।”