• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    আগুয়েরোর গোলখরা কাটানোর রাতে পোর্তোকে হারাল সিটি

    আগুয়েরোর গোলখরা কাটানোর রাতে পোর্তোকে হারাল সিটি    

    চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের দশম চেষ্টায় জয় দিয়েই শুরু হয়েছে ম্যানচেস্টার সিটির আরেকটি মৌসুম। পোর্তোকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে পেপ গার্দিওলার দল। তবে ঘরের মাঠে শুরুতে পিছিয়েও পড়েছিল সিটি। এরপর সার্জিও আগুয়েরো, ইলকে গুন্দোয়ান আর ফেরান তোরেসের গোলে জয় নিশ্চিত হয়েছে সিটির। আগুয়েরো করেছিলেন সমতাসূচক গোলটি, ২৩০ দিন পর গোল পেয়েছেন তিনি।

    ম্যাচের ১৪ মিনিটে লুইস দিয়াজের দারুণ এক গোল এগিয়ে যায় পোর্তো। সিটি তখনও পর্যন্ত আক্রমণে মোটেই সুবিধা করতে পারছিল না। ডিফেন্ডার রুবেন দিয়াজের একটি দুর্বল পাস থেকে বল পেয়ে যান উরিবে। তার কাছ থেকেই বাম দিকে বল পেয়েছিলেন লুইস দিয়াজ। সেখান থেকে প্রান্ত ধরে মাঝামাঝি ঢুকে দৌড়ে বক্সের ভেতর দিয়াজ ঢুকে পড়েন কোনোরকম চ্যালেঞ্জ ছাড়াই। ডান পায়ের শটে এরপর এডারসনকেও পরাস্ত করেন তিনি। পোর্তোও তখন ২১ তম চেষ্টায় প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে।


    পোর্তোই অবশ্য এরপর সিটিকে ম্যাচে ফেরার সুযোগ করে দেয়। পোর্তো অধিনায়ক পেপে বক্সের ভেতর রাহিম স্টার্লিংকে ফাউল করলে রেফারি বাজান পেনাল্টির বাঁশি। যদিও রেফারির সিদ্ধান্তে তুমুল অসোন্তোষ ছিল পোর্তো খেলোয়াড়দের। ওই আক্রমণেই গুন্দোয়ানের শট বারপোস্টে লেগে ফেরত আসে। পোর্তোর দাবি ছিল এরপর গুন্দোয়ান পোর্তো গোলরক্ষক অগাস্টিন মার্চেসিনের হাতে পাড়া দিয়েছেন। রেফারি অবশ্য সেদিকে নজর দেননি, পেনাল্টির সিদ্ধান্তই বহাল রাখেন তিনি।

    সফল স্পট কিক থেকে আগুয়েরো পেয়ে যান চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের ৪০ তম গোল, সঙ্গে ভাঙেন গোলখরাও। গেল মৌসুমে বেশিরভাগ সময়ই চোটের কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। শেষ ম্যাচে আর্সেনালের বিপক্ষে ফিরেছিলেন। পোর্তোর বিপক্ষে গোল করে ২৩০ দিনের খরা কাটিয়েছেন আগুয়েরো। আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার ক্যারিয়ারে এটিই ছিল দীর্ঘতম গোলখরা।  সমতায় ফেরার পরও অবশ্য সিটিকে স্বস্তিতে থাকতে দেয়নি পোর্তো। বিরতির আগে কাইল ওয়াকার সার্জিও ওলিভেরার শট ক্লিয়ার করেন গোললাইন থেকে।

    দ্বিতীয়ার্ধে পোর্তো সেভাবে আর আক্রমণে উঠতে পারেনি। সিটিও সুযোগ পেয়েছে হাতে গোণা অল্প কয়েকবার। গুন্দোয়ানের একটি দারুণ ফ্রি-কিক পথে দেখিয়েছিল সিটিকে। ৬৫ মিনিটে পোর্তোর দেয়ালের ওপর দিয়ে বল পোর্তোর জালে পাঠান গুন্দোয়ার। সিটিও তখন ম্যাচে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে। ৭৩ মিনিটে আগুয়েরোর বদলি হিসেবে নামা ফেরান তোরেস এরপর জয় নিশ্চিত করেন। ফিল ফোডেনের সঙ্গে ওয়ান টু করে বক্সের ভেতর থেকে গোল করেন স্প্যানিস ফরোয়ার্ড।

    জয়ের পরও অবশ্য গার্দিওলার দুশ্চিন্তা কমেনি। ৮৫ মিনিটে মাঠে নেমেছিলেন ফার্ন্দিনহো। কিছুক্ষণ পরই চোট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে। সামনের টাইট শিডিউলের কথা মাথায় রাখলে ফার্নান্দিনহো হারিয়ে ফেললে সেটা নতুন করে ঝামেলা বাড়াবে সিটির এলোমেলো রক্ষণে। গ্রুপের অন্য ম্যাচে আহমেদ হাসানের যোগ করা সময়ের গোলে মার্শেইকে ১-০ তে হারিয়েছে অলিম্পিয়াকোস।

    গ্রুপ 'বি'-তে রিয়াল মাদ্রিদের হারের সুযোগ কাজে লাগাতে পারনি ইন্টার মিলান। বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখের সঙ্গে ঘরের মাঠে ২-২ গোলে ড্র করে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে তারা। দুই গোলই করেছেন রোমেলু লুকাকু। ৪৮ মিনিটে তার গোল থেকে এগিয়ে গিয়েছিল ইন্টার। ৬৩ আর ৮৪ মিনিটে দুই গোল হজম করে আবার পিছিয়েও পড়েছিল তারা। পরে ৯০ মিনিটে লুকাকু আরেক গোল করে দলের হার এড়িয়েছেন।

    ইন্টার জয় না পেলেও গ্রুপ 'ডি'-তে ইতালির আরেক ক্লাব আটালান্টা শুরু করেছে বড় জয় দিয়ে। ক্রিশ্চিয়ান জাপাতা, আলেহান্দ্রো গোমেজ, লুইস মুরিয়েল, আলিস্কি মিরানচুকের গোলে ৪-০ ব্যবধানে মিদজিলান্ডকে হারিয়েছে তারা। ইতালির ৪ ক্লাবের ভেতর শুরু ইন্টারই জয় দিয়ে শুরু করতে পারেনি এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ।