• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    কিক অফের আগে : তিনে তিন হবে বার্সেলোনা-ম্যান ইউনাইটেডের?

    কিক অফের আগে : তিনে তিন হবে বার্সেলোনা-ম্যান ইউনাইটেডের?    

    কবে, কখন

    ইস্তাম্বুল-ম্যান ইউনাইটেড

    রাত ১১.৫৫

    নিজেদের ইতিহাসে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড প্রথমবারের মতো ইস্তাম্বুল বাসাকসেহিরের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। গ্রুপ এইচে দুই দলের অবস্থান বিপরীতমুখী, পিএসজি এবং লাইপজিগের বিপক্ষে জিতে গ্রুপের শীর্ষস্থান এখন ম্যান ইউনাইটেডের দখলে। অন্যদিকে প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ইস্তাম্বুল এখন তলানিতে। ম্যান ইউনাইটেডের বিপক্ষে এবার খেলবে ইস্তাম্বুলের মাঠে গিয়ে, অ্যাওয়ে ম্যাচ হলেও শক্তিমত্তা, ফর্ম সবদিক দিয়ে অনেক এগিয়ে থাকায় নিশ্চিত ফেবারিট ম্যান ইউনাইটেড।

    পূর্ণ ফিট মিডফিল্ডকে অদল-বদল করে খেলাচ্ছেন ওলে গানার সোলশার। প্রথম দুই ম্যাচে সোলশারের প্রতিটি ফরমেশন এবং একাদশ নির্বাচন কাজে দিয়েছে। অপেক্ষাকৃত দুর্বল ইস্তাম্বুলের বিপক্ষে খুব একটা পরিবর্তন সোলশার আনবেন না বলেই ধরে নেওয়া যায়। স্কোয়াডের তরুণ খেলোয়াড়দের সুযোগ করে দিতে পারেন এই ম্যাচে। সেক্ষেত্রে পিএসজির বিপক্ষে দারুণ পারফর্ম করা অ্যাক্সেল তুয়ানজেবে মাগুয়ের-লিন্ডেলফের সঙ্গে থ্রি ম্যান ব্যাকলাইনে ফিরে আসতে পারেন এই ম্যাচে।

    কবে, কখন

    বার্সেলোনা-ডিনামো কিয়েভ

    রাত ২.০০

    লা লিগায় ২০০২-০৩ মৌসুমের পর এবার সবচেয়ে খারাপ শুরু করেছে বার্সেলোনা। তবে রোনাল্ড কোমানের ইউরোপে প্রথম দুই ম্যাচের দুটিতেই জিতেছে তারা। হাঙ্গেরির ফেরেঙ্কভারোসের পর রোনালদোবিহীন জুভেন্টাসকেও হারিয়ে দিয়েছে তারা। ম্যান ইউনাইটেডের মতো বার্সেলোনাও ইউরোপে ফর্মের ঝলক দেখাচ্ছে।

    ন্যু ক্যাম্পে ডিনামো কিয়েভের বিপক্ষে ম্যাচটি সহজই হওয়ার কথা স্বাগতিকদের জন্য। কারণ কিয়েভের ছয় খেলোয়াড় এবং পাঁচ স্টাফ তথা মোট ১১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে দলের বাইরে রয়েছেন। এমন অবস্থায় দলের মাঝে করোনা আতঙ্ক রয়েছে। এতে করে বার্সেলোনার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে মনস্তাত্ত্বিকভাবে কিয়েভ কোন পর্যায়ে আছে সেটা দেখাটা জরুরী। এই ম্যাচে একাদশ এবং ট্যাকটিকাল বিষয়গুলো নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করার সুযোগ রয়েছে কোমানের সামনে।

    কবে, কখন

    লাইপজিগ-পিএসজি

    রাত ২.০০

    গ্রুপ এইচে পিএসজি এবং লাইপজিগ ম্যান ইউনাইটেডের কাছে হেরে গেছে। পিএসজি তাও লড়াই করে হারলেও লাইপজিগ তো সোলশারের দলের কাছে রীতিমত উড়ে গেছে। আর তাই গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানটি নিয়েই আপাতত লড়তে হবে লাইপজিগ এবং পিএসজিকে।

    গত আসরের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল। সেই ম্যাচে লাইপজিগ দারুণ ফর্ম নিয়ে আসলেও শেষ পর্যন্ত রানারআপ পিএসজির কাছে ৩-০ গোলে হেরে গিয়েছিল। এই ম্যাচটিকে তাই ঘরের মাঠে প্রতিশোধের ম্যাচ হিসেবেও দেখতে পারে ইউলিয়ান নাগেলসমানের দল।

    ওল্ড ট্রাফোর্ডে লাইপজিগের রক্ষণকে ছন্নছাড়া মনে হয়েছে। পিএসজিতে এই ম্যাচে নেইমার-ইকার্দির সঙ্গে সাথে থাকবেন না এমবাপেও। সেদিক দিয়ে খানিকটা স্বস্তি পেতে পারে লাইপজিগ।