• বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ ২০২০
  • " />

     

    সাকিবের ফিটনেস বিসিবির 'স্ট্যান্ডার্ডের কাছেই', বলছেন প্রধান নির্বাচক

    সাকিবের ফিটনেস বিসিবির 'স্ট্যান্ডার্ডের কাছেই', বলছেন প্রধান নির্বাচক    

    ক্রিকেটে ফেরার আগে বুধবার ফিটনেস টেস্ট দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের প্লেয়ারস ড্রাফটের আগে প্রাথমিকভাবে সোমবার এ পরীক্ষা দেওয়ার কথা থাকলেও সেদিন হয়নি সেটি।

    সাকিবের ফিটনেস টেস্ট নিয়ে ‘ট্রেইনাররা যথেষ্ট সন্তুষ্ট’, তার বিপ টেস্টের স্কোর 'স্ট্যান্ডার্ডের একদম কাছেই', এমন জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।কোভিড-১৯ মহামারির পর বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ দিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট ফিরেছিল, এরপর বিপিএল স্থগিত বলে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট করছে বিসিবি। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর সে টুর্নামেন্ট খেলবেন সাকিব, আগেই নিশ্চিত করা হয়েছিল। 

    বিসিবির তালিকা অনুযায়ী, সোমবার ফিটনেস টেস্ট হওয়ার কথা ছিল সাকিবের। তবে সেদিন যাদের সঙ্গে তিনি টেস্ট দেবেন, তাদের কোভিড-১৯ টেস্ট করানো ছিল না এবং প্রস্তুতির জন্য আরও সময় দরকার বলে সেটি হয়নি। এমনিতে বিসিবির তালিকা অনুযায়ী, ১০ নভেম্বরই সবার ফিটনেস শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। 

    এই টেস্টের পর বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ড্রাফটের তালিকা প্রকাশ করেছে বিসিবি, যেখানে আছেন সব মিলিয়ে ১৫৭ জন ক্রিকেটার। যারা ফিটনেস টেস্ট উৎরাতে পারেননি, তারা নেই এ তালিকায়। সিনিয়র ক্রিকেটারদের মাঝে সোহাগ গাজি, নাসির হোসেনরা নেই তাই। 

    “সাকিবও আজকে দিয়েছে। আমাদের স্ট্যান্ডার্ডের একদম কাছেই আছে (ওর ফিটনেস)”, বিসিবির পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন নান্নু। “আমাদের ট্রেইনাররা যথেষ্ট সন্তুষ্ট ওর ফিটনেস নিয়ে। তো আমি আশা করছি যে খেলোয়াড়রা ক্রমাগত এই উন্নতির মধ্যেই থাকবে ফিটনেসে, সবার পারফরম্যান্সে যথেষ্ট উন্নতি হবে।”
     

     

     

    এবার ফিটনেস টেস্টের মানদন্ড হিসেবে ঠিক করা বিপ টেস্টে কমপক্ষে ১১ তুলতে হবে, এমন জানিয়েছিলেন ক্রিকেটাররা। সাধারণত ঘরোয়া ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষা করে দেখতে এই বিপ টেস্টের ব্যবস্থা করে বিসিবি।  

    নান্নু বলেছেন, প্রায় ৯৮ শতাংশ ক্রিকেটারের অবস্থাই ভাল, “আজকে আমরা ফিটনেস টেস্ট শেষ করেছি। ড্রাফটে যাদের নাম দিয়েছিলাম, সবারই ফিটনেস টেস্ট নেওয়া হয়েছে। এবং কিছু কিছু খেলোয়াড়ের ফিটনেস স্ট্যান্ডার্ড খুবই খারাপ গিয়েছে। ওদেরকে ড্রাফটে বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৯৮% খেলোয়াড়ই কিন্তু ভালো স্ট্যান্ডার্ডে আছে যেটা আমরা ওদের বেঞ্চমার্ক করে দিয়েছিলাম।”

    সাকিব ফিরলেও এ টুর্নামেন্টে এখনও নিশ্চিত নন মাশরাফি বিন মুর্তজা। কোভিড-১৯ থেকে সেরে ওঠার পর হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়েছেন মাশরাফি, ড্রাফটেও নাম নেই তার।

    “মাশরাফির ব্যাপারে একটা চিন্তা আছে, ওর হ্যামস্ট্রিং চোট আছে”, বলেছেন নান্নু। “আশা করছি ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ও ‘অ্যাভেইলঅ্যাবল’ হবে। তখন যে কোনো দল চাইলে ওকে দেওয়া যাবে। এবং আমি আশা করছি খুব তাড়াতারি ও খেলার মধ্যে ফিরে আসবে। একের বেশি কোনো দল যদি ওকে চায় সেক্ষেত্রে লটারি করে দেওয়া হবে এবং যদি একটা দলই চায় তাহলে সরাসরি সেই দলে খেলতে পারবে।”

     
    *এ সংবাদে শুরুতে সাকিবের বিপ টেস্ট স্কোর ১৩.৭ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর কথার পর সেটি আপডেট করা হয়েছে।