• বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ ২০২০
  • " />

     

    পিতৃহারা শহীদুলকেই শিরোপা উৎসর্গ করল খুলনা

    পিতৃহারা শহীদুলকেই শিরোপা উৎসর্গ করল খুলনা    

    শেষ বল কড়ার পরেই খুলনার ডাগআউট থেকে সবাই দে ছুট মাঠে। মাহমুদউল্লাহকে ঘাড়ে তুলে নিলেন বিজয়রা, বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ জয়ের উৎসব শুরু করে দিয়েছে খুলনা। তবে শেষ ওভারটি যিনি করেছেন,  তার জন্য আজকের ম্যাচটা অন্যরকম। মাত্র চারদিন আগে বাবাকে হারিয়েছেন, সেই শোক বুকে নিয়ে ফাইনালে দুর্দান্ত একটা ফাইনাল ওভার করলেন শহীদুল ইসলাম। ম্যাচ শেষে মাশরাফি বিন মুর্তজা জানালেন, জয়টা শহীদুলকেই উৎসর্গ করেছেন।

    বাবা অসুস্থ ছলেন আগেই, সেই খবর আগেই পেয়েছিলেন শহীদুল। কিন্তু করোনাভহাইরাসের জন্য দল বায়ো-বাবলে থাকায় বাবাকে দেখতে যেতে পারেননি। এর মধ্যেই গত রোব বারে খবর পেলেন, বাবা আর নেই। এরপর দল থেকে অনুমতি পেলেন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বাবাকে শেষ দেখা দেখতে যাওয়া্র।

     

    কিন্তু বাবল থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় শহীদুল আর ফিরতে পারবেন কি না সেটা নিয়ে সংশয় ছিল। এর মধ্যে কোয়ালিফায়ারে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ম্যাচটা মিস করলেন, সেই ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠল খুলনা। ফাইনালে নেই সাকিব আল হাসানও, শহীদুলকে আবার করোনা-টেস্ট করাতে হলো দুইবার। নেগেটিভ রিপোর্ট আসার পর ফাইনালের আগে আবার যোগ দিলেন দলের সঙ্গে।

    ফাইনালে প্রথম ৩ ওভারে ২৩ রান দিলেন শহীদুল, তখনও উইকেট পাননি। ফাইনাল ওভারটা করার জন্য মাহমুদউল্লাহ ভরসা রাখলেন তার ওপরেই। শেষ ওভারে চট্টগ্রামের দরকার ১৬ রান, ক্রিজে দুই সৈকত। প্রথম দুই বলইয় ইয়র্কার লেংথে, চট্টগ্রাম নিতে পারল ৩ রান। পরের বলটা ফুল টস, উড়িয়ে মারতে লং অনে ক্যাচ দিলেন মোসাদ্দেক। ক্রিজে সৈকত আলী, এর মধ্যেই যিনি চারটি ছয় মেরেছেন। কিন্তু চকতুর্থ বলটা ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে খেলতে গিয়ে বোল্ড। ম্যাচও ওখানেই শেষ প্রায়, শেষ বলে ছয় মারার আগেই আসলে জিতে গেছে খুলনা। সব মিলে টুর্নামেন্টে ১৫ উইকেট নিয়েছেন শহীদুল। অন্তত ২৫ ওভার বল করেছেন, এমন বোলারদের মধ্যে শহীদুলের চেয়ে ভালো স্ট্রাইক রেট আছে শুধু মোস্তাফিজের। 

    ম্যাচ শেষে মাশরাফি বিন মুর্তজা তাই মনে করিয়ে দিলেন শহীদুলের কথা। পুরো দল আজ তার জন্যই নেমেছে, তাই এই শিরোপাটা তাকেই উৎসর্গ করেছে পুরো খুলনা।