কেমন হলো বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের প্লেয়ারস ড্রাফট?
গ্রেড ‘এ’, 'বি'
সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ খেলবেন একই দলে-- জেমকন খুলনায়। বেক্সিমকো ঢাকায় মুশফিকুর রহিম ও ফরচুন বরিশালে তামিম ইকবাল। মোস্তাফিজুর রহমান গাজি গ্রুপ চট্টগ্রামে। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের প্লেয়ারস ড্রাফটের ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকা পাঁচজন ক্রিকেটারের দল ভাগ হয়েছে এভাবে। একমাত্র মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী ‘এ’ ক্যাটাগরির কাউকে নেয়নি।
ড্রাফটে সবার আগে মুশফিককে ডেকেছিল ঢাকা। নিজেদের প্রথম পছন্দ হিসেবে সাইফউদ্দিনকে বি ক্যাটাগরি থেকে নিয়েছিল রাজশাহী।
বি গ্রেডের মাঝে লিটন দাস ও সৌম্য সরকার খেলবেন চট্টগ্রামে, রুবেল হোসেন ঢাকায়। ্তাসকিন আহমেদ ও আফিফ হোসেন বরিশালে। এছাড়া প্রেসিডেন্টস কাপে আলো ছড়ানো ইরফান শুক্কুর বরিশালে, মাহাদি হাসান খেলবেন রাজশাহীতে।
কে কতো খরচ করলো
বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি হোটেলে শেষ হয়েছে বিসিবির নতুন এই টুর্নামেন্টের ড্রাফট। ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’, ‘ডি’-- এই চারটি ক্যাটাগরি থেকে প্রতিটি দল নিয়েছে ১৬ জন করে মোট ৮০ জন ক্রিকেটার। ১৫৭ জন ক্রিকেটারের বাকিরা দল পাননি। দল পাওয়া কোনো ক্রিকেটার চোটে পড়লে, পারিবারিক অথবা শারীরিক কারণে খেলতে না পারলেই শুধু সেই গ্রেড অথবা নিচের গ্রেডের কাউকে নিতে পারবে দলগুলি।
প্রতিটি স্পন্সর বিসিবিকে ২ কোটি করে টাকা দিয়েছে দল কেনার জন্য। খেলোয়াড় কেনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা খরচ করেছে জেমকন খুলনা। ফরচুন বরিশাল ও গাজি গ্রুপ চট্টগ্রাম খরচ করেছে ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা করে, বেক্সিমকো ঢাকা ১ কোটি ৩ লাখ, এবং সবচেয়ে কম ১ কোটি ২ লাখ খরচ করেছে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী।
চারটি ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটাররা পাবেন যথাক্রমে ১৫, ১০, ৬ ও ৪ লাখ টাকা করে।
বিসিবির ‘বড়’ ধাপ, বড় চ্যালেঞ্জ
প্রেসিডেন্টস কাপের পর এটি হবে কোভিড-১৯ মহামারির পর বিসিবির দ্বিতীয় টুর্নামেন্ট। এ বছর বিপিএল স্থগিত করা হয়েছে, মার্চের পর এক রাউন্ড শেষে বন্ধ হয়ে গেছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগও। ঘরোয়া ক্রিকেট ফেরানোর পথে এটি হচ্ছে বিসিবির সবচেয়ে বড় ধাপ এখন পর্যন্ত।
দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা এখনও কমেনি সেভাবে। এ সপ্তাহেই জাতীয় দলের সেট-আপের তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন এ ভাইরাসে-- টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ, টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক ও জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার। মাহমুদউল্লাহ ও মুমিনুল আছেন দুটি দলে।
প্রেসিডেন্টস কাপের মতো এ টুর্নামেন্টও বিসিবি করবে বায়ো-সিকিউর বলয়ে। নিশ্চিভাবেই আগের চেয়ে বেশ বড় কলেবর এটির, চ্যালেঞ্জটাও তাই বড়।
যারা দল পাননি
এক স্কোয়াডে সর্বোচ্চ ১৬ জন করে ৫টি দল নিয়েছে ৮০ জন ক্রিকেটারকে।
‘এ’, ‘বি’ এবং ‘সি’-- এ তিন ক্যাটাগরিতে থাকা ৪৯ জন ক্রিকেটারের প্রত্যেকেই দল পেয়েছেন। মানে ‘ডি’ ক্যাটাগরির ১০৮ জনের মাঝে শিঁকে ছিঁড়েছে মাত্র ৩১ জনের।
এ টুর্নামেন্টের জন্য ১১৩ জন ক্রিকেটারের ফিটনেস টেস্ট নিয়েছিল বিসিবি, সেখানে উত্তীর্ণ ক্রিকেটারদেরই শুধু নাম ছিল প্লেয়ারস ড্রাফটে।
এক স্কোয়াডে সর্বোচ্চ ১৬ জন বেঁধে দেওয়ার পর দল পাননি প্রথম শ্রেণির বেশ কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার-- শাহরিয়ার নাফীস, জুনাইদ সিদ্দিক, এনামুল হক জুনিয়র, নাঈম ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, নাদিফ চৌধুরিরা।
তবে আগেভাগেই দল পেয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল।
দল পাননি প্রেসিডেন্টস কাপে খেলা লেগস্পিনার মিনহাজুল আবেদিন আফ্রিদিও।
এখানেও আছেন তারা
অ-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের বেশ কয়েকজন খেলেছিলেন বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে, এখানেও প্রায় প্রতিটি দলেই আছেন তারা। ঢাকায় খেলবেন তিনজন- তানজিদ হাসান তামিম, শাহাদত হোসেন দিপু ও অধিনায়ক আকবর আলি। খুলনা নিয়েছে শামিম পাটোয়ারিকে। চট্টগ্রামেও আছেন তিনজন-- বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল ইসলামের সঙ্গে সেখানে খেলবেন পেসার শরিফুল ইসলাম ও ব্যাটসম্যান মাহমুদুল হাসান জয়। আর বরিশালে আছেন দুজন-- তৌহিদ হৃদয় ও পারভেজ হোসেন ইমন। এদের মাঝে শুধু শামিম প্রেসিডেন্টস কাপে ছিলেন না।
এছাড়া প্রেসিডেন্টস কাপে উজ্জ্বল তরুণ পেসার সুমন খান, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনও খেলবেন।
কবে হবে এ টুর্নামেন্ট?
এখনও সূচি নিশ্চিত করেনি বিসিবি। তবে নভেম্বরের তৃতীয় অথবা শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হতে পারে এ টুর্নামেন্ট। বর্তমানে পিএসএলের প্লে-অফে খেলতে যাওয়া তামিম ইকবাল পাকিস্তান থেকে ফিরে যোগ দেবেন তার দলের সঙ্গে।
প্রেসিডেন্টস কাপের মতো এ টুর্নামেন্টও হওয়ার কথা বায়ো-সিকিউর বলয়ের মাঝে, যেটির সূচি এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি।