'প্লেয়ারস ড্রাফটে ভুল করা' বরিশালকে নিয়ে 'আউট অফ দ্য বক্স' চিন্তা করতে চান তামিম
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের প্লেয়ারস ড্রাফটে ফরচুন বরিশাল ভুল করেছে, এমন উল্লেখ করে অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেছেন, তাদেরকে এখন ‘আউট অফ দ্য বক্স’ চিন্তা করতে হবে। তবে প্রেসিডেন্টস কাপে যেমন ইরফান শুক্কুরের মতো ক্রিকেটার আলো কেড়েছেন, তেমন কেউ এখানেও বেরিয়ে আসতে পারেন বলে ধারণা তার। ‘পূর্বপরিকল্পিত’ উপায়ে না হলেও ‘ফিরে আসা’ বরিশালকে নিয়ে আশা দেখেন তিনি।
“কোনো সন্দেহ নেই আমরা ড্রাফটে কিছু ভুল করেছি। এটাতে কোনো সন্দেহ নাই”, টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সাংবাদিকদের বলেছেন তামিম। “আমরা অবশ্যই ড্রাফটে কিছু ভুল করেছি দেখেই এই কথাটা উঠছে। এটার সঙ্গে এটাও বুঝতে হবে- ক্রিকেট ইজ অ্যান আনসারটেইন গেইম এখন হয়তো। আমার দলে এমন কিছু ক্রিকেটার আছে যাদের আমরা হয়তো কেউ গোণায় ধরছি করছি না। কিন্তু তাদের সবারই দারুণ টুর্নামেন্ট কাটতে পারে। যেকোনো কিছু হতে পারে। আমি আশা করবো যে... আপনি প্রেসিডেন্টস কাপে দেখেন... দুই-তিন জন খেলোয়াড়কে আমরা কেউই আশা করি নাই যে ওরা এত ভালো খেলবে।
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ-- কোন দলে কারা
“... পরে কিন্তু তাদের নিয়েই সবচেয়ে বেশি আলোচনা ছিল। আমি এটাই আশা করি ওই রকম লাইম-লাইটে নাই, তারা ওই রকম পারফরম্যান্স করবে। করে যতটুকু দলকে দেওয়া দরকার তার চেয়ে বেশি দিতে হবে। আমার যে স্কোয়াডটা আছে-- আমাদের যদি সফল হতে হয়-- ‘আউট অফ দ্য বক্স ক্রিকেট’ খেলতে হবে। সবসময় যেমন পরিকল্পনা করে খেলি, সেভাবে জেতাটা কঠিন হবে। আমাদের যে ‘রিসোর্স’ আছে, যদি আমরা একটু ‘আউট অফ দ্য বক্স চিন্তা’ (করি), অন্য দলকে চমকে দিতে পারি-- তাহলে অবশ্যই সম্ভব। আমি আশা করি যে দুই তিনজকে নিয়ে আশা করছি না তারা যদি ভালো খেলতে পারে। অনেক কিছুই হতে পারে।”
"ইরফান খুব ভালো একটা টুর্নামেন্ট কাটিয়েছে।"
প্লেয়ারস ড্রাফটের সময় তামিম ছিলেন পিএসএলের প্লে-অফ খেলতে। গ্রেড ‘এ’ থেকে তামিমকে নেওয়ার বাকি গ্রেডগুলি কাভার করার পর যে চিত্র দাঁড়িয়েছে-- তাতে অভিজ্ঞতায় বেশ পিছিয়ে বরিশাল। তবে ইরফান শুক্কুরের সঙ্গে আছেন আফিফ হোসেন, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, তৌহিদ হৃদয় পারভেজ হোসেন ইমন, স্পিনে মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, পেসে আবু জায়েদ রাহির সঙ্গে সুমন খান, কামরুল ইসলাম রাব্বি। তামিমের পর এ দলে সবচেয়ে অভিজ্ঞ বলতে হবে দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা সোহরাওয়ার্দি শুভকেই।
“ইরফান খুব ভালো একটা টুর্নামেন্ট কাটিয়েছে। তৌহিদ হৃদয়কে আমি টি-টোয়েন্টিতে দেখার অপেক্ষায় আছি। কিন্তু সে ভালো খেলোয়াড়। ওদের দায়িত্ব নিতে হবে আমার এমন একটা দল যে সিনিয়র জুনিয়র নাই। আমার দলে যদি সিনিয়র জুনিয়র নিয়ে চিন্তা করেন, হয়তো আমিই একমাত্র অভিজ্ঞ। যদি আপনি সফল দল হতে চান, বিশেষত এই দল (নিয়ে)-- আমি তেরো বছর খেলেছি অন্যরা দুই বছর খেলেছে এটা কোনো ব্যাপার না।
“তাদের করতে হবে। আমি শুরুতেই যেটা বললাম আউট অফ দ্য বক্স চিন্তা করতে হবে। না হলে এটা আমাদের জন্য কঠিন হবে। তরুণ যারা আছে আফিফ, হৃদয়, ইরফান তাদের ‘আউট অফ স্কিল’ খেলতে হবে।”
এক্ষেত্রে তাকে যে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে, তামিম সেটি মানছেন। সঙ্গে বলছেন, তার ভূমিকাটাও ভিন্ন হতে পারে ম্যাচভেদে, “অবশ্যই আমার নিজের পারফরম্যান্স তো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমি যদি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারি। অধিনায়কত্বের ব্যাপারটা বাদ দেন। আমি যদি ব্যাটসম্যান হিসেবে রান করতে পারি তাদের অবশ্যই সেটা অনুপ্রেরণা দিবে। হয়তো বা আমার টুর্নামেন্টে আলাদা আলাদা ‘রোল প্লে’ করতে হবে। কারণ আমি যেটা বললাম আপনার যদি রিসোর্স থাকে ওই রকম তাহলে আপনি অনেক রকম পরিকল্পনা করতে পারেন। যদি রিসোর্সটা কম থাকে তাহলে আপনার ওই রকমভাবে খেলতে হবে।”
২৪ নভেম্বর প্রথম দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ-সাকিব আল হাসানের জেমকন খুলনার মুখোমুখি হবে তামিমের ফরচুন বরিশাল। উইকেট, কন্ডিশন বুঝার ক্ষেত্রে অনেক ব্যাপার থাকে বলে প্রথম ম্যাচ সবসময়ই ‘ট্রিকি’, মনে করেন তামিম। আর পিএসএলের খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে বলেছেন, সেটি তাকে খেলার মধ্যে রেখেছে, তবে সে টুর্নামেন্ট খেলে আসার কারণে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকবেন, সেটি মনে করেন না।
“তিনটা কম্পিটিটিভ ম্যাচ খেলা কোয়ালিটি বোলিংয়ের বিপক্ষে অবশ্যই প্লাস পয়েন্ট। যেটা হলো আপনি তিনটা ম্যাচ খেলেন পাঁচটা ম্যাচ খেলেন নতুন টুর্নামেন্টে নতুন করে শুরু করতে হবে ভালো করে। অবশ্যই একটা বাড়তি সুবিধা হলো যে আমি খেলার ওপর আছি। হয়তো অন্যদের সেটা ছিল না। আমি আশা করি আমি ভালো শুরু করতে পারবো।”