• বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ ২০২০
  • " />

     

    শুভাগতময় ম্যাচে খুলনায় টানা তিন হারের স্বাদ ঢাকার

    শুভাগতময় ম্যাচে খুলনায় টানা তিন হারের স্বাদ ঢাকার    

    জেমকন খুলনা ১৪৬-৮, ২০ ওভার (মাহমুদউল্লাহ ৪৫, ইমরুল ২৯, আরিফুল ১৯, শুভাগত ১৫*, রুবেল ৩/২৮, শফিকুল ২/৩৪, নাসুম ১/১০, নাঈম ১/১৬)
    বেক্সিমকো ঢাকা ১০৯ অল-আউট, ১৯.২ ওভার (মুশফিক ৩৭, রাব্বি ২১, শহিদুল ৩/৩০, শুভাগত ৩/১৩)
    খুলনা ৩৭ রানে জয়ী 


    টপ অর্ডার ব্যর্থ, মিডল অর্ডারে সংগ্রাম, লেট ও লোয়ার-অর্ডারে একটু আগুনের ঝলক-- দুই দলের ব্যাটিংয়ের ফ্রেমটা ওই শেষের ঝলক বাদ দিয়ে ছিল একই। আর তাতেই গড়ে উঠলো পার্থক্যটা। আর তাতেই শুভাগত হোম জেমকন খুলনার দৃশ্যপটে এলেন। ব্যাটিংয়ে ৫ বলে ১৫ রানের ক্যামিওর পর ইনিংসের প্রথম ওভারে ব্রেকথ্রু, এরপর বেক্সিমকো ঢাকার আশা হয়ে থাকা মুশফিকের উইকেট-- খুলনার জয়ের নায়ক তো শুভাগতই। শেষদিকে তিনি নিলেন আরেকটি, সঙ্গে একটি ক্যাচও। 

    ১৪৭ রানতাড়ায় শুরুতেই চাপে পড়া ঢাকাকে টানার চেষ্টা করছিলেন মুশফিক-ইয়াসির, খুলনাকে যেমন টেনেছিলেন মাহমুদউল্লাহ-ইমরুল। মাহমুদউল্লাহ শেষ ওভার পর্যন্ত ছিলেন, মুশফিক শুভাগতকে স্লগ করতে গিয়ে ১৪তম ওভারেই ফিরলেন। শেষদিকে ঢাকার হয়েও কেউ ঝলক দেখাতে পারলেন না, তাদের টানা তৃতীয় হারও আটকালো না। পয়েন্ট টেবিলে এখন চট্টগ্রাম ও ঢাকা ঠিক বিপরীতে-- এক দল হারেনি, এক দল জেতেনি। আর চতুর্থ ম্যাচে এসে দ্বিতীয় জয় পেল খুলনা। 

    এ ম্যাচে ঢাকা নেমেছিল চারটি পরিবর্তন নিয়ে। টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়ে শুরুটাও হয়েছিল দারুণ। পাওয়ারপ্লের মাঝেই খুলনার ৩ ব্যাটসম্যানই নেই-- প্রথমে নাসুম আহমেদের আর্ম বলে ইনসাইড-এজড হয়ে এনামুল, এরপর রুবেলের লেংথ বলে সাকিব, আর শেষে অভিষেক হওয়া শফিকুলের ফুললেংথের বল মিস করে জহুরুল-- তিনজনই হলেন বোল্ড।

    রুবেল হোসেন ও শফিকুল হকের পেস-জুটি ঢাকাকে এনে দিয়েছে শুরুর উইকেট, মাঝে নাসুম আহমেদ ও নাঈম হাসানের স্পিন-জুটি খুলনাকে আটকে রেখেছে খোলসের ভেতরই। ইমরুল ও মাহমুদউল্লাহ মাঝে করেছেন টিকে থাকার সংগ্রাম। নাসুম ও নাঈম-- দুজন মিলে ৭ ওভারে দিলেন মাত্র ২৬ রান। নাঈমকে সুইপ করতে গিয়ে মিস করে এলবিডব্লিউ হয়েছেন ২৭ বলে ২৯ রান করা ইমরুল, মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তার জুটি ছিল ৫৬ রানের। 

    একাধিকবার জীবন পাওয়া মাহমুদউল্লাহ আউট হয়েছেন শেষ ওভারে গিয়ে, ৪৭ বলে ৪৫ রান করে, রুবেলের স্লোয়ার মিস করে বোল্ড হয়ে। এর আগে ১১ বলে ১৯ করা আরিফুল ফিরেছেন রুবেলকে কাট করতে গিয়ে এজড হয়ে, শামিম হোসেন শফিকুলের বলে ক্যাচ দিয়ে। শেষ বলে গিয়ে রান-আউট হয়েছেন শহিদুল। শেষ ৪ ওভারে খুলনা তুলেছে ৪৩ রান, শুভাগত মেরেছেন একটি করে চার ও ছয়।

    শুভাগতর শেষের মোমেন্টাম বোলিংয়েও কাজে লাগালেন এরপর মাহমুদউল্লাহ। তানজিদ তামিম একটা চার মারার পর ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে খেলতে গিয়ে মিস করে বোল্ড হয়েছেন। তৃতীয় ওভারে সাকিবের বলে ইনসাইড-এজে বোল্ড নাইম, পরের ওভারে শহিদুলের লাইন মিস করে এলবিডব্লিউ হয়েছেন রবি। ১৪ রানেই ৩ উইকেট হারিয়েছে ঢাকা, নিজের প্রথম ২ ওভারে সাকিব রানই দেননি।  

    তবে পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে ঢাকা তুলেছিল ১৮ রান, এরপর থেকে অবশ্য খুলনা লাগাম টানতে পেরেছে। ১২তম ওভারে হাসান মাহমুদকে স্টাম্প ছেড়ে মারতে গিয়ে এজড হয়ে বোল্ড হয়েছেন রাব্বি ২৯ বলে ২১ রান করে। মুশফিকের ওপর চাপ বেড়েছে আরও, ফিরতি স্পেলে শুভাগতর ওপর চড়াও হতে গিয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে।  

    আকবর আলি হাসানের দ্বিতীয় শিকার, ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়েছেন শুভাগতর বলেই। নাঈম হাসান হয়েছেন রান-আউট, প্রথম ম্যাচে ঢাকাকে আশা জোগানো মুক্তার, ও নাসুম দুজনই ক্যাচ দিয়েছেন শামিমের বলে মিড-অনে শহিদুলের হাতে। প্রথম ওভারের মতো শেষ ওভারও করতে এসেছিলেন এরপর শুভাগত, শফিকুল এলবিডব্লিউ হয়েছেন দ্বিতীয় বলেই। শুরুতে, শেষে-- শুভাগত সবখানেই।