• বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ ২০২০
  • " />

     

    ৭ দিনের কোয়ারেন্টিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য, বিসিবির ব্যবস্থাপনায় 'অত্যন্ত খুশি'

    ৭ দিনের কোয়ারেন্টিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য, বিসিবির ব্যবস্থাপনায় 'অত্যন্ত খুশি'    

    কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষিতে প্রস্তাবিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য সবরকমের ব্যবস্থাপনায় ‘অত্যন্ত খুশি’ ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর্যবেক্ষক দল। বাংলাদেশে এসে তিনদিন রুম-কোয়ারেন্টিনসহ সাতদিনের কোয়ারেন্টিন করার পক্ষে তারা, অন্য কারও সঙ্গে অনুশীলনের আগে তিনদফা নেগেটিভ ফল নিশ্চিত করা হবে। এসব জানিয়েছেন ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর্যবেক্ষক দলের সদস্য। খুব বেশি দেরি হলে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে এ সিরিজ হবে বলে জানিয়েছে বিসিবি।

    করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ মহামারির মাঝে ওয়েস্ট ইন্ডিজই প্রথম দল, যারা আন্তর্জাতিক সফর করেছিল। ইংল্যান্ডে তাদের সিরিজের পর সেখানে গিয়েছিল উইন্ডিজের মেয়েরাও। মাঝে শ্রীলঙ্কা সফর স্থগিত হয়ে যাওয়াতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে সিরিজ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কায় এই কোয়ারেন্টিন-সংক্রান্ত জটিলতার কারণেই শেষ পর্যন্ত যায়নি বাংলাদেশ। 

    বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রায় সবধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটই হচ্ছে নির্দিষ্ট কিছু প্রটোকল মেনে। কোয়ারেন্টিন, বায়ো-সিকিউরড বলয়-- এসব ব্যবস্থাপনার সঙ্গে নিরাপত্তা পরিস্থিতি দেখতে পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের বোর্ড ডিরেক্টর আকশাই মানসিং ও নিরাপত্তা-প্রধান পল স্লোয়ে বুধবার এসেছিলেন মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে, সেখানেই নিজেদের সন্তুষ্টির কথা বলেছেন তারা সাংবাদিকদের। 
     


    “সময় বদলাচ্ছে, সবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে আগ্রহী। আমাদের বাংলাদেশে আসার কারণ এটিই, পরের বছরের শুরুতেই আসা যায় কিনা। আমাকে বলতেই হবে, বিসিবি যেসব প্রটোকলের কথা বলেছে, সেগুলো সুচিন্তিত। আমরা আসার আগে এখানে তিনটা টুর্নামেন্ট হয়ে গেছে, যার একটি চলছে। ফলে, নতুন কিছু নয় (এ সিরিজ)। ঢাকা ও চট্টগ্রামে যা দেখেছি, তাতে আমরা খুবই খুশি”, বলেছেন মানসিং। 

    “সুযোগ-সুবিধা দারুণ এখানে। কোভিড প্রটোকল খুবই দৃঢ়। হাসপাতাল বা হোটেলে যে ব্যবস্থা, সেটা কোভিড-১৯-এর সুপারিশকৃত আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। স্বাস্থ্যগত দিক দিয়ে আমরা খুশি, এখন আমরা যা দেখলাম সেগুলো বোর্ডের সামনে তুলে ধরবো। আমি আত্মবিশ্বাসী, এখানকার ব্যবস্থা বিশ্বের যে কোনও জায়গার মতোই ভাল।” 

    কোয়ারেন্টিনের সময়সীমার ওপরই সূচি নির্ভর করছে, এমন বলেছেন তিনি, “দিন-তারিখ এখনও নির্দিষ্ট হয়নি সে (কোয়ারেন্টিনের) কারণেই। কারণ কোভিড প্রোটোকল অনুযায়ী, কমপক্ষে সাত দিন কোয়ারেন্টিন করতে হবে। আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, আমরা যেন বাংলাদেশে ভাইরাস না ছড়াই। এটা স্রেফ দিনের সংখ্যার ব্যাপার নয়, (আমাদের) তিনটি টেস্টে নেগেটিভ আসতে হবে। বাংলাদেশে আসার আগে একটি নেগেটিভ টেস্ট হতে হবে। এবং সেজন্যই একদম নিশ্চিত করে তারিখ বলা যাচ্ছে না।

    “নিশ্চিতভাবেই প্রথম তিন দিন রুম-কোয়ারেন্টিনে থাকব। তৃতীয় দিনের পর আরেকদফা টেস্ট হবে। সে টেস্টে নেগেটিভ এলে অনুশীলন, তবে সেটি স্কোয়াডের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকবে। সাতদিনের আগে অন্য কারও সংযোগে আসব না আমরা। আন্তঃস্কোয়াড ম্যাচ খেলব। সাতদিনের পর বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের সঙ্গে নেট সেশন করতে পারি আমরা।” 

    বাংলাদেশের নিরাপত্তা-পরিস্থিতি নিয়েও সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন এই প্রতিনিধিদলের সদস্য। অন্যদিকে বিসিবির ডিরেক্টর জালাল ইউনুস বলেছেন, আপাতত সবকিছুই ইতিবাচক, “আসার ব্যাপারে অনুমোদন দেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ড। সেজন্য উনারা গিয়ে রিপোর্ট করবেন। এবং তারা মনে করছেন তারা সবকিছুই ইতিবাচক এখান থেকে দেখে গেছেন, (এখন) সিদ্ধান্ত নেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ড...জানুয়ারির দশ তারিখের দিকে, বেশি দেরি হলে জানুয়ারির মাঝামাঝি (সময়ে হবে এই সিরিজ।” 

    ৩টি টি-টোয়েন্টি পর ২টি টেস্ট খেলতে এখন নিউজিল্যান্ডে আছে উইন্ডিজ।