• ক্রিকেট, অন্যান্য
  • " />

     

    আইসিসির দশকসেরা পুরস্কার : ছেলেদের সেরা কোহলি, মেয়েদের পেরি

    আইসিসির দশকসেরা পুরস্কার : ছেলেদের সেরা কোহলি, মেয়েদের পেরি    

    আইসিসির দশকসেরা ছেলে ক্রিকেটারের পুরস্কার স্যার গ্যারফিল্ড সোবার্স ট্রফি জিতেছেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি, মেয়েদের দশকসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার রেচেল হেয়ো-ফ্লিন্ট ট্রফি জিতেছেন অস্ট্রেলিয়া অলরাউন্ডার এলিস পেরি। পেরি করেছেন হ্যাটট্রিক-- পূর্ণ সদস্যের দেশগুলির মেয়েদের তিনটি ক্যাটাগরির পুরস্কারই জিতেছেন তিনি। 

    ২৮ ডিসেম্বর গেল দশকের বর্ষসেরা ক্রিকেটারদের পুরস্কার ঘোষণা করেছে আইসিসি। কোহলি ও পেরি-- দুজনই দশকসেরা ক্রিকেটারের সঙ্গে জিতেছেন সেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারের পুরস্কারও, পেরি জিতেছেন টি-টোয়েন্টির পুরস্কারও। ছেলেদের ক্ষেত্রে টেস্টে এই পুরস্কার জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথ, টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের রশিদ খান। 

    স্পিরিট অফ ক্রিকেটের পুরস্কার জিতেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক এমএস ধোনি, ২০১১ সালে নটিংহ্যামে ইয়ান বেলকে রান-আউটের পর ফিরিয়ে আনার জন্য। 

    যারা মনোনয়ন পেয়েছিলেন

    ১ জানুয়ারি ২০১১ সাল থেকে ৭ অক্টোবর ২০২০ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে ৫ বছর খেলেছেন, এমন ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স বিবেচনায় আনা হয়েছে এখানে। আইসিসির মনোনীত ভোটিং কমিটির সঙ্গে ১০ শতাংশ মূল্যায়নের সুযোগ ছিল সমর্থকদেরও। 
     


    এ সময়ে ২০ হাজারের ওপর রান করেছেন কোহলি, ৬৬টি সেঞ্চুরির সঙ্গে করেছেন ৯৪টি ফিফটি। কমপক্ষে ৭০টি ইনিংস খেলেছেন, এমন ক্রিকেটারের মাঝে ফরম্যাটজুড়ে তার ৫৬.৯৭ গড়ই সবচেয়ে বেশি। গেল দশককে মেয়েদের ক্রিকেটেও বলা যায় পেরির দশক। ৪৩৪৯ রানের সঙ্গে ২১৩টি উইকেট নিয়েছেন তিনি, চারবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন, একবার বিশ্বকাপ ট্রফিও জিতেছেন। 

    টেস্টের সেরার পুরস্কার জেতা স্মিথ এই দশকে করেছেন ৭০৪০ রান, ৬৫.৭৯ গড়ে। ২৬ সেঞ্চুরির সঙ্গে ২৮টি ফিফটি আছে তার। আর এই সময়ে রশিদ নিয়েছেন ৮৯টি উইকেট, ১২.৬২ গড়ে। আর সহযোগী দেশগুলির ক্ষেত্রে দুই স্কটিশ কাইল কোয়েটজার ও ক্যাথরিন ব্রাইসের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল আগেই।

    দশকসেরা এই পুরস্কারের আগে ছেলে-মেয়েদের ফরম্যাটজুড়ে সেরা একাদশ ঘোষণা করেছিল আইসিসি। সেখানে ওয়ানডে দলে ছিলেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান।