• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    সালাহ-মানের গোলে লাইপজিগ-জয়ে দুঃসময় কাটানোর ইঙ্গিত লিভারপুলের

    সালাহ-মানের গোলে লাইপজিগ-জয়ে দুঃসময় কাটানোর ইঙ্গিত লিভারপুলের    

    বেশ চাপে ছিলেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। ইংলিশ লিগে টানা তিন ম্যাচ হেরে লিভারপুল ছিল বিপদে, এমনকি ক্লপের সরে যাওয়ার গুঞ্জনও উঠেছিল। গুজব উঠেছিল ড্রেসিংরুমে খেলোয়াড়দের মধ্যে বিবাদের, ক্লপের সঙ্গে দূরত্বের। তবে জবাবটা কথা নয়, মাঠেই দিলেন ক্লপ। গেগেনপ্রেসিং-শিষ্য নাগেলসমানের লাইপজিগকে তাদের ‘মাঠে’ ২-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে তাই এক পা দিয়ে রেখেছে লিভারপুল। সেই গোল দুইটি করেছেন মোহামেদ সালাহ ও সাদিও মানে।

    জার্মানিতে করোনা-সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞার কারণে ম্যাচটা হয়েছিল হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে। লিভারপুল আর লাইপজিগ এই সময়ের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ফুটবল খেলে বলে শুধু নয়, এই ম্যাচ নিয়ে বাড়তি আগ্রহ ছিল অন্য কারণে। জার্মানির স্কুল অফ প্রেসিংয়ের  অগ্রদূত ক্লপের সঙ্গে পরের প্রজন্মের নাগেলসমানের দ্বৈরথ, ট্যাকটিক্যালি বেশ ইন্টারেস্টিং একটা ম্যাচের অপেক্ষা ছিল। ম্যাচেও দেখা গেছে সেই হেভি প্রেসিং, তবে তাতে নাগেলসমানকে টেক্কা দিয়েছেন ক্লপ। লিভারপুলের প্রেসিংয়ের চাপে পড়ে খেই হারিয়েই ভুল করেছে লাইপজিগ, তাতে দায় ছিল তারকা সেন্টার ব্যাক দায়োত উপামেকানোর। দুই দিন আগেই লাইপজিগ থেকে পরের মৌসুমে বায়ার্নে যাওয়ার ঘোষণা এসেছে উপামেকানোর। এই সময়ের সবচেয়ে হাইলি রেটেড ডিফেন্ডারদের একজনের জন্য কালকের রাতটা ছিল দুঃস্বপ্ন।

    লিভারপুল অবশ্য শুরু থেকেই লাইপজিগকে চেপে ধরেছিল। প্রথমার্ধে যে গোল পায়নি সেটা নেহাত তাদের দুর্ভাগ্য। সালাহ, মানে, ফিরমিনো, রবার্টসন ন্সবাই সুযোগ পেয়েছিলেন। এর মধ্যে ফিরমিনোর শট লাগে সাইড নেটে, বাকিরাও একটুর জন্য গোল পাননি। লিভারপুল ফরোয়ার্দের প্রেসিংয়ের জন্য খেই হারিয়ে ফেলছিলেন লাইপজিগ ডিফেন্ডাররা।

    দ্বিতীয়ার্ধে সেটারই ফায়দা নেইয় লিভারপুল। উপামেকানো পজিশন হারানোর পর লাইপজিগের একজনের ভুল পাস থেকে ফাঁকায় বল পেয়ে যান সালাহ, জালে জড়িয়ে দেন তিনি। পরের গোলটা ছিল সরাসরি উপামেকানর ভুল। এবার একটা লব ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হওয়ায় বল পেয়ে যান সাদিও মানে। সামনে এগিয়ে বল জালে জড়িয়ে দিতে সমস্যা হয়নি তার। দুই গোল খাওয়ার পর অলমোর হেডে ফেরার চেষ্টা করেছিল লাইপজিগ, কিন্তু একটুর জন্য গোল হয়নি। শেষ দিকে টাইলার অ্যাডামসের মিস ছাড়া আর কোনো পরিষ্কার সুযোগও পায়নি তারা।

    এই জয়ের পর লিভারপুল পরের পর্বে এক পা দিয়েই রাখল। পরের খেলা হবে নিজেদের মাঠ অ্যানফিলদে, ১০ মার্চের সেই ম্যাচের আগে নিশ্চিতভাবে উজ্জীবিত থাকবে লিভারপুল। ক্লপের জন্য আরও ভালো খবর, শালকে থেকে আসা ডিফেন্ডার ওজান কাবাকও কাল ভালো খেলেছেন। গোলরক্ষক এলিসনও কাল আর ভুল করেননি। সব মিলে ক্লপ বলেছেন, তারা আশাতীতরকম ভালো খেলেছেন। লাইপজিগের মতো ক্লাবের বিপক্ষে দলের এই পারফরম্যান্সে তিনি সন্তুষ্ট।