• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    এমবাপের মোটিভেশনের পর দুর্দান্ত হালান্ডে পুড়ল সেভিয়া

    এমবাপের মোটিভেশনের পর দুর্দান্ত হালান্ডে পুড়ল সেভিয়া    

    মোটিভেশনটা আগের দিনই পেয়েছিলেন এরিং ব্রাউন্ট হালান্ড। কিলিয়ান এমবাপে দুর্দান্ত একটা হ্যাটট্রিক করেছেন বার্সেলোনার বিপক্ষে, হালান্ডের জন্য সেটুকুই ছিল যথেষ্ট। কাল হ্যাটট্রিক না পেলেও জোড়া গোল পেয়েছেন ঠিকই, আর তাতেই সেভিয়াকে ৩-২ গোলের থ্রিলারে হারিয়ে অ্যাওয়েতে নিজেদের কাজটা অনেকটুকু সেরে রেখেছে ডর্টমুন্ড।

    কাল সেভিয়ার মাঠে অবশ্য শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল স্বাগতিকেরাই। সুসোর শট ম্যাট হামেলসের গায়ে লেগে দিকবদল করে ঢুকে গেছে জালে। এরপর মাহমুদ দাহুদের গোলে সমতা ফেরায় ডর্টমুন্ড। তারপর পুরো গল্পটাই হালান্ডের।

    ২৭ মিনিটে দুর্দান্ত এক দৌড়ে ঢুকে পড়েছিলেন সেভিয়ার সীমানায়। সাঞ্চোর সঙ্গে ওয়ান টুর পর দুর্দান্ত এক ফিনিশিংয়ে বল জড়িয়ে দেন জালে। ৪৩ মিনিতে পেয়ে গেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগে ১৩ ম্যাচেই নিজের ১৮তম গোল। এবার সেভিয়ার ভুলের সুযোগ নিয়ে বাঁ পায়ের ফিনিশে বল জড়িয়ে দেন জালে। এই মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে সাত গোল হয়ে গেছে হালান্ডের, যা তাকে নিয়ে গেছে সবার ওপরে। এরপর অবশ্য ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেছে সেভিয়া। ৮৪ মিনিটে লুক ডি ইয়ং ব্যবধান কমিয়েছেন, শেষ দিকে একটি জোরালো পেনাল্টির আবেদনও ছিল তার। কিন্তু ভিএআরের সাথে আলোচনার পরও রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজাননি।

    তবে কাল রাতটা ছিল হালান্ডেরই। চ্যাম্পি্যন্স লিগে এ পর্যন্ত যে আট প্রতিপক্ষের সাথে দেখা হয়েছে, গোল পেয়েছেন সবার বিপক্ষেই। টানা তিন ম্যাচে করেছেন জোড়া গোল, যে কীর্তি এর আগে শুধু ছিল ফিলিপ্পো ইনজাগি, জিওভান্নি এদার, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (তিন বার করে) ও রবার্ট লেভানডফস্কির। ডর্টমুন্ডের হয়ে সাত ম্যাচেই পেয়ে গেছেন ১০ গোল। কোনো ক্লাবের হয়ে ডাবল ডিজিতে এত দ্রুত পৌঁছাতে পারেননি কেউ, এর আগে ২০০৩-০৪ মৌসুমে রয় ম্যাকে ১০ গোল পেয়েছিলেন বায়ার্নের হয়ে ১০ ম্যাচে।

    অথচ এই ম্যাচের আগে ডর্টমুন্ডের ফর্ম একেবারেই ভালো ছিল না। সব প্রতিযোগিতা মিলে আগের আট ম্যাচের মাত্র তিনটি জিতেছিল তারা, লিগে নেমে গেছে ছয় নাম্বারে। লুইস ফাভ্রে বরখাস্ত হওয়ার পর অন্তবর্তী কোচ দিয়ে কাজ চালাচ্ছে, যদিও পরের মৌসুমে মনশেনগ্লাডবাখ থেকে মার্কো রোজ আসার ঘোষণা দিয়েছেন। সব মিলে এই টনিকটা দরকার ছিল ডর্টমুন্ডের।

    তবে তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ, এমবাপের পর হালান্ড দেখালেন, মেসি-রোনালদোর পর তারা হাল ধরতে প্রস্তুত। গত মৌসুমের শুরু থেকে দুজন চ্যাম্পিয়নস লিগে করেছেন ২৮ গোল, এই সময়ে মেসি-রোনালদো করেছেন ১৫টি। নতুন যুগের সূচনা হচ্ছে তাদের হাত ধরেই?