• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় রোনালদোদের স্বপ্নভঙ্গ করে কোয়ার্টারে পোর্তো

    শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় রোনালদোদের স্বপ্নভঙ্গ করে কোয়ার্টারে পোর্তো    

    চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউটে স্মরণীয় অনেক মুহূর্তই আছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। কিন্তু এবার নাটকীয় এক ম্যাচের পর স্বপ্নভঙ্গের বেদনা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো সিআরসেভেনকে। আয়াক্স ও লিওর কাছে হারার পর জুভেন্টাস এবার শেষ ষোলোতে পোর্তোর কাছে হেরে বিদায় নি। নির্ধারিত সময়ে অ্যাগ্রিগেট ৩-৩ গোলে হওয়ার পর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে রিকার্দো অলিভিয়েরার গোলে কুপাল পুড়ে জুভেন্টাসের। পরে আদ্রিয়ান রাবিওত গোল করলেও অ্যাওয়ে গোলের সুবাদে পোর্তোই উঠে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালে। 

    পোর্তোর মাঠে আগের লেগটা ২-১ গোলে হেরেছিল জুভেন্টাস। কাল নিজেদের মাঠে ১-০ গোলে জিতলেই হতো। কিন্তু ১৯ মিনিটে পোর্তোর মেহদি তারেমিকে বক্সের ভেতর ফাউল করে ফেলে দেন জুভেন্টাস ডিফেন্ডার মেহদি দামিরাল। অলিভিয়েরা গোল করে এগিয়ে দেন পোর্তোকে। যার মানে জুভেন্টাসকে করতে হতো অন্তত দুই গোল। 

    দৃশ্যপট বদলে যায় দ্বিতীয়ার্ধে এসে। ৪৯ মিনিটে বক্সের বাঁদিকে কঠিন কোণ থেকে দারুণ এক ফিনিশে গোল করে ব্যবধান কমান ফেদেরিকো কিয়েসা। ৫ মিনিট পর বলে লাথি মেরে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন তারেমি। মিনিট দশেক পর লাইফলাইন পেয়ে যায় জুভেন্টাস, এবার কুয়াদ্রাদোর ক্রস থেকে কিয়েসা দারুণ হেডে বল জড়িয়ে দেন জালে। দশ জনের পোর্তোকে এরপর চেপে ধরে জুভেন্টাস, তবে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন একজন পেপে। একের পর এক ক্লিয়ার করে বিপদমুক্ত রাখছিলেন, রোনালদোকে পুরো সময় সেভাবে সুযোগই নিতে দেননি। 

    তারপরও শেষ দিকে জুভেন্টাস জয়টা পেয়েই গিয়েছিল। রোনালদোর হেডে একটা সুযোগ নষ্ট করার পর কুয়াদ্রাদর শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে। শেষ মুহূর্তে মোরাতা গোল করেই ফেলেছিলেন, কিন্তু অফসাইডের জন্য সেটা বাতিল হয়ে যায়। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। 

    সেখানেও জুভেন্টাসের একের পর এক আক্রমণ করে যাচ্ছিল। কিন্তু খেলার ধারার বিপরীতে ১১৪ মিনিটে অলিভিয়েরার ফ্রিকিক রোনালদোর পায়ের মধ্য দিয়ে গলে জড়িয়ে যায় জালে। এরপরেই রাবিওত গোল করে আশা দেখাচ্ছিলেন জুভেন্টাসকে, কিন্তু শেষ মুহূর্তে পোর্তোর গোলরক্ষক দুর্দান্ত এক সেভ করে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। আরও একবার কোয়ার্টারের আগেই বিদায় নিয়েছে জুভেন্টাস, পিরলোর ওপর চাপ বেড়েছে আরও। 

    দিনের আরেক ম্যাচে সেভিয়ার সাথে ২-২ তে ড্র করে, ৫-৪ অ্যাগ্রিগেটের জয়ে কোয়ার্টারে চলে গেছে ডর্টমুন্ড। ডর্টমুন্ডের হয়ে দুইটি গোলই করেছেন ইনফর্ম স্ট্রাইকার এরলিং ব্রাউট হালান্ড।