• শ্রীলঙ্কার বাংলাদেশ সফর ২০২১
  • " />

     

    শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে কোয়ারেন্টিন-জটিলতা কাটাতে ধাপে ধাপে এগুতে চায় বিসিবি

    শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে কোয়ারেন্টিন-জটিলতা কাটাতে ধাপে ধাপে এগুতে চায় বিসিবি    

    দেশে কোভিড-১৯-এর কোয়ারেন্টিন-সংক্রান্ত ব্যাপারে শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে উদ্ভুত জটিলতা নিরসনে ধাপে ধাপে এগুতে চায় বিসিবি। শ্রীলঙ্কা থেকে ফেরা জাতীয় দল, ভারত থেকে আসা সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান, এবং টেলিভিশন সম্প্রচারের ক্রুয়ের ব্যাপারে বিশেষ পরিস্থিতির মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। তবে আপাতত শ্রীলঙ্কা সিরিজের সূচি বদলানোর কোনো পরিকল্পনা নেই তাদের। শনিবার সাংবাদিকদের এসব জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরি। 

    ২৩ মে থেকে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হওয়ার কথা বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার, সেজন্য প্রাথমিক স্কোয়াডও ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। সেখানে আছেন মূলত তিনটি ভাগের ক্রিকেটার- শ্রীলঙ্কায় টেস্ট সিরিজ খেলে ফেরা দলের একটা অংশ, আগে থেকেই দেশে থাকা একটা দল, ভারত থেকে আইপিএল স্থগিত হওয়ার পর ফেরা সাকিব-মোস্তাফিজ। শ্রীলঙ্কা থেকে দলটি ফিরেছে ৪ মে, সাকিব-মোস্তাফিজ ফিরেছেন ৬ মে। বিদেশ থেকে ফেরা দুটি অংশই আছেন কোয়ারেন্টিনে- শ্রীলঙ্কা থেকে আসা ক্রিকেটাররা নিজেদের বাসায়, ভারত থেকে আসা দুজন হোটেলে। 

    তবে জাতীয় দলের যেসব ক্রিকেটারের টেস্টের ফল নেগেটিভ আসবে, তারা অনুশীলনে যোগ দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী। এ ব্যাপারে তারা সবুজ সঙ্কেত পেয়েছেন সরকারের কাছ থেকে। তবে এক্ষেত্রে নিয়মের কোনো ব্যতিক্রম বা বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, বরং বিশ্বজুড়ে ক্রীড়া-ইভেন্টের ক্ষেত্রে কোভিড-১৯-এর প্রটোকল এমন বলেই জানিয়েছেন নিজামউদ্দিন, “একটা জিনিস নিয়ে একটু ধোঁয়াশা আছে- এজন্য বলতে চাচ্ছি, অনেকে জিনিসটাকে অন্যভাবে উপস্থাপন করছেন। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে- এটা বিশেষ সুবিধা কিন্তু না। বিশ্বে যে কোনো স্পোর্টস ইভেন্ট বলেন, সেটা যাই (হোক না কেন), একটা আলাদা প্রটোকল রয়েছে।

    “বিভিন্ন স্পোর্টস ইভেন্টে যারা অংশ নেন, তাদের নির্দিষ্ট একটা প্রটোকল মেনে আসতে হয়। তারা একটা টেস্ট করে আসার পর। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের কিছু টেস্ট করতে হয়। সেই সব পরীক্ষায় নেগেটিভ হলেই নির্দিষ্ট কোনো ইভেন্টে অংশগ্রহণ করতে পারে। এটা শুধু বাংলাদেশে না, সারা বিশ্বেই হয়ে আসছে।”

    সেসব মেনেই শ্রীলঙ্কা দল আসবে ১৬ মে, এসে তিনদিনের কোয়ারেন্টিনের পর গুচ্ছাকারে অনুশীলন করবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সে দেশে গিয়ে বাংলাদেশ দলও করেছিল এমনই। আপাতত শ্রীলঙ্কা থেকে ফেরা জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের অনুশীলনে ফেরাতে চান তারা, “আমাদের প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ ছিল জাতীয় দলের সম্ভাব্য সবাইকে একসঙ্গে অনুশীলনের আওতায় নিয়ে আসা। আমরা সবুজ সঙ্কেত পেয়েছি যে তারা টেস্ট রেজাল্ট নেগেটিভ হওয়া সাপেক্ষে জাতীয় দলের সঙ্গে অনুশীলন করতে পারবে। আমরা আশা করছি শ্রীঘ্রই তারা অনুশীলন শুরু করবে।”

    শ্রীলঙ্কা থেকে আসা ক্রিকেটারদের ‘জটিলতা’ কাটলেই সাকিব-মোস্তাফিজের ব্যাপারে এগুবেন তারা, “আমরা আসলে জাতীয় দলের ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে কাজ করেছি। এখন যারা শ্রীলঙ্কা থেকে এসেছে, তাদের ব্যাপারে কাজ করছি। যেহেতু আপনারা জানেন যারা ভারত থেকে এসেছে তাদের ক্ষেত্রে প্রটোকল ভিন্ন, এবং কিছুটা কঠিন। সেক্ষেত্রে তাদেরটা নিয়েও আমরা কাজ করছি। আশা করছি ওই ব্যাপারেও ইতিবাচক কিছু পাবো।

    অবশ্য ক্রিকেটারদের বাইরে আলাদা একটা চ্যালেঞ্জ আছে বিসিবির। সাধারণত তাদের সঙ্গে কাজ করা ব্রডকাস্টিং কোম্পানির ক্রু-রা আসেন ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। তবে এ দুই দেশ থেকে আসা কারও জন্য আপাতত বাংলাদেশে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মের বাধ্যবাধকতা আছে। বিসিবির সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদের আগের ব্রডকাস্টারের চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ার ফলে এ সিরিজ নিয়েও চুক্তি হয়নি এখনও। 

    এক্ষেত্রে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার বাইরে অন্য দেশ থেকে টিভি ক্রু আনার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন নিজামউদ্দিন, “এটা অবশ্যই একটা চ্যালেঞ্জ। তারপরও আপনারা জানেন যে এই ক্ষেত্রে সরকারের নির্দিষ্ট প্রটোকল আছে। আমরা চেষ্টা করছি এই প্রটোকলের মধ্যে থেকে যদি কোনো ক্রু আসার দরকার হয় সেক্ষেত্রে তাদের আনা যায় কিনা। এছাড়া আমরা চেষ্টা করছি অন্যান্য যে অপশনগুলো আছে, সেগুলো চেষ্টা করছি। বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় যে সমস্ত ক্রিকেট ইভেন্ট আছে। চেষ্টা করা হবে, প্রয়োজনে সেখান থেকে ক্রু এনে খেলাগুলো চালানোর।”