• শ্রীলঙ্কার বাংলাদেশ সফর ২০২১
  • " />

     

    তিনে ফিরছেন সাকিব, প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলেও শান্তকে 'ভবিষ্যত' মনে করেন তামিম

    তিনে ফিরছেন সাকিব, প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলেও শান্তকে 'ভবিষ্যত' মনে করেন তামিম    

    শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে আবারও তিন নম্বরে ফিরছেন সাকিব আল হাসান। নাজমুল হোসেন শান্ত প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেননি, তবে তাকে এখনও ভবিষ্যত মনে করেন বাংলাদেশের নির্বাচক ও অধিনায়ক। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে এসব জানিয়েছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। 

    বিশ্বকাপের আগ দিয়ে তিন নম্বরে উঠে এসেছিলেন সাকিব, এরপর সে টুর্নামেন্টে সে পজিশনেই দারুণ এক সময় কাটিয়েছিলেন তিনি। এরপর শ্রীলঙ্কা সিরিজে খেলেননি তিনি, সেখানে তিনে খেলেছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন ও সৌম্য সরকার। সাকিবে নিষিদ্ধ হওয়ার পর ওয়ানডেতে ফেরানো হয়েছিল শান্তকে, দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে তিন ম্যাচের দুটিতে তিনিই খেলেছিলেন তিন নম্বরে। 

    এরপর সাকিব ফিরলেও শান্তকেই খেলানো হয়েছিল তিনে। তখন কোচ ও অধিনায়ক বলেছিলেন, অনেকদিন পর সাকিবের ফেরা এবং শান্তর ওপর আস্থা রাখার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত তাদের। তবে ঠিক পরের সিরিজেই শান্তর ওপর ‘আস্থা’ হারিয়ে ফেলেছেন তারা, নিউজিল্যান্ড সফরে তিন ম্যাচেই সেখানে খেলানো হয়েছে সৌম্যকে। এবার তামিম বলছেন, তিনে ফিরছেন সাকিব। 

    এখন পর্যন্ত ৮ ওয়ানডেতে শান্ত করেছেন ৯৩ রান, ১১.৬২ গড়ে, শান্ত তাদের প্রত্যাশামতো পারফর্ম করতে পারেননি বলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা, “না আমার কাছে মনে হয় না (তাকে আরও সময় দিতে হতো)। সে ৮-৯টা ওয়ানডে খেলেছে, দুর্ভাগ্যবশত যে পারফরম্যান্স তার কাছ থেকে আশা করেছি তা পাইনি।”

    তবে, “ব্যাক্তিগতভাবে আমি, টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকরাও মনে করি যে শান্ত আমাদের ভবিষ্যত। একটা সিরিজে দলে না থাকায় সব শেষ হয়ে যায়নি। অধিনায়ক হিসেবে আমি মনে করি শান্তর দলকে দেয়ার এখনও অনেক কিছু আছে। হয়ত এখন এই ফরম্যাট থেকে তার একটু বিশ্রাম দরকার। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটে রান করুক এবং আবার দলে শক্ত ভাবে ফিরে আসুক। এটা শুধু এ সিরিজ থেকে বাদ পড়াতেই আমরা তার প্রতি ধৈর্য্য দেখাইনি বা সে আমাদের পরিকল্পনায় নেই এমন কিছু না।”

    সাকিবের ক্ষেত্রেও প্রত্যাশা উঁচু হলেও বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সকে ‘ব্যতিক্রম’ই মনে করেন তামিম, “প্রত্যাশা অবশ্যই বেশি থাকবে। তবে মনে রাখতে হবে, সাকিব বিশ্বকাপে যা করেছে, সেটা ব্যতিক্রমী। আমি তো চাইব, প্রতি ম্যাচ অমন হোক, সেও চাইবে। তবে এটা তো প্রতি ম্যাচে সম্ভব না। একটা ছেলে ৮-৯ ম্যাচে ৬০০ রান করে ফেলেছে, এটা তো আসলে সচরাচর দেখি না। 

    “...টেনশনের ব্যাপার নাই। আমি নিশ্চিত সে ভাল করবে। এক নাম্বার, সে এখানে ভাল করেছে। সে সেটি চালিয়ে যাবে। তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে, যদি শুধু বিশ্বকাপের কথা চিন্তা করে দেখেন যে ওই ৬০০টা রান, এভাবে করে ক্রিকেট খেলাটা একটু কঠিন। যদি এভাবে না হয়, তাহলে প্যানিক করার কিছু নেই, আমি নিশ্চিতভাবেই প্যানিক করব না।”