• বাংলাদেশের জিম্বাবুয়ে সফর
  • " />

     

    মাহমুদউল্লাহ-তাসকিনে হারারেতে বাংলাদেশের স্বপ্নের একদিন

    মাহমুদউল্লাহ-তাসকিনে হারারেতে বাংলাদেশের স্বপ্নের একদিন    

    তাসকিন আহমেদ প্রথম শ্রেণি ক্রিকেটে কখনো ফিফটি পাননি। মাহমুদউল্লাহ গত এক বছর টেস্ট খেলেননি, ধরে নেওয়া হয়েছিল এই ফরম্যাটে তার ভবিষ্যত নেই। দুজন আজ এমন একটা দিনের জন্ম দিলেন, যেদিন হারারেতে লেখা হয়েছে নতুন এক ইতিহাস। ৪৬৮ রান করার পর বাংলাদেশ চলে গেছে শক্ত অবস্থানে। যদিও জবাবটা ভালো দিচ্ছে জিম্বাবুয়ে, ১ উইকেট হারিয়ে তুলে ফেলেছে ৯৮ রান। 

    আজ যখন দিনের শুরুতে ব্যাট করছিলেন মাহমুদউল্লাহ-তাসকিন, বাংলাদেশের জন্য ৩৫০ রান হতো অনেক কিছু। দুজনের ফিফটি জুটি হয়ে যায় খানিক পরেই, এর মধ্যে তাসকিন আর মুজারাবনির মধ্যে এক চোট হয়েও গেছে। দায় আছে জিম্বাবুয়েরও, এর মধ্যে তাসকিনের স্লিপে সহজ ্ক্যাচ নিতে পারেনি। পরে মিস করেছে রান আউটের সুযোগও। সুযোগ কাজে লাগিয়ে দুজন বড় করেছেন ইনিংস। 



    মাহমুদউল্লাহ ফিফটি শুরুতে পেয়েছেন, তবে পরে তাকে অনুসরণ করেছেন তাসকিন। দুজনের জুটিতে শত রান হয়েছে, পরে মাহমুদউল্লাহ পেয়েছেন টেস্টে নিজের পঞ্চম সেঞ্চুরি। উদযাপনও হয়েছে সেরকম প্রাণখোলা, জবাবটা দিয়েছেন ব্যাটেই। ওদিকে তাসকিন পেয়ে গেছেন ফিফটি, দুজনের জুটিতে এক সময় হয়ে গেছে বাংলাদেশের হয়ে নবম উইকেতে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড। সেটা ছাড়িয়ে দুজন যখন বিশ্বরেকর্ডের দুয়ারে, তখন বোল্ড হয়ে গেলেন তাসকিন। ১৯১ রান হলো দুজনের, চার রানের জন্য ভাঙা হলো না মার্ক বাউচার-প্যাট সিমকক্সের বিশ্বরেকর্ড। 

    এরপর এবাদতকে নিয়ে আরও কিছুক্ষণ খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। ১৫০ রান হয়ে গেছে, হয়েছে টেস্টে তার সর্বোচ্চ ইনিংস। তারপর এবাদতের আউটে ভেঙেছে জুটি। ততক্ষণে ৪৬৮ রান করেছে বাংলাদেশ। 

    অবশ্য ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ের অনভিজ্ঞ ব্যাটিং জবাব দিচ্ছে ভালোই। শুম্বাকে ৪১ রানে এলবিডব্লু করেছেন সাকিব, সেটাই শেষ সেশনে বাংলাদেশের একমাত্র সাফল্য। তবে ১১৪ রান তুলে ফেলেছে জিম্বাবুয়ে। ব্রেন্ডন টেলর ও আরেক ওপেনার তাকুদওয়ানাশে কাইতানো ব্যাট করছেন ৩৩ ও ৩৭ রান করে।