• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    দুঃস্বপ্নকে সত্যি করে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে গেল বার্সেলোনা

    দুঃস্বপ্নকে সত্যি করে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে গেল বার্সেলোনা    

    বড় হতে পারত স্কোরলাইন, চার কিংবা পাঁচ। হয়নি ভাগ্যক্রমে। কিন্তু আলিয়াঞ্জ এরিনায় ভাগ্য মোটেও ছিল না জাভি ও তার দলের পক্ষে। নব্বই মিনিটে যা কিছু হারানোর ছিল, তার সবটুকুই হারিয়ে ফেলেছে বার্সেলোনা। বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৩-০ গোলে হেরে ঠিক ২০ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বে যেতে ব্যর্থ হলো বার্সেলোনা। সেই সঙ্গে বায়ার্ন দুঃস্বপ্নটাও হলো দীর্ঘ। 

    ম্যাচের কোন মুহুর্তেই ঠিক নিজ ছন্দে খেলতে পারেনি জাভির বার্সেলোনা। শুধু এক উসমান ডেম্বেলে ছাড়া বায়ার্ন ডিফেন্ডারদের পরীক্ষা তেমন কেউ নিতে পারেননি, গোলে তৈরিও করতে পারেনি বড় কোন সুযোগ। নিজেদের মাঠে বায়ার্ন খেলেছে নিজ ছন্দে। ম্যাচে বেশ কয়েকবার অগোছালো ফুটবলের প্রদর্শনী দেখা মিললেও বার্সার ডিফেন্সকে তছনছ করে দিয়েছে বায়ার্নের ফরোয়ার্ড লাইন।

    শুরুটা করেছিলেন মুলার, গোলটাও করেছেন একদম স্বভাবসুলভ বায়ার্ন স্টাইলে। মাঝ মাঠ থেকে লিরয়ে সানের লাইন ব্রেকিং পাস আসে লেভানডফস্কির পায়ে। হাই লাইন ডিফেন্সের বার্সেলোনা মুহুর্তেই নিজেদেরকে পজিশনের বাইরে আবিষ্কার করে; লেভানডফস্কি লেফট ফ্ল্যাংক-হাফ স্পেইসের মাঝামাঝি ধরে চলে আসেন বক্সে। পিকে তাল সামলে সামনে চলে আসলেও লেভানডফস্কি রীতিমত নাচিয়েছেন বার্সার সেন্টার ব্যাককে। অপেক্ষা করছিলেন বক্সে কেউ আসার জন্য; আর মুলারকে দেখে সঙ্গে সঙ্গেই করেছেন লব। অদ্ভুত কায়দায় হেড করে বলটা উড়ে জালের দিকে যাওয়ার আগে অবশ্য মনে হয়েছিল, গোল লাইন অতিক্রম করার আগেই বল ক্লিয়ার করেছেন আরাউহো। কিন্তু রেফারি বাজালেন গোলের বাঁশি। নিশ্চিত হলো, মুলারের হেড ক্লিয়ার করার আগেই গোল লাইন অতিক্রম করেছে সে বল। ৩৩ মিনিটে এক গোলে পিছিয়ে যায় বার্সেলোনা,

    তবে ম্যাচের সবচেয়ে ‘বড়’ মুহূর্ত এল ৪৩ মিনিটে। বক্সের বেশ দূর থেকে হঠাত সানের রকেট শট। টার স্টেগান ঝাঁপিয়ে পড়েও কূল-কিনারা করতে পারলেন না বল ঠেকাতে গিয়ে। সানের গোল থেকেই মূলত বার্সেলোনার বিদায় ঘণ্টা বাজা শুরু হয়ে গিয়েছিল। গ্রুপের অন্য এক ম্যাচে যে বেনফিকা এগিয়ে ছিল ২-০ গোলে!

    সমীকরণ ছিল খুব সহজ। বায়ার্নকে হারালেই হত বার্সেলোনার; বেনফিকার ম্যাচের ফলাফল কোন কাজে আসত না। ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকে বায়ার্নকে হারানোর উদ্যমটা ‘প্রায় অসম্ভব’ হয়ে ওঠে দ্বিতীয়ার্ধের ৬২ মিনিটে জামাল মুসিয়ালার গোলে। মাঠের বাইলাইন থেকে আলফনসো ডেভিসের বল আলতো ছোয়ায় মুসিয়ালা জালে পাঠিয়েছেন বার্সার পাঁচজনের মাঝ দিয়ে। ক্যাম্প ন্যু’তে আগের দেখাতেও তিন গোল হজম করেছিল বার্সেলোনা। তবে এবারের তিন গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায়টাও নিশ্চিত হয়ে গেল জাভির দলের জন্য।

    ফলে, ২০০৩-০৪ সালের পর ইউরোপের দ্বিতীয় বড় প্রতিযোগিতা ইউরোপা লিগ (আগের ইউয়েফা কাপ) খেলতে যাচ্ছে বার্সেলোনা। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বাদ পড়ার ক্ষত যে বার্সেলোনাকে অনেক দিন তাড়িয়ে বেরাবে।