লায়ন ৪০০ ও ক্যারির রেকর্ডের দিন গ্যাবায় আরেকবার অসিদের ইংলিশ-জয়
ইংল্যান্ড ১৪৭ ও ২৯৭
অস্ট্রেলিয়া ৪২৫ ও ২০-১
ফলঃ অস্ট্রেলিয়া ৯ উইকেটে জয়ী
গ্যাবা সবসময়েই অস্ট্রেলিয়ার জন্য দুর্গ ছিল। ভারত তাতে কিছুটা ফাটল ধরালেও অসিরা দেখাল, সেটা তারা মেরামত করে ফেলেছে। ইংল্যান্ড আরও একবার হারল গ্যাবায়, আর অধিনায়কত্বের অভিষেকটা স্বপ্নের মতো হলো প্যাট কামিন্সের। সেই সঙ্গে নাথান লায়ন ঢুকে গেলেন টেস্ট ক্রিকেটের ফোর হান্ড্রেড ক্লাবে আর অ্যালেক্স ক্যারি অভিষেকে গড়লেন রেকর্ড। তেমন কোনো রোমাঞ্চ ছাড়াই চতুর্থ দিনে ম্যাচের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ফেলল অস্ট্রেলিয়া।
অথচ তৃতীয় দিনের শেষটা দিচ্ছিল রোমাঞ্চকর কিছুর আভাস। জো রুট ও ডেভিড মালান দুর্দান্ত এক জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দিচ্ছিলেন কাল। দুজনের জুটিতে বড় একটা লিড নেওয়ার স্বপ্নও হয়তো দেখছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু সব গড়বড় হয়ে যায় চতুর্থ দিন সকালে। আর সেই সঙ্গে প্রতীক্ষার সাঙ্গ হয় লায়নের। ৩৯৯ উইকেট পাওয়ার পর নয় মাসেরও বেশি সময় কেটে গিয়েছিল, আটকে গিয়েছিলেন ওখানেই। এই টেস্টেও বলের পর বল করে উইকেটের দেখা মিছিল না। আজ সকালে মিলে গেল সেটি, মালান তাকে সামনে গিয়ে এসে খেলতে গিয়ে ব্যাট-প্যাড হয়ে ক্যাচ দিলেন লাবুশেনকে। লায়ন পেলেন টেস্টে তার ৪০০তম উইকেট, ১৭ তম বোলার হিসেবে। আর অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এই কীর্তি আগে ছিল দুই গ্রেট গ্লেন ম্যাকগ্রা ও শেন ওয়ার্নের।
এরপরেই তাসের ঘরের মতো ভাঙা শুরু হয়েছে ইংল্যান্ডের ইনিংস। রুটের অস্ট্রেলিয়ায় সেঞ্চুরির অপেক্ষা বেড়েছে আরও, এবার ৮৯ রান করে ক্যামেরন গ্রিনের বলে ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে। স্টোকস কামিন্সের বাড়তি লাফিয়ে ওঠা ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ১৪ রানে, ওলি পোপ ৪ রান করে আউট লায়নের বলে। জস বাটলার শুরুটা ভালো করেছিলেন, কিন্তু ২৩ রান করে তিনিও ক্যাচ দিয়েছেন ক্যারিকে। এরপর রবিনসন ও উডকে আউট করে চারটা পেয়েছেন লায়ন। অদিকে ক্যারির ম্যাচে ডিসমিসাল হয়েছে আট, টেস্ট অভিষেকে যা যৌথভাবে সর্বোচ্চ। ফলে ইংল্যান্ড অলআউট হয়ে গেছে ১৯৭ রানে। জয়ের জন্য মাত্র ২০ রানের লক্ষ্য পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। চোটে থাকা ডেভিড ওয়ার্নার নামেননি, ক্যারি ব্যাট করতে নেমে আউট হয়েছেন। তাতে অবশ্য সমস্যা হয়নি, অস্ট্রেলিয়া ৯ উইকেটেরই জয় পেয়েছে।
এই টেস্টের ভাগ্যটা আসলে লেখা হয়ে গেছে প্রথম দিনেই। ইংল্যান্ড ১৪৭ রানে অলআউট হয়ে গেছে প্রথম দিনেই, এরপর ডেভিড ওয়ার্নার-লাবুশেনের ব্যাটে লিড নেয় অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ড যখন ম্যাচে ফেলার চেষ্টা করে, দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে তাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গেছেন ট্রাভিস হেড। ১৫২ রানের জন্য তার হাতেই উঠেছে ম্যাচসেরার পুরস্কার।