অবিশ্বাস্য এক সকালে ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে-উড়িয়ে অ্যাশেজ নিশ্চিত করল অস্ট্রেলিয়া
ইংল্যান্ড ১৮৫ ও ৬৮
অস্ট্রেলিয়া ২৬৭
ফলঃ অস্ট্রেলিয়া ইনিংস ও ১৪ রানে জয়ী
সকালে ঘুম ভেঙে যখন দেখছেন খেলাই শেষ, তখন হয়তো একটু ধন্দে পরে গেছেন। না, বৃষ্টি বা অন্য কিছু নয়, অবিশ্বাস্য এক সকালে ইংল্যান্ডকে আসলেই গুটিয়ে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা, আরও নির্দিষ্ট করে বললে স্কট বোল্যান্ড। তার ৬ উইকেটের কল্যাণে ২৬৭ রান করেও ইনিংস ব্যবধানে জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সেই সঙ্গে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকার পর নিশ্চিত হয়েছে অ্যাশেজ।
অথচ দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশন শেষেও মনে হচ্ছিল এই টেস্টে ইংল্যান্ডের ভালো সুযোগ আছে। অস্ট্রেলিয়াকে ২৬৭ রানে বেঁধে রেখে তাদের বড় লিড নিতে দেননি অ্যাণ্ডারসনরা। দ্বিতীয় ইনিংসে খুব ভালো ব্যাটিং করলে ইংল্যান্ডের কিছু করার সুযোগ ছিল। কিন্তু সেটা যে হচ্ছে না, নিশ্চিত হয়ে গেছে দ্বিতীয় দিনের বিকেলেই। অনেক দিন মনে রাখার মতো একটা ওপেনিং স্পেলে শুরুটা করেছিলেন স্টার্ক-কামিন্স। উইকেট স্টার্কই পেয়েছেন, কামিন্স আরেক প্রান্ত থেকে চাপ ধরে রাখার কাজ করেছেন। পরে সেই সুবিধা নিয়ে বোল্যান্ড পেয়েছেন শেষ বিকেলে দুই উইকেট। আর তাতেই নেই ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার হাসিব হামিদ, বার্নস, মালান ও নাইটওয়াচম্যান লিচ।
তারপরও জো রুট ছিলেন, ইংল্যান্ডের একটা আশা ছিল। ছিলেন বেন স্টোকস, তার কাছ থেকে দরকার ছিল হেডিংলি মহাকাব্যের মতো কিছু। কিন্তু সেটা হলো না। হতে দিলেন না স্টার্ক। সকালে তার ভেতরের দিকে ঢোকা বলে বিট হয়ে বোল্ড হয়ে গেছেন স্টোকস, ইংল্যান্ডের দুঃস্বপ্নের শুরু সেখান থেকে। এরপর জনি বেইরস্টোকে এলবিডব্লু করেছেন বোলান্ড, রিভিউ নিয়েও আম্পায়ারস কলে আউট হয়ে গেছেন বেইরস্টো। রুট একাই লড়ছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২৮ রান করে বিদায় নিয়েছেন বোল্যান্ডের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে। এরপর ইংল্যান্দের লম্বা টেলকে একে একে তুলে নিয়েছেন বোল্যান্ড। ২১ বলের মধ্যে পেয়েছেন ৬ উইকেট, ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে তার হাতে।
ইংল্যান্ড শেষ পর্যন্ত গুটিয়ে গেছে ৬৭ রানে, ১৯৩৬ সালের পর অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাশেজে যা সর্বনিম্ন স্কোর। সেই সঙ্গে এই বছরে নয়টি টেস্ট হারল ইংল্যান্ড, ছুঁয়ে ফেলল ২০০৩ সালে বাংলাদেশের গড়া রেকর্ড। এই বছরে মোট ৫৪টি ডাক মেরেছেন ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা, যা তাদের নিজেদের রেকর্ড। বছরের শেষটা এর চেয়ে ভুলে যাওয়ার মতো হতে পারত না তাদের।