• বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফর
  • " />

     

    শুরু আর শেষের ফেরায় বৃথা যায়নি বাংলাদেশের দিন

    শুরু আর শেষের ফেরায় বৃথা যায়নি বাংলাদেশের দিন    

    ১ম টেস্ট, মাউন্ট মঙ্গানুই (টস- বাংলাদেশ/বোলিং)

    নিউজিল্যান্ড- ২৫৮/৫ (কনওয়ে ১২২, ইয়াং ৫২, নিকোলস ৩২*, শরিফুল ২/৫৩, মুমিনুল ১/৫, এবাদত ১/৫৩)

    ১ম দিন, স্টাম্পস


     

    পিচে সামান্য ঘাসের প্রলেপ দেখে যে আশায় বাংলাদেশ মুমিনুল হক বোলিং নিয়েছিলেন সেই আশা পুরোপুরি ভেস্তে যেতে পারত ডেভন কনওয়ের দারুণ ব্যাটিংয়ে। পরিকল্পনা একেবারেই বিফলে যায়নি শেষ সেশনের তিন উইকেট। এর আগে ডেভন কনওয়ের ১২২ রানে যদিও দিন শেষ হওয়ার আগে শক্ত অবস্থানে নিউজিল্যান্ডই। 

    কনওয়েকে উইকেটে আসতে হয়েছিল দিনের চতুর্থ ওভারেই। লাল বল হাতে কন্ডিশনের সুবিধা আদায় করে দুর্দান্ত ওপেনিং স্পেল করেছিলেন বাংলাদেশের দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম। তারই ধারাবাহিকতায় শরিফুল ফেরান অধিনায়ক টম ল্যাথামকে, উইকেটের পিছনে লিটন দাসের তালুবন্দি করে। প্রথম ৮ ওভারে দুই জন মিলে দিয়েছিলেন ৬ মেইডেন, রান দিয়েছিলেন মোটে ২! 

    তবে এরপর ধীরে ধীরে উইকেট ব্যাটিং-বান্ধব হয়ে আসে। সেই সাথে বাংলাদেশের বোলিংয়েও ছিল না যথেষ্ট ধার। উইকেটে যা একটু সুবিধা পাচ্ছিলেন পেসাররাই। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনের বেশ কিছু সময় ধরেই মেহেদী হাসান মিরাজকে বোলিং করান মুমিনুল। তারই সুবিধা নিয়ে উইকেটে মাটি কামড়ে পড়ে থাকা কনওয়ে ও উইল ইয়াং হাত খোলেন; দুজনেই পূর্ণ করেন ফিফটি। তবে স্রোতের বিপরীতে ওই মিরাজের ওভারেই দ্বিতীয় সেশনে উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। মিরাজের বল লেগে ঠেলে দিয়ে দ্রুত সিঙ্গেল বের করার চেষ্টা করেন ইয়াং। তবে সেখানে সিঙ্গেল বের করা কষ্টসাধ্য হত বলেই কনওয়ে তার ডাকে সাড়া দেননি। নাজমুল হোসেন শান্তর থ্রোতে দ্রুত স্টাম্প উপড়ে ফেলতেও তাই ভুল করেননি লিটন। ইয়াংয়ের বিদায়ে অবসরের ঘোষণা দেওয়া রস টেইলর উইকেটে এলে সাদরে বরণ করে নেন তাকে দর্শকরা।

    তবে শেষ সেশনে টেইলর ফিরে যান। স্বাচ্ছন্দ্যেই খেলে যাচ্ছিলেন তিনি; তবে হালকা লাফিয়ে ওঠা বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে সাদমান ইসলামের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি, ৩১ রানে শরিফুলের দ্বিতীয় শিকার হয়ে। এর মাঝেই অবশ্য দুর্দান্ত ফর্মে থাকা কনওয়ে তুলে নিয়েছিলেন তার ২য় টেস্ট সেঞ্চুরি। নতুন বল নেয়ার আগে মুমিনুল ও শান্ত যখন হাত ঘোরাচ্ছিলেন তখন তাদের ওপর চড়াও হতে গিয়ে অবশ্য কাল হয় তার। সেটাও একেবারে নিরীহ এক বলে; লেগের বল ফ্লিক করতে গিয়ে লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। নতুন বল নেওয়ার দুই বল আগেই এভাবে ফেরায় স্বভাবতই হতাশ ছিলেন তিনি। বাংলাদেশও ছুটতে থাকা কনওয়েকে ফিরিয়ে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। বোলিংয়ে প্রাণ ফিরে পাওয়ার ফল হিসাবে টম ব্লান্ডেলকেও উইকেটে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেয়নি তারা। এবাদত হোসেনের বল স্টাম্পে ডেকে এনে ব্লান্ডেল ফিরলে স্টাম্পস ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ তাই চাইবে ৩২ রানে অপরাজিত থাকা হেনরি নিকোলসকে কাল সকালেই ফেরাতে। উইকেটে থিতু হয়ে যাওয়া নিকোলস চাইবেন সকালটা দেখেশুনে কাটিয়ে দিয়ে এরপর বড় সংগ্রহে মনোনিবেশ করতে।