• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    অ্যানফিল্ডে পার পেয়ে গেল লিভারপুল, বায়ার্নের আবারও সাত

    অ্যানফিল্ডে পার পেয়ে গেল লিভারপুল, বায়ার্নের আবারও সাত    

    সান সিরোতে প্রথম লেগটা ২-০ গোলে জিতে এসেছিল লিভারপুল। অ্যানফিল্ডে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে নামার আগেই লিভারপুল অনেকটা কাজ সেরে রেখেছিল। কিন্তু সামান্য যে কাজ বাকি ছিল সেটাই কেঁচে যাচ্ছিল আরেকটু হলে। লতারো মার্তিনেজের গোলে অলরেডদের হারিয়ে চমকে দিয়েছে ইন্টার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অ্যাগ্রিগেটে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে তাদের হতাশ হয়েই ফিরতে হয়েছে। অন্য ম্যাচে সালজবুর্গকে অয়ালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় একদম উড়িয়ে দিয়েছে বায়ার্ন, ৭-১ গোলের জয়ে দাপটের সাথে নিশ্চিত করেছে কোয়ার্টার ফাইনাল। 

    অ্যানফিল্ডে শুরু থেকে ইন্টার চেষ্টা করেছিল ম্যাচে ফেলার। যদিও পরিষ্কার কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না তারা। ২৫ মিনিটে দর্শকদের একজন অসুস্থ হয়ে পড়ায় খানিক সময়ের জন্য খেলা বন্ধ থাকে। এরপরেই লিভারপুল এগিয়ে যেতে পারত, কিন্তু জোয়েল মাতিপের হেড ফিরে আসে পোস্টে লেগে। ভার্জিল ভ্যান ডাইকও গোল করতে পারতেন, কিন্তু তার হেড লাইন থেকে ব্লক করেন মিলান স্ক্রিনিয়ার। 

    বিরতির পর আবার লিভারপুলের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় পোস্ট, এবার হতাশ হতে হয় মো সালাহকে। কিন্তু এক ঘন্টার পরেই বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক স্ট্রাইকে বল জালে জড়িয়ে দেন লতারো মার্তিনেজ। এরপরেই লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন অ্যালেক্সিস সানচেজ, দশ জনের দলে হয় ইন্টার। লিভারপুল গোল করার চেষ্টা করে, কিন্তু সালাহকে আবারও হতাশ করে পোস্ট। আর শেষ মুহূর্তে লুইজ দিয়াজের শট লাইন থেকে ক্লিয়ার করেন ভিদাল। গত বছরের মেতে ফুলহামের কাছে হারার পর এটাই অ্যানফিল্ডে প্রথম হার স্বাগতিকদের, আর এই বছরের প্রথম হারও বটে। দারুণ ফর্মে থাকা লিভারপুলের জন্য ক্লপ এই ম্যাচ দেখতে পারেন সতর্কবার্তা হিসেবে। 

    বায়ার্নকে নিজেদের মাঠে ১-১ গোলে ঠেকিয়ে দিয়েছিল সালজবুর্গ। কাল আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় তারা উড়ে গেছে। রবার্ট লেভানডফস্কি ২৩ মিনিটের মধ্যেই করেছেন হ্যাটট্রিক, চ্যাম্পিয়নস লিগে তার গোল হয়েছে ৮৫টি। থমাস মুলার করেছেন দুই গোল, অন্য দুইটি করেছেন গ্যানাব্রি ও সানে।