• আইপিএল
  • " />

     

    প্লে-অফের পথে পাঞ্জাবের পরাক্রমশালী জয়ের পর আরও একটি বাঁক

    প্লে-অফের পথে পাঞ্জাবের পরাক্রমশালী জয়ের পর আরও একটি বাঁক    

    পাঞ্জাব-বেঙ্গালুরু, ব্রাবোর্ন (টস-বেঙ্গালুরু/বোলিং)
    পাঞ্জাব কিংস- ২০৯/৯, ২০ ওভার (লিভিংস্টোন ৭০, বেইরস্টো ৬৬, ধাওয়ান ২১, হার্শাল ৪/৩৪, হাসারাঙ্গা ২/১৫, ম্যাক্সওয়েল ১/১৭)
    রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু- ১৬১/২, ১৮.১ ওভার (ম্যাক্সওয়েল ৩৫, পাটিদার ২৬, কোহলি ২০, রাবাদা ৩/২১, ধাওয়ান ২/৩৬, চাহার ২/৩৭)
    ফলাফল: পাঞ্জাব ৫৪ রানে জয়ী

     

    ম্যাচের আগে পয়েন্ট তালিকায় ৪র্থ স্থানে ছিল বেঙ্গালুরু, ম্যাচের পরেও তাই। তবে জয়ের জন্য মরিয়া পাঞ্জাবের দুর্দান্ত জয়ে বেঙ্গালুরু শিবিরে এখন শেষ চারে জায়গা করে নিয়ে জেগেছে প্রবল শঙ্কা, আর পাঞ্জাবের আশার পালে লেগেছে হাওয়া। জনি বেইরস্টোর ঝড়ো শুরুর পর লিয়াম লিভিংস্টোণের সময়োপযোগী ইনিংসে বড় সংগ্রহ পেয়েছিল পাঞ্জাব। কাগিসো রাবাদা, আরশদিপ সিং, ঋষি ধাওয়ান, রাহুল চাহারদের দারুণ বোলিংয়ে সেই লক্ষ্য তাড়ায় পাত্তাই পায়নি ভিরাট কোহলিরা। রান রেটে বড় ধাক্কা খেয়ে বেঙ্গালুরুর কপালে চিন্তার ভাঁজ যতটাই প্রসারিত হয়েছে, রান রেটে বিশাল লাফ দিয়ে পাঞ্জাবের আশার প্রদীপ ঠিক ততটাই ঔজ্জ্বল্য নিয়ে জ্বলে উঠেছে।   

     

    বেইরস্টো ঝড়ে শুরু, লিভিংস্টোনে শুরু

    ফর্মহীনতার সব জবাব দিতে শিখর ধাওয়ানকে নিয়ে এদিন যেন রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছিলেন বেইরস্টো। ৫ম ওভারে ২১ রানে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের শিকার হয়ে ধাওয়ান ফিরে যাওয়ার পরের ওভারে খোলসে না ঢুকে ওই ওভারেই উল্টো আরও চড়াও হন বেইরস্টো। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে মোহাম্মদ সিরাজকে ১ চার ও ৩ ছয় মেরে নেন ২৩ রান নেওয়ার পথে ২১ বলে পূর্ণ করেন তার ফিফটি, যা টি-টোয়েন্টিতে তার দ্রুততম। পাওয়ারপ্লেতেই ৮৩ রান উঠে যাওয়ার পরের ওভারেই অন্য প্রান্তে থাকা ভানুকা রাজাপাকসা ফিরে গেলে চেপে বসে বেঙ্গালুরু। তারই ধারাবাহিকতায় কিছুক্ষণ নিশ্চুপ থাকার পর ১০ম ওভারে শাহবাজ আহমেদের শিকার হয়ে শেষ হয় বেইরস্টোর ২৯ বলে ৬৬ রানের ইনিংস। বেইরস্টো যেমন প্রায় সব বলেই ব্যাট চালিয়ে গিয়েছেন তার ইংলিশ সতীর্থ লিয়াম লিভিংস্টোন সেটার জন্যই সুপরিচিতি পেলেও এদিন তিনি খেলেছেন পরিস্থিতি বুঝে। মাঝের ওই সময়টুকু নিজের উইকেটের মূল্য বুঝে খেলে ঝড় তুলেছেন শেষে। অন্য প্রান্তে উইকেটের আসাযাওয়ার মাঝেও উইকেটে থেকে জশ হেজলউডের ওপর চড়াও হয়েছিলেন ১৯তম ওভারে; ৩৫ বলে ফিফটি পূর্ণ করে ২টি করে চার ও ছয় মেরে ওই ওভারে নেন ২৪ রান। ওই ওভার শেষ হেজলউডের বোলিং ফিগার বলছিল: ৪-০-৬৪-০, যা তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সবেচেয়ে খরুচে ফিগার। হার্শালের করা শেষ ওভারে সেই ৭০ রানেই লিভিংস্টোন ফেরার পর আরও দুই উইকেটের পতন হলেও পাঞ্জাব পেয়ে যায় বিশাল সংগ্রহ।

    পেস-স্পিনের দারুণ যুগলবন্দীতে পাঞ্জাবের দাপট

    ভিরাট কোহলি ২০ রানে রাবাদার শিকার হয়ে ফেরার পর ধাওয়ানের এক ওভারেই যখন ফাফ ডু প্লেসি ও মাহিপাল লোমরর ফিরলেন বেঙ্গালুরুর রান তাড়া তখনই খেয়েছিল বড় ধাক্কা। পাওয়ারপ্লের ঠিক পরের ওভারেই ২ ছয় ও ১ চারে রাহুল চাহারকে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল স্বাগত জানালেও অন্য প্রান্তে থাকা রজত পাটিদারের বিদায়ের পরের ওভারে হারপ্রিত ব্রারকে উইকেট দিয়ে ফেরেন ২২ বলে ৩৩ রান করা ম্যাক্সওয়েল। ১২ ওভারেই ৫ উইকেট খুইয়ে বসা বেঙ্গালুরু এরপর আর ম্যাচের কোনও অবস্থায়ই আর ফিরে আসতে পারেনি। ১৫তম ওভারে ১১ রানে থাকা দীনেশ কার্তিককে ফিরিয়ে যেন বেঙ্গালুরুর কফিনে শেষ পেরেকটাও ঠুকে দেন আরশদিপ। এরপর রাবাদা আরও ২টি ও চাহার ১টি উইকেট তুলে নিয়ে বেঙ্গালুরুকে বরণ করতে হয় নিদারুণ পরাজয়।