• আইপিএল
  • " />

     

    শীর্ষস্থানীয়দের লড়াইয়ে বড় জয় দিয়েই প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফে গুজরাট

    শীর্ষস্থানীয়দের লড়াইয়ে বড় জয় দিয়েই প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফে গুজরাট    

    লক্ষ্ণৌ-গুজরাট, পুনে (টস-গুজরাট/ব্যাটিং)
    গুজরাট টাইটান্স- ১৪৪/৪, ২০ ওভার (গিল ৬৩*, মিলার ২৬, তেওয়াতিয়া ২২*, আভেশ ২/২৬, মহসিন ১/১৮, হোল্ডার ১/৪১)
    লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস- ৮২, ১৩.৪ ওভার (হুডা ২৭, আভেশ ১২, ডি কক ১১, রশিদ ৪/২৪, সাই কিশোর ২/৭, দয়াল ২/২৪ )
    ফলাফল: গুজরাট ৬২ রানে জয়ী

     

    পয়েন্ট তালিকার শুরুর দুই দলের লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসল শীর্ষে থাকা গুজরাটই; সেই সাথে প্রথম দল হিসেবে নিশ্চিত করল এই আসরের প্লে-অফ। ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েও শুবমন গিলের ‘ক্যারি দ্যা ব্যাট’ আর রাহুল তেওয়াতিয়ার শেষের আতশবাজির পরেও দলীয় সংগ্রহটা ছিল ‘লড়াকু’। তবে সেই পুঁজিই যে দিনশেষে প্রয়োজনের চেয়েও যথেষ্ট হয়ে দাঁড়াবে তা বোধহয় গুজরাট শিবিরও ভাবেনি। রশিদ খান, রবিশ্রীনিবাসন সাই কিশোর, মোহাম্মদ শামিদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে তাই পাত্তাই পায়নি লক্ষ্ণৌ।

    আভেশ, মহসিনদের তোপ সামলে গিলের প্রতিরোধ, তেওয়াতিয়ার শেষের আতশবাজি

    পাওয়ারপ্লেতে আভেশ খান, মহসিন খান, দুশমন্থ চামিরাদের দারুণ বোলিংয়ে সেই অর্থে লাগামছাড়া হতে পারেনি গুজরাট। মহসিন ও আভেশ ১টি করে উইকেট তুলে নিলে পাওয়ারপ্লেতে গুজরাট তুলতে পারে ৩৫ রান। ৬ষ্ঠ ওভার থেকে টানা ২৭ বলে কোনও বাউন্ডারি না পাওয়ার পর ১০ম ওভারে প্রথম বলে আভেশের শিকার হয়ে এরপর ফিরে যান গুজরাট অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াও ফিরে যান। ওই ওভারের শেষ বলেই চার মেরে হাত খোলার ইঙ্গিত দেন গিল। তবে পুরো ইনিংসের কোনও পর্যায়েই হাত খুলতে পারেননি তিনি, পারেননি উইকেটে আসা ডেভিড মিলারও। ১৬তম ওভারের প্রথম বলেই জেসন হোল্ডারকে ছয় মেরে মিলার হাত খোলার ইঙ্গিত দিলেও ২৪ বলে ২৬ রানের ইনিংস শেষে ফিরে যান ওই ওভারের শেষ বলেই। পরের ওভারে গিল ৪২ বলে পূর্ণ করেন তার ফিফটি; ৪৯ বলে ৬৩* রান করে উইকেটেও থাকেন শেষ পর্যন্ত। শেষ ওভারে হোল্ডারকে তিন চার মেরে রাহুল তেওয়াতিয়া ১৬ বলে ২২* রান করে দলকে নিয়ে যান ১৪৪ রান পর্যন্ত।

    রশিদ-সাই কিশোরের স্পিন বিষে নীল লক্ষ্ণৌ

    পাওয়ারপ্লেতে গুজরাটকে ম্যাচে জয়ের দিকে এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছিলেন মোহাম্মদ শামি ও ইয়াশ দয়াল। দুজনের দারুণ জুটিতে পাওয়ারপ্লেতেই ফিরে যান লোকেশ রাহুল, কুইন্টন ডি কক ও কারান শর্মা। ৮ম ওভারে দৃশ্যপটে রশিদ খানের আবির্ভাবের পর প্রথম ওভারেই তিনি ফেরান  ক্রুনাল পান্ডিয়াকে। আসরে প্রথম বারের মত নেমে সাই কিশোরও প্রথম ওভারেই ফেরান আয়ুশ বাদোনিকে। পরের ওভারে দীপক হুডার সাথে ভুল বুঝাবুঝিতে মার্কাস স্টইনিস ফিরে গেলে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে যায় লক্ষ্ণৌ। ওই ওভারের শেষ বলেই হোল্ডারকেও রশিদ ফেরালে শেষ নিভে যায় টিমটিম করে জ্বলতে থাকা লক্ষ্ণৌ’র আশার প্রদীপ। পরের দুই ওভারে সাই কিশোর ১টি এবং রশিদ আরও ২টি উইকেট তুলে নিয়ে লক্ষ্ণৌ’র কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন।