• ফুটবল

অল রেডস - লিভারপুলকে নিয়ে বই!

পোস্টটি ৯৬ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

ফুটবল নিয়ে উন্মাদনায় বাংলাদেশীদের সাথে পাল্লা দেয়া মুশকিল। রাত জেগে ইউরোপীয়ান ফুটবল দেখা এই জাতিকে এক সুতোয় বেঁধে রেখেছে ক্লাবগুলোর প্রতি ভক্তদের গাঢ় ভালোবাসা আর উচ্ছ্বাস। যেসব ক্লাব নিয়ে এদেশে উন্মাদনায় ভাসেন ভক্তরা তাদের একটি লিভারপুল। নিঃসন্দেহে দেশজুড়ে এই ক্লাবের ভক্তরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন দেশের প্রান্তে প্রান্তে।

 

লিভারপুলকে নিয়ে এবারই প্রথম কোনো বই লেখা হয়েছে বাংলা ভাষায়। তা প্রকাশ হতে চলেছে এবারের একুশে বইমেলায়। তবে 'অল রেডস' নামের বইটি কেবলই লিভারপুল ভক্তদের জন্য না। বরং যেকোনো ফুটবল ভক্তের জন্যই। কাটখোট্টা ইতিহাস, আর একপেশে সব গল্পের বিপরীতে বইটি সম্পূর্ণ এক ভিন্ন রাস্তায় হেঁটেছে।

 

অল রেডস এ তুলে ধরা হয়েছে এমন সব ঘটনা আর অধ্যায়ের যা আপনাকে চমৎকৃত করবেই। স্টিফেনের রেললাইনে আত্মাহুতি কিংবা শেল্ডনের কেলেঙ্কারি, জনকের সাথে সাথে ইস্তানবুলের অবিস্মরণীয় সে রাত!  ভিন্নধর্মী এই বই আপনাকে হতাশ করবে না বলে আমার বিশ্বাস। 

 

অল রেডস বইটি ৮টি ভিন্ন অধ্যায়ে সাজানো। ৮টি অধ্যায় ভিন্ন ভিন্ন ৮টি সময়ের ও ঘটনার সাক্ষী। মর্মান্তিক হিলসবরো ট্রাজেডি কিংবা হেলসেলের বিদঘুটে সে সন্ধ্যা, বব পিয়েসলির বদলে দেয়া লিভারপুলের গল্পে বিল শ্যাঙ্কলির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া; কিংবা একই শহরে গড়ে উঠা দুটো ক্লাব কিভাবে শতাব্দীর পর শতাব্দী ঠিকে থাকলো অবাধ বিস্ময়ে; সে গল্পও থাকছে এই কিস্তিতে। 

 

ধারণা করা হচ্ছে অল রেডস মোট তিনটি কিস্তিতে প্রকাশ পাবে। এই কিস্তিতে যেসব অধ্যায় থাকছে সেগুলোকে আরোও বেগবান করবে পরবর্তী কিস্তি। গল্পে গল্পে এগিয়ে যাবে একেকটি অধ্যায়। প্রথম কিস্তির অন্যতম দুটো অধ্যায় থাকছে ইয়ুর্গেন ক্লপের নরমাল ওয়ান হওয়ার গল্প ঘিরে। পাশাপাশি মিরাকল ঘটানো ইস্তানবুলের অবিস্মরণীয় সে রাতের বর্ণনাও উঠে এসেছে অল রেডস বইয়ে। 

 

বাংলাদেশে ফুটবল নিয়ে বই খুব কমই লেখা হয়। স্পেসিফিক কোনো দল বা ক্লাবকে নিয়ে তো লেখা হয় না বললেই হয়। বাংলাদেশে এই সংস্কৃতি এনেছিলেন আহনাফ নাসিফ। রিয়াল মাদ্রিদ শিরোনামে তার বইটি দেশব্যাপী ব্যাপক সাড়া ফেলেছিলো। মজার ব্যাপার হলো আহনাফ নাসিফ ভাই আমাকে এই বই লেখার ব্যাপারে ব্যাপক উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো অল রেডস বইটির সম্পাদনার কাজটিও করেছেন আহনাফ নাসিফ।

 

প্রকাশকের কথায় শান্তি কুটির থেকে আহনাফ নাসিফ লিখেছেন :

 

বই হিসেবে পাঠকদের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করবে বলে আমার বিশ্বাস। লিভারপুল ফুটবল ক্লাবকে নিয়ে শুরু করা যাত্রা যেন লেখকের না থামে, তার প্রতিও আমার প্রত্যাশা রইলো। অলরেডস পাঠকপ্রিয় হোক - এই কামনায়। 

 

আপাতত একুশে বইমেলায় পাওয়া যাবে, তারপর রকমারিতেও আসবে। ঘাসফুল প্রকাশনীর ১৮০/৮১ নাম্বার স্টলে পাওয়া যাবে বইমেলার শুরু থেকেই ইনশা আল্লাহ। 

 

 

 

আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা কাম্য।