লাল বিপ্লব, স্বপ্ন পূরণ কিংবা আমার এনফিল্ড ভ্রমণ!
পোস্টটি ৪৯৯৭ বার পঠিত হয়েছেহাজার কবিতা, বেকার সব-ই তা,
তার কথা কেউ বলে না; সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা- নচিকেতার এ গান বুঝে না বুঝে কতশত উদাস সময় পার করে আসা ছোটবেলার নস্টালজিক সময়ে ফিরে গেলে আজ অবাক হতে হয়!
ছোটবেলার যেসব খুব অল্প স্মৃতি আজীবন নচিকেতার এ গানের মতো বুকে বিঁধে থাকবে তার একটি হচ্ছে সময়ে- অসময়ে সোফায় গুটিশুটি বসে টিভিতে ফুটবল খেলা দেখা৷ প্রিমিয়ারলীগ তখন ছিল সময়ের সেরা বন্ধু, কত দারুণ মুহুর্তের সাক্ষী। অলরেড'দের প্রেমে পড়ে যাওয়া, দিনদিন দলটায় নিজের আবেগ খুঁজে পাওয়া- কবে কি হয়ে গেলো বুঝে উঠতে পারলাম না।
জেরার্ড- ক্যারেঘার, রেইনা- রবি ক্বিন'দের সাথে তখনো ফার্নান্দো তোরেসের জুটি হয়নি; সোনালী চুলের প্রানবন্ত সুপুরুষ তোরেস যেদিন থেকে অলরেডদের জার্সি গায়ে মাখালো- আমার ভালোবাসা তখন তুঙ্গে। আমার ছোটবেলা রাঙ্গিয়ে দিয়েছিলো প্রিমিয়ারলীগ সে কথা বলাই বাহুল্য। তখনো স্যার আলেক্স ফার্গুসনের রাজত্ব চলে, ম্যানচেস্টারের সোনালী সময়। লিভারপুলে তখন ভিন্ন চিত্র, দারুণ ফুটবল খেলেও লীগ শিরোপা না জেতার আক্ষেপ'টা কেবলই দীর্ঘ হতে লাগলো। টেমসের পানি গড়ালো বহুদূর, কত রাত দিনে বদলে গেলো- কত কোচ আসলো গেলো- কত প্লেয়ারই সাইন না হলো! তাতে কি! ছোটবেলার ভালোবাসা দিনে দিনে যেন গভীর-ই হলো। যাক সেসব যাপিত স্মৃতি।
আফসোসের জায়গা'টা ছিলো অন্যখানে। ম্যাচ শুরু হওয়ার আগের এন্থম, স্টেডিয়াম ভর্তি হাজার দর্শকের বাঁধভাঙা জয়োধ্বনী কানে বাজতো সেতারার মতো করে। অপুলক এক রোমাঞ্চ গ্রাস করতো মনে। শুধুই ভাবতাম, আহা আমিও যদি এই উল্লাসের মিছিলে সামিল হতে পারতাম!
এরপর কেটে গেছে জীবনের অনেক বসন্ত। পালের হাওয়ার বদলেছে কতকিছু। বদলায়নি কেবল নিজ চোখে আমার 'প্রথম প্রেম' লিভারপুলের তীর্থস্থান এনফিল্ড একটিবার ঘুরে আসার যন্ত্রনা। যন্ত্রনা স্বপ্নে ছিলো প্রানবন্ত, স্বপ্ন যে পূরণ হবে সেটাও ছিলো নিছক অবাস্তব। বাংলাদেশ থেকে এনফিল্ড যে কতদূর সেটা মেপে নেয়ার দুঃসাহও করিনি কখনো।
কথায় আছে মানুষ তার স্বপ্নের চেয়েও বড় বলে জানতাম। সেটা কেবল পুস্তকের ভাষাতেই আর সাহিত্যেই জেনেছে সবাই। আমার ছোটবেলার লালিত স্বপ্ন'টাও যে একদিন বাস্তবে রূপ নিবে- এই বিশ্বাসটুকু কেবল আমিই দৃঢ়চিত্তে বিশ্বাস করতাম।
লন্ডনে পা রেখে দেখলাম এখান থেকে এনফিল্ড ঘন্টা সাতেকের রাস্তা। মন'টাই খারাপ হয়ে গিয়েছিলো। সাত সমুদ্র পেরিয়ে টেমসের তীরে যেহেতু এসে গেছি, সাত ঘন্টা তো জলবৎতরলং ব্যপার।
হুটহাট করা যেকোনো প্লানই নাকি দারুণ সুন্দর হয়। আর্সেনালের এমিরেটস স্টেডিয়াম, চেলসির স্টামফোর্ড আর ওয়েষ্টহ্যামের স্টেডিয়াম ভিজিট করে এসে স্নেহাস্পদ আশফাককে বললাম, আসল কাজ'টাই তো এখনো করা হয়ে উঠলো না। লিভারপুলের পাড় ভক্ত আশফাকের চোখেমুখে সেদিন আনন্দের ঝিলিক দিয়েছিলো; অবশেষে! অবশেষে আমাদের স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে? আমরা এনফিল্ড যাচ্ছি? একই স্বপ্নে বড় হওয়া দুই যুবকের আত্মতৃপ্তির ঢেকুর কেবল এনফিল্ড ভ্রমনের পরিকল্পনায় নয়- শেষমেশ সবকিছু গুছিয়েও ফেললাম।
রৌদ্রস্নাত ভোর সকালে হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশন থেকে আমাদের যাত্রা শুরু হলো। গন্তব্যে ভিক্টরিয়া কোচ স্টেশন। ভিক্টোরিয়ায় পৌঁছালাম তখন সবে শহর ব্যস্ত হতে শুরু করেছে। আমাদের বাহন ছিলো ন্যশনাল এক্সপ্রেস- এ দেশের এনা পরিবহন, বলা চলে রাজপথের সৈনিক। ইংল্যান্ডে সাধারণত রেল পরিবহন মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী। বাস চলে দূরপাল্লার যাত্রায়।
প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টায় আমরা পৌঁছালাম যাত্রাবিরতিতে বার্মিংহ্যামে। আধাঘন্টা বিরতি নিয়ে আবারো উদ্দেশ্যে যাত্রা করলাম। এক ঘুম দিয়ে উঠেই আবিষ্কার করলাম আমরা লিভারপুল শহরে পৌঁছে গেছি। নামলাম 'লিভারপুল ওয়ান' বাস স্টপে। এটাই মূলত লিভারপুল শহরের সিটি সেন্টার।
লিভারপুল শহরটা দারুণ। আভিজাত্য কম, কিন্তু নিরিবিলি শান্ত পরিবেশ। সিটি সেন্টার গড়ে উঠেছে মার্সিসাইড এরিয়ায়, মূলত পোর্ট অঞ্চল। ইংল্যান্ডের পঞ্চম বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর হলো এটি। এক পলকেই লিভারপুল সমুদ্র বন্দর অঞ্চলের প্রেমে পড়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না। আমাদের স্টেডিয়াম ট্যুরের এপয়েন্টম্যান্ট বুকিং নেয়া ছিলো দুপুর ৩ঃ৩০ এ। বাস স্টেশন থেকে এনফিল্ড আরোও ৩০ মিনিটের রাস্তা। আমরা উবার ভাড়া করলাম, ১০ পাউন্ডেই এনফিল্ডে পৌঁছে গেলাম।
পথে যেতে যেতে উপভোগ করলাম লিভারপুল শহরের সৌন্দর্য। খুব বেশি কিছু আকর্ষণ না করলেও যানবাহনের কোলাহল খুব অল্পস্বল্প। প্রায় ২৫-২৬ মিনিটের ড্রাইভে পৌঁছে গেলাম এনফিল্ডে! আমার বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হচ্ছিলো না আমরা তখন এনফিল্ডের মূল ফটকে!
আহা সেকি আনন্দের মূহুর্ত। এ তো সে এনফিল্ড যার কল্পনা করে এসেছি অনন্ত জীবন। হাসিকান্না কত মূহুর্তের সাক্ষী এই এনফিল্ড। আনন্দের অশ্রুধারা, চোখেমুখে প্রশান্তির পরশ। প্রধান ফটকে ঢুকে আমরা কিছুটা কোনটা রেখে কোনটা করবো- আগে স্টেডিয়াম ভিজিট, মিউজিয়াম ভিজিট নাকি স্টোর ভিজিট! অভ্যর্থনা কক্ষে প্রবেশ করতেই একজন স্টাফ এসে আমাদের আমন্ত্রনা জানালেন। অনলাইনে বুক করা টিকেট চ্যাক করে নিয়ে গেলেন একটা রুমে, সেখানে আমাদের হাতে রিস্টব্যান্ড পরিয়ে দেয়া হলো, গলায় ঝুলিয়ে রাখা হলো একটা ডিভাইস, স্বাগতম জানানো হলো একটা ফ্রি এয়ারফোন উপহার দিয়ে।
স্টেডিয়াম ভিজিটের একটা সময়সীমা থাকে এবং ৩০ মিনিট অন্তর অন্তর একটা টিম স্টেডিয়াম ভিজিট করে। স্টেডিয়াম এবং মিউজিয়াম ভিজিট করার জন্য সময় দেয়া হয় ৯০ মিনিট। একজন গাইড জুড়ে দেয়া হয় প্রত্যেক ভিজিটর দলের সাথে। আমার ধারণা এই মানু্ষগুলা খুব সুখী। প্রত্যেকদিন ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির, রঙ্গের, বর্ণের মানুষকে তারা আথিয়তা দেয়।
গাইড আমাদের সাথে পরিচিত হয়ে নিলেন। তারপর কিছু নিয়মকানুন বলে নিলেন শুরুতেই। তারপর একটা প্যাসেজ পেরিয়ে আমরা ঢুকে গেলাম স্টেডিয়ামে। সেখানে দারুণ একটা সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছিলো পুরো দলের জন্য। খুব সাধারণ একটা রেকর্ড করা ভিডিও ক্লিপ দেখানো হলো- যেখানে দেখা যায় জার্গেইন ক্লপ হেটে হেটে আসছেন; এসে সবাইকে স্বাগতম জানালেন ভিজিটরদের। আড়াই মিনিটের ভিডিও বার্তা দেখলে যেকারো শরীরের লোম দাঁড়িয়ে যাবে এটা নিশ্চিত বলতে পারি।
তারপর আমাদের আসল গন্তব্যে যাত্রা, এনফিল্ডের দর্শক গ্যালারি ও মাঠ প্রদর্শন। হাঁটছি আর দেখছি কত স্মৃতিমাখা মুহুর্তে সেটে আছে দেয়ালে দেয়ালে। লম্বা এক করিডোর পেরিয়ে গাইড অবশেষে আমাদের নিয়ে গেলেন গ্যালারিতে। আহা, এনফিল্ড! এক দারুণ অনুভূতি কাজ করলো আমার মনে। আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে, ঠিক সেখান থেকে কি অসাধারণ এক দৃশ্য চোখে পড়ে। পুরো স্টেডিয়াম এক পলকেই দেখে নেয়া যায়। আমি খানিকক্ষণ মুগ্ধ হয়ে দেখলাম। এরই মধ্যে একটা মজার ঘটনা ঘটলো। আমরা ছবি তুলছিলাম বাংলাদেশের ফ্ল্যাগ হাতে নিয়ে; গাইড দলের এক ভদ্রমহিলা কিছুটা অবাক হয়ে এসে জিজ্ঞেস করলেন- এই জিনিসটা কি? আমি বললাম এটা আমাদের দেশের পতাকা। উনি জানতে চাইলেন, 'তোমাদের দেশ কোথায়?' আমি বললাম, বাংলাদেশ। ভদ্রমহিলা'টা খানিকটা ভ্রু কুঁচকে বললেন, 'ওহ আই সি! প্রাউড মোমেন্ট, হুহ?' আমাদের সাথে যারা ছিলো তাদের কেউই এশিয়ান ছিলো না। কারো সাথে কোনো ফ্ল্যাগও ছিলো না। শুধুমাত্র আমাদের হাতেই পতাকা; একজন নিজে এসে আমাদের ফটো তুলে দিতে চাইলো; আমরাও হাসিমুখে তুলে ফেললাম কিছু ছবি।
গ্যালারি থেকে হেঁটে আমরা রওয়ানা দিলাম একদম মাঠে প্রবেশ করতে; কিন্তু এখানে কিছু লিমিটেশন আছে। তারা কাউকেই নির্দিষ্ট সীমার বাইরে প্রবেশ করতে দেয় না। কি আর করা; যতটুক যাওয়া যায় ততখানিতেই তুষ্ট থাকতে হলো। এনফিল্ড ভ্রমণের সবচেয়ে উপভোগ্য এবং দারুণ বিষয় ছিলো 'এনফিল্ড ওয়ে' ধরে হেটে যাওয়া! আহ, কি দারুণ মুহুর্ত! এই পথ ধরেই তো প্লেয়ারেরা প্রত্যেক ম্যাচের আগে হেঁটে যায়- 'দিস ইজ এনফিল্ড' বোর্ডে হাত রেখে স্মৃতিফলক রেখে যায়- ঠিক যেখানটায় আমার হাত! এনফিল্ডের লাল রঙ্গে সাজানো সব গ্যালারি, বসার চেয়ার- সবুজ গালিচাময় ঘাসের মাঝে তখন প্রানবন্ত হয়ে হাসছে বাংলাদেশের পতাকা! আফসোস, খুব বেশি সময় এখানে কাটাতে পারলাম না।
মাঠ দেখা শেষ হলে আমাদের নিয়ে যাওয়া হলো ক্লাব মিউজিয়ামে। ৬ ইউরোপীয়ান শিরোপা সেখানে স্বচক্ষে দেখতে পারা ছিলো আনন্দের। মিউজিয়াম'টা লিভারপুলের ইতিহাস, ঐতিহ্যে আর সাফল্যগাঁথার সব মুহুর্ত ফ্রেমবন্দী। আছে দারুণ কিছু পোট্রের্ট, প্লেয়ার- কোচদের উক্তি। এতটুক পর্যন্ত যারা পড়েছেন, তাদের জন্য গর্ব করার মতো একটা ব্যাপার এখানে শেয়ার করি। লিভারপুল মিউজিয়ামের এক দেয়ালে ২৪টি আলাদা ভাষায় লেখা আছে 'থ্যাঙ্কিউ ফর ভিজিটিং' লেখাটা। সেখানে বাংলায় খুব সুন্দর করে লেখা আছে 'পরিদর্শনের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ'! একজন বাংলাদেশি হিসেবে আমাদের গর্বে বুকটা ফুলে গেলো। তারপর একে একে কনফারেন্স রুম আর ড্রেসিংরুম পরিদর্শন করলাম। ভ্রমণের একফাঁকে প্লেয়ারদের ডাইনিংরুমেও ঢুঁ মারতে দ্বিতীয়বার ভাবলাম না।
স্টেডিয়াম আর মিউজিয়াম ট্যুর শেষ হলে আমরা ঢুকে পড়লাম লিভারপুল ফুটবল ক্লাবের অফিসিয়াল মার্চেন্ডাইজ শো-রুমে। বিশাল এক স্টোর, কি নেই এখানে! ভাগ্যটা আমাদের জন্য খারাপ ছিলো- অনেক কিছু কেনার ইচ্ছে থাকলেও মাত্র ১৩-১৪ মিনিট পরই বের হতে হয়েছিলো, কারণ স্টোর বন্ধ করে ফেলবে তাই! একটা জিনিস লক্ষ্য করেছি, চেলসি বা আর্সেনালের অফিসিয়াল স্টোরের প্রোডাক্টের প্রায় সমান প্রোডাক্ট এখানেও আছে, কিন্তু দামটা কিঞ্চিত বেশি! স্টোর থেকে নিজের জন্য কিছুই কিনলাম না, পাড় লিভারপুল ভক্ত আমার ভাতিজার জন্য দুটো স্যুভেনির কিনে নিলাম স্মৃতিস্বরুপ; ছেলেটা যা খুশি হলো তাতে!
এক শহরে দুই ক্লাব এমন দেশ, শহর পৃথিবীতে অনেক আছে। লিভারপুল শহরে আরেকটা বড় ক্লাব এভারটন। দুটোর মধ্যখানি দূরত্ব কেবল হাজার মিটার! এনফিল্ড থেকে বের হয়ে একটা পার্ক মধ্যখানে তারপর এভারটনের স্টেডিয়াম! মার্সিসাইড এসে রাইভাল ক্লাব ভিজিট না করে চলে গেলে হয়? হেঁটে হেঁটে চলে এলাম 'গডিসন পার্ক' স্টেডিয়ামে। কিন্তু একি! আভিজাত্যর ছিটেফোঁটাও যে নেই এখানে! মূলত অনেক পুরনো ক্লাব আর স্টেডিয়ামে বড় ধরনের আধুনিকায়ন না করার ফলেই এমনটা মনে হলো। হাজার মিটারের মধ্যে দুই ক্লাব, দুই পৃথিবী, এক শহর! ভক্তরা যে কতটুক উন্মাদ সেটা না দেখে বুঝার উপায় নেই! কয়েক কিলোমিটার দূর থেকেই সব বাড়ির আঙ্গিনায় লিভারপুলের ফ্ল্যাগের দেখা মিলে, এভারটন এলাকায় তাদের ফ্ল্যাগ। নস্টালজিক হতে হয়।
আমার ছোট্ট এই জীবনে যে অল্প কয়টি স্বপ্ন পূরণ হোক চেয়েছি- এনফিল্ড ভ্রমণ ছিলো তার একটি। স্টেডিয়াম থেকে বেরুতে বেরুতে তাইতো বলেছি 'আপাতত এ জীবন স্বার্থক!' লেখা শুরু করেছিলাম নচিকেতার বিখ্যাত গানের দু'লাইন দিয়ে; নীলাঞ্জনা হয়ে কখনো জীবনে এসেছে কিনা ভেবে উঠতে লেগেছে তারুণ্যের বহু বছর। অথচ এই লিভারপুল কৈশোর পেরিয়ে আজ অবধি কি এক নিদারুণ মোহে- আবেগে, স্বতন্ত্র সমারোহে, যাপিত সম্ভাবনার সমস্ত রাস্তা মাড়িয়ে, ভয়ংকর কোনো মিছিলের অগ্রজ কোনো সেনাপতির বেশে আগলে রেখেছে সীমাহীন কোনো এক ভালোবাসায়!
এ যেন এক বিপ্লব, লাল বিপ্লব। চলছে দুরন্ত গতিতে, নির্বিকার, একাকার আলো জ্বেলে।
- আহমদ আতিকুজ্জামান।
- 0 মন্তব্য