• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    মিলানে মাদ্রিদ ডার্বি

    মিলানে মাদ্রিদ ডার্বি    

    দুই লেগের ১৮০ মিনিটে একটা আত্মঘাতী গোলই ব্যবধান গড়ে দিল। ফার্নান্দোর ওই গোলেই কপাল পুড়েছে ম্যানচেস্টার সিটির, রিয়াল মাদ্রিদ চলে গেছে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে। দুই বছর পর মিলানে আবার মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে আরেকটি ইউরোপিয়ান ফাইনালের মাদ্রিদ ডার্বি।

    এই সপ্তাহেই ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও করিম বেনজেমার অনুপস্থিতিতে রিয়ালকে জিতিয়ে ফিরেছেন গ্যারেথ বেল। আজকের ম্যাচে একমাত্র গোলটাও তাঁর কল্যাণেই। বেলের শট ফার্নান্দোর গায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে ঢুকে যায় সিটির জালে।

     

    চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে শেষ কবে দুই লেগে এমন ম্যাড়ম্যাড়ে খেলা হয়েছে- সেটা নিয়ে তর্ক হতে পারে। পুরো ম্যাচ জুড়েই অসংখ্য ভুল পাস, সেভাবে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ কেউই নিতে পারেনি। রিয়ালের আধিপত্যই ছিল, কিন্তু সুযোগ পেয়েও তারা গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। জো হার্ট দারুণ দুইটি সেভ না করলে অবশ্য রিয়ালের জয়ের ব্যবধান আরও বড় হতে পারত। একটা ব্যাপার অবশ্য জিদানকে স্বস্তি দিতে পারে, দশমবারের মতো এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে কোনো গোল খায়নি রিয়াল। সর্বশেষ লিগের এক মৌসুমে এত বেশি ক্লিন শিট ছিল আর্সেনালের, ২০০৫-০৬ সালে।

    সিটির জন্য ম্যাচটা ছিল আরও বেশি হতাশার। প্রথমার্ধে গোল খাওয়ার পরেও সেভাবে সুযোগ পায়নি, রিয়াল গোলরক্ষক কেইলর নাভাসকেও কোনো বড় পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি। প্রথমার্ধে ফার্নান্দিনহোর শট পোস্টে লেগে বাইরে চলে যায়। আর শেষ দিকে আগুয়েরোর শট চলে যায় বার উঁচিয়ে। ডেভিড সিলভা ছিলেন না, কেভিন ডে ব্রুইনও নিজেকে হারিয়ে খুঁজছিলেন। আর ইয়াইয়া তোরে তো নিজের ছায়াই হয়ে ছিলেন। বলতে গেলে সেভাবে কোনো আক্রমণই করতে পারেনি সিটি, গোলে শট নিয়েছে মাত্র একটি। প্রথমবার সেমিফাইনালে যাওয়ার সান্ত্বনা নিয়েই তাই বিদায় নিতে হয়েছে। আর জিনেদিন জিদান প্রথমবার দায়িত্ব নিয়েই রিয়ালকে নিয়ে গেলেন ফাইনালে। কোচ ও খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার দুর্দান্ত এক ডাবল জয়ের সুযোগ জিজুর সামনে।