• ভারতের বাংলাদেশ সফর
  • " />

     

    মাহমুদউল্লাহ উদ্ধারকার্যের পর মিরাজ-ম্যাজিক ও অগ্নিঝরা এবাদতে বাংলাদেশের সিরিজ জয়

    মাহমুদউল্লাহ উদ্ধারকার্যের পর মিরাজ-ম্যাজিক ও অগ্নিঝরা এবাদতে বাংলাদেশের সিরিজ জয়    

    প্রথম ম্যাচের মতই শ্বাসরুদ্ধকর এক ম্যাচ দেখল মিরপুর। শেষ বলে গড়ানো ম্যাচে বাংলাদেশের বেঁধে দেওয়া ২৭২ রানের লক্ষ্য প্রায় ধরেই ফেলেছিল ভারত, সেটাও ইনজুরিতে পড়ে আটে নামা অধিনায়ক রোহিত শর্মার ২৮ বলে ৪১* রানের বদৌলতে। এবাদত হোসেনের ৩ উইকেটময় স্পেলের সাথে মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসানের ২ উইকেটে শ্রেয়াস আইয়ারের ৮২ রান ও অক্ষর পাটেলের ৫৬ রানের প্রচেষ্টা যখন ভেস্তে যেতে বসেছিল তখনই দৃশ্যপটে আবির্ভাব ভারত অধিনায়কের।

    তবে নিজের ৯ম ওভারে মোস্তাফিজ মেইডেন দেওয়ার পরের ওভারে যেই মাহমুদউল্লাহর ওপর আক্রমণ করে ম্যাচের মোড় ঘোরালেন রোহিত, সেই ওভারে দুই বার এবাদত ও বিজয়ের ক্যাচ ফেলার জন্য নিজেকে ভাগ্যবান ভাবতেই পারেন তিনি। শেষ ওভারেও অবশ্য ম্যাচ প্রায় বের করে ফেললেও শেষদিকে স্নায়ু ধরে রেখে মস্তাফিজ নিশ্চিত করেছে জয়, সেই সাথে সিরিজও। 

     

    উমরান মালিক-মোহাম্মদ সিরাজের তোপ সামলে যেই বাংলাদশ ইনিংস মেরামতে মনযোগী হবে তখনই ওয়াশিংটন সুন্দরের ঘূর্ণিতে রীতিমত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হল ব্যাটিং লাইনআপ। ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারত যখন সিরিজে সমতা ফেরানোর স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছে তখনই গত ম্যাচের নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের আবির্ভাব। সেই সাথে ত্রাণকর্তার ভুমিকা পালন করলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

    দুজনের ১৪৮ রানের জুটি ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে ইতিহাসে ৭ম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি। উমরানের গতিতে পরাস্ত হয়ে ৯৬ বলে ৭৭ রানের ইনিংসে মাহমুদউল্লাহ থামলেও থামেননি মিরাজ। এমনকি উমরানকে চোখ রাঙ্গিয়ে নাসুম নেমে ১১ বলে ১৮* রানের দারুণ এক ক্যামিও খেলায় সুযোগটা পেয়ে যায় মিরাজ। সেটার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি পেয়েছেন শেষ বলে। সেই সাথে ৮৩ বলে ১০০* রানের অসামান্য এক ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে এনে দিয়েছেন এমন এক পুঁজি যা দিনশেষে জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে।