• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    'গার্দিওলাকে মনে রাখবে না বায়ার্ন'

    'গার্দিওলাকে মনে রাখবে না বায়ার্ন'    

    ঠিক কি করতে পারলে পেপ গার্দিওলাকে মনে রাখবে অ্যালিয়েঞ্জ অ্যারেনা? বছরের শুরুর দিকে এ ধরণের এক প্রশ্নে কাতালান কোচের সামনে একটাই লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিলেন বায়ার্নের সাবেক মিডফিল্ডার ডিয়েটমার হামান, চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়। মাস তিনেকের ব্যবধানে গার্দিওলার বায়ার্ন মিউনিখ টানা তৃতীয়বারের মতো বিদায় নিয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল থেকে। হামানের জবাব তো মিলেই গেছে। এ যাত্রায় বাভারিয়ানদের আরেক সাবেক ফরোয়ার্ড ইভিকা ওলিচও বলছেন, মনে রাখার মতো নতুন কিছুই বায়ার্নকে দিয়ে যাচ্ছেন না গার্দিওলা।

     

     

    তিন তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল থেকে ফিরে আসাটাই গার্দিওলার সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা বলে মনে করছেন ওলিচ, “বায়ার্নের মতো ক্লাবের মানদণ্ডে এটা অবশ্যই ব্যর্থতা। অনেকেই হয়তো বলবে যে সে একগাদা ঘরোয়া শিরোপা জিতেছে। কিন্তু শক্তির বিচারে ওসব তো বায়ার্নের জন্য ‘পাওনা’ অর্জন।”

     

    সেমিফাইনালে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কাছে প্রথম লেগে ১-০ গোলে হারের পর দ্বিতীয় লেগে ২-১ ব্যবধানে জিতলেও 'অ্যাওয়ে' গোলের হিসেবে হেরে যায় জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। কৌশলের খেলাতেই অ্যাটলেটিকো কোচ সিমিওনের কাছে গার্দিওলা হেরে গেছেন বলে মন্তব্য ওলিচের, “হ্যাঁ অ্যাটলেটিকো প্রচণ্ডরকম আগ্রাসী ফুটবল খেলে এটা সত্য। কিন্তু তাঁরা জানতো তাঁরা ঠিক কি চাইছে। এটাকে যদি দাবার বোর্ডের সাথে তুলনা করি, তাহলে সিমিওনের প্রত্যেকটা চালই ছিল সঠিক। বিপরীতে গার্দিওলা নিজস্ব দর্শন আঁকড়ে থেকে ব্যর্থ হয়ে ফিরে এসেছে।”

     

    মিউনিখে যার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন গার্দিওলা, সেই ইয়ুপ হেইঙ্কেস ২০১৩ সালে বিদায় বলার আগে জিতে গিয়েছিলেন চ্যাম্পিয়নস লিগ, সঙ্গে দুটো ঘরোয়া ট্রফিও। টানা তৃতীয় মৌসুমে বুন্দেসলিগা জিততে চলাটাও তাই গার্দিওলাকে মনে রাখার জন্য যথেষ্ট হবে না বলেই মনে করেন ২০১০ সালে বায়ার্নের হয়ে লিগসহ তিনটি শিরোপা জেতা ৩৬ বছর বয়সী ক্রোয়েশিয়ান, “হেইঙ্কেস তো সব আগেই জিতে গিয়েছে, গার্দিওলা কেবল তাঁকে ছাপিয়ে যেতে পারতো। কিন্তু সে পারেনি এবং তাঁকে মনে রাখারও কোনো কারণ নেই।”