সাইফউদ্দিনের তোপ, জয়-সোহানের বিধ্বংসী ফিনিশিংয়ে সান্ত্বনার জয়ে শেষ খুলনার
গ্রুপ পর্ব, ঢাকা (টস-বরিশাল/ব্যাটিং)
ফরচুন বরিশাল- ১৬৯/৮, ২০ ওভার (প্রিটোরিয়াস ৪৮, আনামুল ২৮, সাকিব ২২, সাইফউদ্দিন ৪/২০, মুরাদ ২/৩০, নাসুম ২/৪৪)
খুলনা টাইগার্স- ১৭২/৪, ১৯.৩ ওভার (জয় ৬৪*, বালবির্নি ৩৭, হাবিবুর ৩০*, চতুরঙ্গ ১/১৮, প্রিটোরিয়াস ১/২৮, খালেদ ১/৩০)
ফলাফল: খুলনা ৬ উইকেটে জয়ী
হতাশাজনক এক বিপিএলে নিজেদের ইতির গল্পটা দারুণ এক রান তাড়া দিয়েই লিখল খুলনা। বিপিএলে প্রথম এসেই বরিশালের হয়ে ব্যাটে-বলে নিজেকে ডুয়েইন প্রিটোরিয়াস মেলে ধরলেও মাহমুদুল হাসান জয়ের অপরাজিত ফিফটির সাথে হাবিবুর রহমান সোহানের শেষের ঝড়ে জয় পেয়েছে খুলনা।
১৭০ রানের লক্ষ্যে এদিন সাব্বির রহমান ওপেন করতে নেমে মাত্র ২ রানে ফিরলে বালবির্নিকে নিয়ে রয়েসয়ে এগুচ্ছিলেন খুলনা অধিনায়ক হোপ। পাওয়ারপ্লেতে খুলনা ৩৮ রানে পৌঁছানোর পর ৮ম ওভারে ১৫ রানে ফেরেন হোপ। জয়কে নিয়ে বালবির্নি পরে সেই ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করতে করতেই খালেদের আঘাতে ৩৩ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলে ফিরে যান বালবির্নি। তাতেও অবশ্য জয় ছিলেন অবিচল; ৩৪ বলে ফিফটি তুলে নিয়ে তিনি একাই এক প্রান্ত আগলে রেখে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন দলকে। ১৭তম ওভারে জয় যখন ১৭ রান তুললেন তখনই রান আউট হয়ে ফিরেছিলেন ইয়াসির আলী। শেষ ৩ ওভারে ৩৫ রান প্রয়োজন হলে শেষের কাজটা এসে সারেন সোহান। ২ চার ও ৩ ছয়ে মাত্র ৯ বলে ৩০* রান করে বরিশালের বোলিং ছত্রভঙ্গ করে দিলেন একাই; সেই সাথে ৪৩ বলে ৬৪* রানে অপরাজিত থেকে খুলনার জয় নিশ্চিত করতে জয় রাখেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
এর আগে এদিন ওপেন করতে নেমে ৩য় ওভারেই ফিরেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ৪র্থ ওভারে সাইফউদ্দিন সুযোগ তৈরি করেছিলেন চতুরঙ্গ ডি সিলভাকে ফেরানোর। সেই যাত্রায় বেঁচে গেলেও পাওয়ারপ্লের পরের ওভারেই নাসুমের শিকার হয়ে ১৪ রানে ফিরেছিলেন তিনি। সাকিবকে নিয়ে এরপর আনামুল ধাক্কা সামাল দিতে গিয়ে মন্থর গতিতে আগালে ইনিংসের গতিবিধি পরিবর্তনের দায়িত্ব নেওয়ার চেষ্টা করেন সাকিব। ১০ম ওভারে ২ ছয় ও ১ চারে ১৮ রান নেওয়ার পরের ওভারেই সেই চেষ্টা ধরে রাখতে গিয়ে থামেন সাকিব; ১৪ বলে ২২ রান করে তিনি ফেরার পর ওই ওভারেই হাসান মুরাদের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন ২৯ বলে ২৮ রান করা আনামুল। উইকেটে এসে সাকিবের আক্রমণের ধারা বজায় রাখতে গিয়ে ১৭ রানে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়েও বেঁচে যান প্রিটোরিয়াস। অন্য প্রান্তে ইব্রাহিম জাদরানও তাতে যোগ দিতে গেলে ১৫ বলে ২১ রান করে তিনি সাইফউদ্দিনের শিকার হয়ে ফেরেন। ফিফটি থেকে দুই রান দূরে থাকতে ২৯ বলে ৪৮ রানের ইনিংস শেষে সাইফউদ্দিনের শিকার হয়ে প্রিটোরিয়াস ফিরলে ওই ওভারেই সাইফউদ্দিন পরে ফেরান মিরাজ ও করিমকে। শেষ ওভারে ৩ উইকেট নিয়ে ৭ রান দিয়ে ওই ওভারটা দিয়েই যেন খুলনাকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছিলেন সাইফউদ্দিন।