• বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    বিচক্ষণ ব্যাটিং, সাকিব-উডের দারুণ স্পেলে ফাইনালে মাশরাফির সিলেট

    বিচক্ষণ ব্যাটিং, সাকিব-উডের দারুণ স্পেলে ফাইনালে মাশরাফির সিলেট    

    দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার, ঢাকা (টস-রংপুর/বোলিং)
    সিলেট স্ট্রাইকার্স- ১৮২/৭, ২০ ওভার (শান্ত ৪০, মাশরাফি ২৮, লিন্ডে ২১*, হাসান ২/৩৪, শানাকা ২/৪৫, মাহেদি ১/২৫)
    রংপুর রাইডার্স- ১৬৩/৮, ২০ ওভার (রনি ৬৬, নুরুল ৩৩, পুরান ৩০, উড ৩/৩৪, সাকিব ২/১৯, রুবেল ২/৪২)
    ফলাফল: সিলেট ১৯ রানে জয়ী

     

    রংপুরকে বাড়ির পথ দেখিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিল মাশরাফি বিন মুর্তজার সিলেট। নাজমুল হোসেন শান্তর করা শুরুর পর মাশরাফি, জর্জ লিন্ডে, থিসারা পেরেরার বিশোর্ধ্ব রানের ইনিংসে সিলেট পেয়েছিল বড় সংগ্রহ। রনি তালুকদার ফিফটি করে লড়াই করলেও নবাগত লুক উডের সাথে তানজিম হাসান সাকিবের দারুণ স্পেলে লক্ষ্য টপকাতে পারেনি রংপুর।

    ১৮৩ রানের লক্ষ্যে সাকিবের শিকার হয়ে ১ রানেই স্যাম বিলিংস ফেরার পর বরিশালকে বিদায় দেওয়া ইনিংস খেলা শামিম হোসেন পাটওয়ারি ফেরেন ১৪ রানে। পুরানকে সঙ্গী করে বিপদ সামলে রনি দলকে পাওয়ারপ্লেতে নিয়ে যান ৫০ রানে। দলের রানের গিয়ার পাল্টাতে মারমুখী হতে গিয়ে নবম ওভারে উডের শিকার হয়ে ফেরেন ১৪ বলে ৩০ রান করা পুরান। ৪ ছয়ে সাজানো পুরানের সেই ইনিংস থামলে খেই হারিয়ে বসে রংপুরের ইনিংস।

    সাকিব-উডের বোলিংয়ে ধুঁকতে থাকা রনি-সোহান সেই অর্থে আক্রমণ করতে পারেননি। ২৫ বলে ২৯ রানে থাকার সময় জীবন পাওয়ার পর ১৪তম ওভারে গিয়ে রনি ফিফটি পেয়েছিলেন ৪০ বলে। রুবেল হোসেনের করা পরের ওভারে ৪টি চারে দুজন মিলে ১৭ রান তুলে নড়েচড়ে বসেন। তবে ১৮তম ওভারে নিজের শেষ ওভার করতে এসে দুর্দান্ত এক ওভারে রংপুরের সব আশা ভেস্তে দেন সাকিব। প্রথম বলেই ২৪ বলে ৩৩ রানে থাকা সোহানকে ফেরালে ওই ওভারের চতুর্থ বলে চাপে পড়েই রান আউটের শিকার হন ৫২ বলে ৬৬ রান করা রনি। ওভারে মাত্র ২ রান দেন সাকিব! শেষ দুই ওভারে ৩১ রান প্রয়োজন হলে ১৯তম ওভারের শেষ দুই বলে উড ফেরান মাহেদি ও ব্রাভোকে, রান গোনেন মাত্র ৩। শেষ ওভারে ২৮ রান প্রয়োজন হওয়াতে রুবেলের কাজটাও তাই কিছুটা সহজ জয়ে যায়। ওভারে ৮ রান দিয়ে রুবেল তুলে নেন শানাকার উইকেট, নিশ্চিত করেন সিলেটের জয়।

    এর আগে সিলেটকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন হৃদয়-শান্ত জুটি। পাওয়ারপ্লেতে দুজনে মিলে দলকে ৪০ রানে নিয়ে যাওয়ার পর ভাল খেলতে থাকা শান্ত ফেরেন রিভিউয়ের পর। ৩০ বলে ৪০ রান করে মাহেদির শিকার হয়ে ফেরার পর সিদ্ধান্তটা অবশ্য মোটেও পছন্দ না হওয়ায় মাঠ যেন ছাড়তেই চাচ্ছিলেন না শান্ত। পরের ওভারেই সমান সংখ্যক বলে ২৫ রানে ব্রাভোর শিকার হয়ে হৃদয় ফিরলেও এদিন তিনে নেমে মাশরাফি চালিয়ে যান নিজের আক্রমণ। অন্য প্রান্তে ১৩ বলে ১৬ রানে জাকির হাসান ফিরলেও মাশরাফির সাথে যোগ দিয়ে একই ভঙ্গিমায় খেলার চেষ্টা করেন রায়ান বার্ল; দুজনে মিলে পরের ওভারে নেন ১৯ রান। পরের ওভারে সেটা ধরে রাখতে গিয়ে বিলিংসের দারুণ এক ক্যাচে ৬ বলে ১৫ রানে তিনি থামলে ঠিক পরের ওভারেই শেষ হয় মাশরাফির ১৬ বলে ২৮ রানের ক্যামিও। শেষদিকে এসে এই দুজনের কাজটা সেরেছেন থিসারা ও লিন্ডে। শেষ ওভারে ১৫ বলে ২১ রান শেষে থিসারা রান আউট হয়ে ফিরলেও ওই ওভারে এসেছিল ১৭ রান। ১০ বলে ২১* রান করে অপরাজিত থেকে লিন্ডে তাই দলকে এনে দিয়েছিলেন এমন এক পুঁজি যা দিনশেষে সিলেটের প্রথম ফাইনালের জন্য যথেষ্ট প্রমাণিত হয়েছে।