• বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    হেভিওয়েটদের আড়াল করে বরিশালকে বিদায় করে দিলেন রংপুরের শামীম

    হেভিওয়েটদের আড়াল করে বরিশালকে বিদায় করে দিলেন রংপুরের শামীম    

    বিপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচের আগে একাদশে বড় চমক। দুই দলের বিদেশীদের তালিকা প্রায় পুরোটাই বদলে গেল। বড় চমক রংপুরের। ম্যাচের আগে তারা নিয়ে এলো মুজিব উর রেহমান, ডোয়াইন ব্রাভো, নিকোলাস পুরান ও দাসুন শানাকাকে। সবাই মাঠেও নেমে গেলেন। ওদিকে বরিশালে এলেন ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস, ভানুকা রাজাপাক্সে, আন্দ্রে ফ্লেচারদের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাচের নায়ক ও পার্শ্বনায়ক দুইজনই বাংলাদেশের। প্রথমে মেহেদী হাসান মিরাজে বরিশালে পেল লড়াই করার সংগ্রহ। পরে সেটা আড়াল করে শামীম পাটোয়ারী খেললেন তার চেয়েও দারুণ এক ইনিংস। আর তাতেই সাকিব আল হাসানের বরিশালকে বিদায় করে দিল রংপুর রাইডার্স। সেই সঙ্গে বিপিএলে ফাইনালে ওঠার আরও একটা সুযোগ পাবে রংপুর। 

    ব্যাটিং অর্ডারে আজ বরিশাল মিরাজকে তুলে এনেছিল ওপরে। আন্দ্রে ফ্লেচার ফিরে গেলেও মিরাজ শুরু থেকেই তুলছিলেন ঝড়। প্রথম ৬ ওভারে ৪৬ রান তোলে বরিশাল। মাহমুদউল্লাহকে এরপর তিনে নিয়ে আসে বরিশাল, তিনিও শুরু থেকেই হাত খুলে খেলছিলেন। চারটি ও একটি ছয়ে দ্রুত ঢুকে গেলেন ত্রিশের ঘরে। শেষ পরযন্ত শানাকার বলে ফিরে গেলেন ২১ বলে ৩৪ রান করে। ওদিকে মিরাজ ফিফটি পেয়ে গেছেন আগেই, তবে শেষ পর্যন্ত ৪৮ বলে ৬৯ রান করে ফিরে গেছেন সেই শানাকার বলে। 

    শেষদিকে করিম জানাত ও রাজাপাক্সেরা শেষদিকে ঠিক ঝড় তুলতে পারেননি। শেষ ৫ ওভারে ৪৪ রান তুলেছে বরিশাল। উইকেট হাতে থেকে আরেকটু বেশি তারা করতেই পারত। সাকিব আল হাসানও সেটাই বললেন ম্যাচ শেষে। উইকেট বেশি না পেলেও রান আটকানোর কাজটা অবশ্য করে গেছেন রংপুরের মুজিব ও ব্রাভো। 

    এই রান তাড়া করে শুরুতেই নাঈম শেখকে হারিয়ে বসে রংপুর। তিনে উঠে আসেন শামীম, শুরু থেকেই চালাতে থাকেন তোপ। ওদিকে রনি তালুকদারও তার ফর্ম ধরে রেখে হাত খুলে খেলছিলেন। প্রথম ৬ ওভারে ৫৫ রান তুলে অনেকটা এগিয়ে যায় রংপুর। রনি ১৭ বলে ২৯ রান করে আউট হয়ে গেলেও শামীম ছিলেন আগ্রাসী। অধিনায়ক নুরুল ১৩ বলে ১৮ রান করে ফিরে যান সাকিবের বলে। 

    এরপর পুরানও ৫ রান করে আউট হলে ধাক্কা খায় রংপুর। শামীম দারুণ খেলছিলেন, কিন্তু দলকে কাছাকাছি নিয়ে এসে আউট হয়ে যান ৫১ বলে ৭১ রান করে। তারপরও শেষ ৩ ওভারে ছিল ২৯ রান। শানাকার ছয়ে শেষ ২ ওভারে নেমে আসে ১৯ রানে। কিন্তু ১৯তম ওভারে খালেদের বলে দুই চারে ম্যাচ কাছাকাছি নিয়ে আসেন শেখ মাহাদী। শেষ পর্যন্ত তিন বল হাতে রেখেই জিতে যায় রংপুর। ৯ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত মাহেদী, শানাকা ছিলেন ১২ বলে ১৫ রান করে।