• অন্যান্য
  • " />

     

    রসিকতা, চাছাছোঁলা উত্তর এবং কিছু 'স্বীকারোক্তি': কেমন হবে হাথুরুসিংহে ২.০

    রসিকতা, চাছাছোঁলা উত্তর এবং কিছু 'স্বীকারোক্তি': কেমন হবে হাথুরুসিংহে ২.০    

    বয়সের ছাপ চেহারায় মোটামুটি স্পষ্ট। আগেরবার যখন বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন, চুল; দাঁড়ি সব এত পাকেনি। বয়স হলেও অবশ্য চন্ডিকা হাথুরুসিংহের রসবোধের কোনো কমতি হয়নি। কথাবার্তাও আগের মতোই চাছাছঁওলাই আছে। সব প্রশ্নের জবাব অবশ্য সরাসরি দেননি। তবে বুঝিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশে দ্বিতীয় অধ্যায়ে তার রণনীতি সম্ভবত বদলাচ্ছে না। 

    সেই রণনীতি কি? ২০১৬ সালে ইংল্যান্ড বাংলাদেশে আসার পর চট্টগ্রাম-মিরপুরে ছিল স্পিন মৃগয়া। দুই টেস্টেই স্পিনাররা ছড়ি ঘুরিয়েছেন। চট্টগ্রামে বাংলাদেশ একটুর জন্য হারলেও মিরপুরে ঠিকই হারিয়ে দেয় ইংলিশদের। এর পরের বছর অস্ট্রেলিয়াকেও সেই স্পিন কার্ড খেলেই হারায় বাংলাদেশ। হাথুরু চলে গেছেন সেই ২০১৭ সালেই, কিন্তু রেখে গেছেন তার মস্তিষ্কপ্রসূত কৌষল। সেটা দিয়েই ২০২১ সালে নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়াকে ঘরের মাঠে হারায় বাংলাদেশ, এবার অবশ্য সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে। এর মধ্যে এসেছে ভারতকে হারানোর মতো বড় সাফল্যও। 

    তবে রাসেল ডমিঙ্গোর সময় পেসাররা ধীরে ধীরে নিজেদের সামর্থ্যের জানান দিতে শুরু করেন। নিউজিল্যাণ্ডের মাঠে গিয়ে পেসাররা জিতিয়ে দেন বাংলাদেশকে, যে সাফল্য হাথুরুর সময় ছিল অধরা। এবার কি হাথুরু পেসারদের ওপর একটু বেশি নির্ভর করবেন ঘরের মাঠে? সরাসরিই দিলেন উত্তর, 'আপনি (প্রশ্নকর্তা সাংবাদিক) আমাকে আগে বলুন হোম অ্যাডভান্টেজ আসলে কী? আমরা যখন নিউজিল্যান্দে যাই তখন কেমন উইকেট পাই? যখন অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ডে যাই তখন ওরা কেমন উইকেট বানায়? এখন ভারত কী করছে? আমাদের মিসাইল না থাকলে তো গেরিলা যুদ্ধই করতে হবে, নাকি? ছোট ছোট বন্দুক নিয়ে ঘরের মাঠে তো আর লড়াই করা যাবে না'।

    অবশ্য পেসারদের গুরুত্বও স্বীকার করলেন হাথুরু, 'হ্যাঁ, পেসাররাক এখন ভালো করছে। বিদেশের মাটিতে তাদের কীভাবে আরও কাজে লাগানো যায় সেটা আমাদের দেখতে হবে। তবে ঘরের মাঠের সুবিধা আমাদের নিতেই হবে। সেটা সব দলই নেয়।'

    প্রশ্নটার উত্তরেই যেন খুঁজে পাওয়া গেল আগের সেই হাথুরুকে। অবশ্য সংবাদ সম্মেলনে আরও ছাপ রেখেছেন সেটার। ২০১৭ সালের পর বিসিবি তাকে এই প্রথম কোচের প্রস্তাব দিয়েছেন কি না, সেই প্রশ্নে সরাসরি বলেছেন, 'না'। এটা দ্বিতীয়বার কি না, সেই প্রশ্নে মুচকি হেসে আবারও উত্তর 'না'।

    জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে আরও বেশ কয়েকবার হাসির রোল তুলেছেন হাথুরু। আগের মতোই আছেন  কি না, এমন প্রশ্নে রসিকতা বলেছেন, 'আমি তো এখন বুড়ো হয়ে গেছি কিছুটা।' আবার মাশরাফি বিন মুর্তজাকে ফেরানো হবে কি না সেই প্রশ্নে মজা করে বলেছেন, 'নির্বাচনের জন্য নাকি?' পরক্ষণেই অবশ্য মাশরাফির আবার ফেরার সম্ভাবনা বাতিল করে দিয়েছেন। আবার সাকিবের সাথে 'ঝামেলার' প্রশ্নে সরাসরি বলেছেন, এমন কিছু কখনো শোনেননি। যদিও আগের দফায় হাথুরু সাকিবের কমিটমেন্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, দাবি বিসিবি সভাপতির। 

    তবে হাথুরু আবারও দাবি করেছেন, বাংলাদেশের প্রতি তার সফট কর্নার আছে সবসময়েই। এখানে আবারও ফিরতে চেয়েছিলেন, যদিও এত তাড়াতাড়ি হবে ভাবেননি। এই দফায় ফেরাটা কেমন হয়, সেটাই প্রশ্ন।