• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    ওল্ড ট্রাফোর্ডে ফ্রেড-অ্যান্টনিদের আগ্রাসনের সামনে আহত বার্সার আত্মসমর্পণ

    ওল্ড ট্রাফোর্ডে ফ্রেড-অ্যান্টনিদের আগ্রাসনের সামনে আহত বার্সার আত্মসমর্পণ    

    ইউরোপা লিগের সবচেয়ে দুই বড় ফেভারিট তারা। সেই অনুযায়ী ম্যাচটা যে সাধারণ নক-আউটের মেজাজে হবে না, সেই ইঙ্গিত আগেই দিয়েছে দু দল। প্রথম লেগের মতোই আরেকটি ফাইনালসুলভ লড়াই উপহার দিয়েছে ওল্ড ট্রাফোর্ড। সেখানে স্বাগতিকদের আগ্রাসী ফুটবল ও প্রতিকূল গ্যালারির সামনে ঠিক পেরে ওঠেনি পেদ্রি-গাভিবিহীন বার্সেলোনা। দুই ব্রাজিলিয়ান, ফ্রেড ও অ্যান্টনির গোলে অ্যাগ্রিগেটে ৪-৩ ব্যবধানের জয় নিয়ে শেষ ষোলোতে পা দিয়েছে স্বাগতিকরা। ধরে রেখেছে তাদের ফেভারিটের তকমাও। 

    ইনজুরি ও নিষেধাজ্ঞার জন্য পেদ্রি, গাভি, ডেম্বেলে; দলের শীর্ষ তিন খেলোয়াড়কে ছাড়া খেলতে নামা বার্সার জন্য এই ম্যাচ কঠিনই হওয়ার ছিল। তবে সামনে সার্জি রবার্তোকে রেখে বুস্কেটস-ডি ইয়ং-কেসিকে নিয়ে গড়া অদ্ভুত এক মিডফিল্ড নিয়ে নেমেও শুরুতে ভালোই মানিয়ে নেয় বার্সা। এই অর্ধে দুই দলই নিজেদের প্রেসিংয়ের উপর মনোযোগ দেওয়ায় ঠিক এন্ড-টু-এন্ড ফুটবল দেখা যায়নি। তবে ১৫ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেজ বার্সা ডিফেন্ডার বালদেকে বক্সের ভেতর ফাউল করে বসায় পেনাল্টি পেয়ে যায় সফরকারীরা। লেভানডফস্কির নেওয়া সেই পেনাল্টিতে ডি হেয়া জায়গামতো ঝাঁপ দিলেও শেষ পর্যন্ত ফেরাতে পারেননি। 

     

    ১-০ গোলে প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার পর বিরতিতে দলে পরিবর্তন আনেন এরিক টেন হাগ। স্ট্রাইকার ভট ভেগহর্স্টের বদলি হিসেবে নামেন রাইট উইঙ্গার অ্যান্টনি। এই অর্ধের প্রথম মিনিট থেকেই আগ্রাসী ফুটবল খেলতে শুরু করে স্বাগতিকরা। এবং এর ফলাফলও পেয়ে যায় সঙ্গে সঙ্গেই। ৪৭ মিনিটে বার্সার অর্ধ থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে আক্রমণে উঠে ইউনাইটেড। সাঞ্চো, ফার্নান্দেজ হয়ে বক্সের গোড়ায় বল পান ফ্রেড। একটি সামনে এগিয়ে নিপুণ এক শটে সেই বলকে জালে জড়ান এই ব্রাজিলিয়ান।

    ইউনাইটেডের দ্বিতীয় গোলটি আসে আরেক ব্রাজিলিয়ানের পা থেকে। এবারও গোল দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠা ইউনাইটেড একরকম জোর করেই বার্সার জালভেদ করে। ৭৩ মিনিটে লেফট উইং দিয়ে উপরে উঠে ব্যাকহিল করে ব্রুনোকে খুঁজে নেন লুক শ। রাফিনহাকে সরিয়ে ব্রুনো বল পাঠান বদলি নামা গারাঞ্চোকে। বক্সের বাঁ কোণ থেকে গারাঞ্চোর নেওয়া শট বার্সা ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে ফিরে আসে। বক্সের সোজাসুজি বল পান ফ্রেড। তার শটও ফিরে আসে ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে। এবার বল যায় বক্সের ডান কোণে। বল না থামিয়েই রিয়ার পোস্টে শট নেন অ্যান্টনি। যেই শট থেকেই জয়সূচক গোলটি পায় ইউনাইটেড। 

    ম্যাচের বাকি সময়ে বার্সা ম্যাচে ফেরার বেশ চেষ্টা করলেও ইউনাইটেড রক্ষণকে পরাস্ত করার মতো চৌকস ফুটবল উপহার দিতে পারেনি জাভির দল। বেঞ্চ থেকে নামা কোনো খেলোয়াড়ও তেমন কিছু উপহার দিতে পারেননি।