• ইউরো বাছাইপর্ব
  • " />

     

    কেইনের ইতিহাস গড়ার রাতে ইতালির দুর্গ ভাঙল ইংল্যান্ড

    কেইনের ইতিহাস গড়ার রাতে ইতালির দুর্গ ভাঙল ইংল্যান্ড    

    ইতালি ১:২ ইংল্যান্ড 


    ইউরোর বাছাইপর্বে ইতালি সর্বশেষ ম্যাচ হেরেছিল ২০০৬ সালে। ১৭ বছর ও ৪১ ম্যাচ বাদে আবার পরাজয়ের মুখ দেখল তারা। হতাশাজনকভাবে সেই পরাজয় এসেছে ইউরো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বাছাই পর্বের প্রথম ম্যাচেই, তাও আবার ঘরের মাঠে। নাপোলির ডিয়েগো ম্যারাডোনা স্টেডিয়ামে ডেকান রাইস ও হ্যারি কেইনের গোলে ঐতিহাসিক এক জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। ১৯৬১ সালের পর ইতালির মাটিতে এই প্রথম ইতালিকে হারিয়েছে তারা। 

    ইতালিতে ইংল্যান্ডের সাম্প্রতিক রেকর্ড বেশ খারাপ হলেও এদিন গ্যারেথ সাউদগেটের শিষ্যরা ম্যাচ শুরু করে আত্মবিশ্বাসের সাথেই। শুরুতে সাকি ও গ্রিলিস দুটি গোল দেওয়ার মতো সুযোগ তৈরি করার পর ১৩ মিনিটেই জালের দেখা পায় ইংল্যান্ড। সাকার কর্নার থেকে কেইনের নেওয়া শট প্রথমে ইতালি ব্লক করে দিলেও ফিরতি বল গিয়ে পড়ে বক্সের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা ডেকান রাইসের কাছে। দ্রুতগতির এক ভলিতে গোল করে দলকে এগিয়ে রাইস। 

    প্রথমার্ধের বাকি সময়েও সক্রিয় ফুটবল খেলে যায় ইংল্যান্ড। বিরতির আগ মুহূর্তে ম্যাচের দ্বিতীয় গোল পায় তারা। পেনাল্টি থেকে। ব্যাকপোস্টে থেকে সাকার কর্নার থেকে ডিফেন্ড করার সময় হ্যান্ড করে বসেছিলেন ইতালি ফুলব্যাক ডি লরেঞ্জো। সেই হ্যান্ডবল প্রথমে রেফারির দৃষ্টি এড়িয়ে গেলেও ভিএআরের হস্তক্ষেপে পেনাল্টি পায় সফরকারীরা। যেটি জালে জড়িয়ে ইংল্যান্ডের ইতিহাসের অংশ হয়ে যান কেইন। এই গোলের মধ্য দিয়েই আন্তর্জাতিক ফুটবলে ওয়েইন রুনির গোলসংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছেন কেইন। ৫৪ গোল নিয়ে এই স্পার্স স্ট্রাইকার এখন ইংল্যান্ড জাতীয় দলের ইতিহাসে সর্বাধিক গোলের মালিক। 

    ২-০ গোলে প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের খেলা বদলায় ইতালি। এই অর্ধের শুরু থেকেই আরেকটু বেশি প্রেস করা শুরু করে মানচিনির দল। এবং ফলও পায় দ্রুতই। ৫৬ মিনিটে পেলেগ্রিনির পাস থেকে গোল করেন এই ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক হওয়া স্ট্রাইকার মাতেও রেতেগুই। এই গোলের পর ম্যাচের চেহারা আরও বদলে যায়। ইতালি সমতা ফেরানোর জন্য জানপ্রাণ দিয়ে চেষ্টা করে গেলেও ইংল্যান্ডের ট্যাকটিকাল টাইম-ওয়েস্টিংয়ের সামনে শেষ পর্যন্ত হার মানে তারা। 

    সময় নষ্ট করার জন্য ৭৮ মিনিটে একবার হলুদ কার্ড দেখা লুক শ এরপর রেফারির সঙ্গে তর্কাতর্কি করে সময় নষ্ট করার চেষ্টা করতে গিয়ে সাথে সাথেই দেখেন দ্বিতীয় হলুদ, অর্থাৎ লাল কার্ড। তবে ১০ জন নিয়ে শেষ পর্যন্ত ইতালিতে রুখে দিতে সমর্থ হয় ইংল্যান্ড।