• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    বার্নাব্যুতে রিয়ালই হাসল সব হাসি

    বার্নাব্যুতে রিয়ালই হাসল সব হাসি    

    রিয়াল মাদ্রিদ ২:০ চেলসি


    ম্যাচ শুরুর আগে চেলসির মালিক টড বোয়েহলি বেশ আত্মবিশ্বাসের সাথেই বলেছিলেন, তার ক্লাব ৩-০ গোলে জিতবে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে এসে ম্যাচ জেতাটাই যে কত কঠিন, তা হয়তো জানতেন না এই মার্কিন ব্যবসায়ী। গোলের অভাবে ভুগতে থাকা চেলসি সর্বশেষ কবে তিন গোল করেছে, সেটাও হয়তো জানতেন না। তার তৃতীয় ম্যানেজার, ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের অধীনে এদিন স্বাভাবিক নিয়মেই রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরেছে সফরকারীরা। 

    ঠিক চ্যাম্পিয়নসুলভ ফুটবল না খেললেও বেনজেমা ও আসেন্সিওর গোলে চেলসিকে ব্যাকফুটে রাখতে সক্ষম হয়েছে রিয়াল। ফরওয়ার্ডদের ফিনিশিংয়ের দুর্বলতার পাশাপাশি বেন চিলওয়েলের লাল কার্ড ভুগিয়েছে চেলসিকে। 

    সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে সবাইকে অবাক করে দিয়ে শুরুটা করেছিল আসলে চেলসি।  কান্তের বাড়ানো বল নিয়ে দ্বিতীয় মিনিটেই প্রায় গোল করে বসেছিলেন জোয়াও ফেলিক্স। কিন্তু কামাভিঙ্গার চাপে ঠিকমতো শট নিতে পারেননি এই পর্তুগিজ। দুই মিনিটের আবার আক্রমণে আসে চেলসি। এবারও কন্তের বাড়ানো বল বক্সে পান ফেলিক্স। কিন্তু তার করা লো ক্রস ক্লিয়ার করে দেন মিলিতাও। 

    চেলসির প্রাথমিক চাপ সামলে অবশ্য ধীরে ধীরে ম্যাচে ফিরে আসে মাদ্রিদ। বেনজেমা, ভালভার্দে দুবার গোলে শট নেওয়ার পর ২০ মিনিটে ম্যাচের প্রথম ব্রেকথ্রু পায় স্বাগতিকরা। বক্সে পাঠানো কারবাহালের চিপ করা ক্রস একদম জায়গামতো পান ভিনিসিয়াস। আলতো ছোঁয়ায় তিনি বলটি জালে জড়ানোর চেষ্টা করলে কেপা সেটি ঠেকিয়ে দেয়, কিন্তু পাশেই থাকা বেনজেমা খুঁজে নেন জাল। 

    এই গোলের পর চেলসিকে চাপে ফেলতে সক্ষম হয় মাদ্রিদ। কিন্তু অনেকবার চেষ্টা করেও প্রথমার্ধে আর গোলের সংখ্যা বাড়াতে পারেনি আনচেলত্তির দল। ১-০ গোলে বিরতিতে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলকেই একটু নেতিয়ে যেতে দেখা যায়। বিশেষ করে রিয়াল দ্বিতীয়ার্ধে আগ্রাসন একেবারেই কমিয়ে দেয়। চেলসির ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা যখন কিছুটা দেখা যাচ্ছিল, তখনই লাল কার্ড দেখে দলের পায়ে কুড়াল মারেন বেন চিলওয়েল। ৫৯ মিনিটে রদ্রিগোকে পিছন থেকে ফেলে দিয়ে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন এই ইংলিশ ফুলব্যাক। 

    দ্বিতীয়ার্ধে তেমন আগ্রাসী ফুটবল না খেললেও একটি কর্নার থেকে দশ জনের চেলসিকে বোকা বানাতে সক্ষম হয় স্বাগতিকরা। ৭৪ মিনিটে সর্ট কর্নার থেকে বক্সে বল পাওয়ার পর বক্সের গোঁড়ায় আসেন্সিওকে ব্যাকপাস দেন ভিনি। আসেন্সিওর ওয়ান টাচ শট ফোফানার পায়ের ফাঁক দিয়ে গিয়ে জালে জড়ায়। 

    এই জয়ের পথে খুনে ফুটবল না খেললেও হোম লেগে নিজেদের দায়িত্ব ঠিকভাবেই পালন করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মাদ্রিদ। স্টামফোর্ড ব্রিজে কোনো অঘটন এড়ালেই আবার সেমিতে জায়গা করে নিবে বেনজেমারা।