• বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড
  • " />

     

    বৃষ্টিতে কপাল পুড়ল আয়ারল্যান্ডের

    বৃষ্টিতে কপাল পুড়ল আয়ারল্যান্ডের    

    ১ম ওয়ানডে, চেমসফোর্ড (টস-আয়ারল্যান্ড/বোলিং)
    বাংলাদেশ- ২৪৬/৯, ৫০ ওভার (মুশফিক ৬১, শান্ত ৪৪, মিরাজ ২৭, লিটল ৩/৬১, হিউম ২/৩১, অ্যাডেয়ার ২/৪৪)
    আয়ারল্যান্ড- ৬৫/৩, ১৬.৩ ওভার (টেক্টর ২১*, ডহেনি ১৭, স্টার্লিং ১৫, তাইজুল ১/৫, হাসান ১/২১, শরিফুল ১/২১)
    ফলাফল: ম্যাচ পরিত্যক্ত


     

    ইংল্যান্ডে প্রথম ম্যাচটাই ভেসে গেল  বৃষ্টিতে। আর তাতেই শেষ হয়ে গেল আয়ারল্যান্ডের সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা। মুশফিকুর রহিমের ফিফটিতে বাংলাদেশ লড়াকু সংগ্রহ পেলেও আয়ারল্যান্ড ২০ ওভার ব্যাট করতে না পারায় পরিত্যক্ত হয়েছে ম্যাচ।

    টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই জশুয়া লিটলের দারুণ ইয়র্কারে স্টাম্প খুইয়ে গোল্ডেন ডাকের শিকার হয়ে ফিরে যান লিটন দাস। চতুর্থ ওভারেই তার পথে হেঁটে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তামিম ইকবালও। মার্ক অ্যাডেয়ারের সেই আঘাতের পর বিপদ সামলানোর চেষ্টা করেছিলেন সাকিব আল হাসান-নাজমুল হোসেন শান্ত জুটি। তবে প্রথম পাওয়ারপ্লে শেষ হতেই বিদঘুটে এক শট খেলতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনলেন সাকিব। বেরিয়ে এসে ক্রস ব্যাটে খেলতে গিয়ে ১২-তম ওভারে স্টাম্প খুইয়ে শেষ হয় সাকিবের ২১ বলে ২০ রানের ইনিংস। তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে এরপর অবশ্য ঝাপ্টা সামলে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন শান্ত। তনবে দলীয় শতরান পূর্ণ করার পরের ওভারেই ডিপ মিড উইকেটে সরাসরি ক্যাচ তুলে দিয়ে ক্যাম্ফারের শিকার হয়ে ৬৬ বল শেষে ৪৪ রানে থামেন শান্ত। নিয়মিত প্রান্ত বদল করে মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে এরপর খেলার ছন্দ ধরে রাখার চেষ্টা করেছিলেন হৃদয়।

    তবে বাংলাদেশের পুরো ইনিংস জুড়েই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোর হিড়িক পড়ে গিয়েছিল যেন। হিউমের সামান্য বেরিয়ে যাওয়া বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে তারই পরিক্রমায় ৩০ বলে ২৭ রান শেষে ফেরেন হৃদয়। মুশফিকের সাথে যোগ দিয়ে প্রতি আক্রমণের চেষ্টা করেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে দুই প্রান্ত থেকে অ্যাডেয়ার-ডকরেল আঁটসাঁট স্পেলে চেপে ধরলে সেই চাপে উইকেট হারিয়ে বসেন মিরাজ। ডকরেলকে সুইপ করে চাপ কমাতে গিয়ে শেষ হয় তার ৩৪ বলে ২৭ রানের ইনিংস। তবে এক প্রান্ত আগলে মুশফিক ঠিকই পেয়ে যান ৪৪-তম ওয়ানডে ফিফটির দেখা। ফিফটির পরের ওভারেই অবশ্য সুইপার কাভারে সরাসরি ক্যাচ দিয়ে লিটলের শিকার হয়ে শেষ হয় মুশফিকের ৭০ বলে ৬১ রানের ইনিংস। মুশফিকের বিদায়ের পর শরিফুল ইসলামের ১৫ বলের ১৬ রানে শেষ দিকে লড়াই করার রসদ পেয়েছিল বাংলাদেশ।

    সেই শরিফুলই বল হাতেও বাংলাদেশের জয়ের আশা জাগিয়েছিলেন চতুর্থ ওভারেই পল স্টার্লিংকে ফিরিয়ে। পরে হাসান মাহমুদ থামিয়েছিলেন অ্যান্ডি বালবির্নিকে। তবে বৃষ্টি চোখ রাঙাচ্ছিল বেশ কিছুক্ষণ ধরেই। তাইজুলের আঘাতে স্টিফেন ডহেনি ফেরার পর সেই শঙ্কাই সত্যি হল। আর তাতেই আয়ারল্যান্ডের ভাগ্য পুড়ল; আর কপাল খুলে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার।