• বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড
  • " />

     

    সাত নম্বরে বাংলাদেশের ভরসা কে?

    সাত নম্বরে বাংলাদেশের ভরসা কে?    

    ওপেনিংয়ে তামিম-লিটন, টপ অর্ডারে শান্ত, সাকিব, মিডল অর্ডারে হৃদয়, মুশফিক। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারে এই কয়টা পজিশন বলা চলে সিলগালা। ৭ নম্বর পজিশনে শেষ কয়টা ম্যাচে দেখা গেছে মেহেদী হাসান মিরাজকে। যেখানে তার পারফর্ম্যান্স তেমন  আশাব্যঞ্জক নয়। তবে তাকে সাতে খেলালে টেলএন্ডার রোলে ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে। যে কারণে একজন স্পেশালিস্ট ব্যাটারকে রাখতে হবে বাংলাদেশকে।  ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে কারা এই পজিশনের জন্য বিবেচনায় আসতে পারেন? 

    বিশ্বকাপ মাঠে গড়াতে আরও প্রায় পাঁচ মাস বাকি থাকলেও এই পজিশনের জন্য জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসেন ধ্রুবর নাম। যারা দুজনই বিশ্রাম কিংবা বিরতির  নামে বাদ পড়েছেন  বাংলাদেশের ওয়ানডে স্কোয়াড থেকে। তবে সদ্য সমাপ্ত ডিপিএলে পারফর্ম করে দুজনই বিশ্বকাপ দলে থাকার দাবিটা জানিয়েছেন।

    আবাহনীর হয়ে এবারের মৌসুমে আফিফ ১৫ ম্যাচের ১৩টিতে ব্যাট করে তুলেছেন ৫৫০ রান। চার ফিফটির সাথে পেয়েছেন লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের প্রথম সেঞ্চুরি। স্ট্রাইকরেটটাও ১০০ ছাড়ানো। বরাবরই টপ অর্ডারে ব্যাট করতে চাওয়া আফিফ এবার লিগে ব্যাট করেছেন তিন চার ও পাঁচ নম্বর পজিশনে।  চাপের মধ্যেও খেলেছেন বেশ কয়টি দারুণ ইনিংস। ডিপিএলে তার শেষ পাঁচ ইনিংসঃ ৩৬, ১১১*, ৩৩, ১১, ৬০*।

    মাহমুদউল্লাহর চ্যালেঞ্জটা আরও বড় ছিল। তরুণদের সাথে পাল্লা দিয়ে দলে ফেরার মতো পারফর্ম করার চাপ ছিল ৩৭ বছর বয়সী এই ব্যাটারের সামনে। লিগের শুরুর দিকে ধারাবাহিকতা না থাকলেও সুপার লিগে এসে পারফর্ম করেছেন মাহমুদউল্লাহ। মোহামেডানের হয়ে ১৬ ম্যাচে ১৫ ইনিংসে ৬ ফিফটিতে করেছেন ৫১০ রান। গড় ৩৬ এর কিছু বেশি। তবে স্ট্রাইকরেট নিয়ে চাইলে কেউ প্রশ্ন তুলতেই পারেন।

    তার ছয় ফিফটির তিনটিই এসেছে সুপার লিগ স্টেজে। সেই পারফর্ম্যান্সেই স্ট্রাইকরেট পেরিয়েছে ৮০-এর ঘর। ডিপিএলে মাহমুদউল্লাহর শেষ ৫ ইনিংস ৫৪, ৪০, ৭১, ০, ৬০*।

    গত এক বছরে বাংলাদেশের হয়ে ৭ নম্বরে ব্যাট করেছেন মোট  চার জন। এদের মধ্যে আফিফ সর্বোচ্চ ৬ ইনিংসে ব্যাট করলেও রানের দিকে আছেন দ্বিতীয় অবস্থানে। মিরাজ ব্যাট করেছেন ৪ ইনিংসে, ইয়াসির দুটি ও সোহান এক খেলেছেন এক ইনিংস। গত এক বছরে এই পজিশনের ব্যাটারদের মধ্যে আফিফের স্ট্রাইকরেটই সবচেয়ে কম।

    ২৫ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে আফিফ সবচেয়ে বেশি ব্যাট করেছেন ৭ নম্বর পজিশনেই। মোট ১৫ ইনিংসে তার রান ৩৭২। ক্যারিয়ার সেরা ৯৩* রানের অপরাজিত ইনিংসটাও আফিফ খেলেছেন একই পজিশনে ব্যাট করেই । 

    এদিকে ২১৮ ম্যাচের লম্বা ক্যারিয়ারে সাত নম্বরের চেয়ে ছয় নম্বর পজিশনেই বেশি সফল মাহমুদউল্লাহ ।মোট ৬৫ ইনিংসে ৬ নম্বরে ব্যাট করে ১৭১৭ রান করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। সেই তুলনায় সাত নম্বর পজিশনে তার মোট রান কম হলেও ব্যাটিং গড়, স্ট্রাইকরেট ছয় নম্বর পজিশনের চেয়ে বেশি। এই পজিশনে আছে ৮টি ফিফটি। ক্যারিয়ার স্ট্রাইকরেটের সাথে তুলনায় গেলেও সাত নম্বর পজিশনের মাহমুদউল্লাহই এগিয়ে থাকবেন । সব মিলিয়ে সাত নম্বর পজিশনে মাহমুদউল্লাহর রেকর্ডই সবাইকে ছাপিয়ে গেছে। বিশ্বকাপে সাত নম্বর পজিশনের বিবেচনায় আফিফ নাকি মাহমুদউল্লাহ প্রাধান্য পান, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা ।