পেসারদের উন্নতির ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান হাসান মাহমুদ
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। বাংলাদেশ ৫০ ওভার ব্যাট করলেও আয়ারল্যান্ড ৩ উইকেট হারিয়ে ৬৫ রান তলার পরেই পন্ড হয়ে যায় ম্যাচ। তবে বাংলাদেশের হয়ে নতুন বল হাতে ঝলক দেখিয়েছেন হাসান মাহমুদ। ম্যাচ শেষে বলেছেন আয়ারল্যান্ড সফরে নিজের পরিকল্পনা ও বাংলাদেশের পেস আক্রমণের ভবিষ্যত নিয়ে।
বল করতে নেমে নতুন বলে কাল শুরু থেকেই আইরিশ ব্যাটসম্যানদের অস্বস্তির কারণ হচ্ছিলেন হাসান। ভেতরের দিকে ঢোকা দারুণ এক বলে আইরিশ অধিনায়ক বালবির্নিকেও ফিরিয়ে দিয়েছেন দ্রুত। ম্যাচ শেষে হাসান মাহমুদ বলেছেন, তাদের পরিকল্পনার কথা, 'বোলিংয়ে আমাদের পরিকল্পনা ছিল ফোর্থ-ফিফথ স্টাম্পে বল করা। জায়গা না দিয়ে যতটুকু সম্ভব স্টাম্পে বল করা। সুইং ব্যবহার করা। নতুন বল কাজে লাগানো। যতটুকু সম্ভব সামনে বল করা। আমি ও শরিফুল খুবই ভালো শুরু করেছিলাম। আমাদের বোলিংয়ে ওদের দুটি উইকেট পড়েছে। পরে তাইজুল ভাই একটি নিয়েছে।
ম্যাচ চলার সময় দুই পেসারের সাথে কথা বলতে দেখা গেছে পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডকে। ইংল্যান্ডের মাঠে খেলার অনেক অভিজ্ঞতা আছে ডোনাল্ডের। মাহমুদ জানিয়েছেন, বিশেষ করে কালকের ম্যাচ নিয়ে ডোনাল্ডের সাথে তার আলাপচারিতার কথা, '
আমাদের পেস বোলিং গ্রুপ খুবই ভালো করছে। এখানে ইংলিশ কন্ডিশনে ভালো অ্যাকুরেসির সঙ্গে ভালো শেইপে আছে। এর পেছনে অ্যালান ডোনাল্ডের অনেক পরিশ্রম আছে। উনি আমাদের তার অভিজ্ঞতাগুলো ভাগাভাগি করেন, কীভাবে কী করলে ভালো হয়। সেগুলো থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি। পরামর্শগুলো আমাদেরকে অনেক সহায়তা করে।”
“এরকম কন্ডিশনে ভালো করার জন্য অ্যালান ডোনাল্ড বলেছিলেন, যতটুকু সম্ভব, ব্যাটসম্যানদের সামনে খেলানোর চেষ্টা করা। বক্সের ভেতর বল করা, স্টাম্প টু স্টাম্প করতে পারলে খুব ভালো।'
প্রথম ওয়ানডেতে হাসান-শরিফুলের সাথে ছিলেন এবাদত, মোস্তাফিজ ছিলেন বাইরে। পেস আক্রমণের বড় ভরসা তাস্কিন নেই এই সফরে, চোট থেকে সেরে উঠছেন। তবে তাসকিনের কথা আলাদা করে বললেন হাসান, 'আমি ও শরিফুল ভালো শুরু করেছি। আমরা দুজনই ইনজুরিতে ছিলাম কিছু সময় ধরে। এখন দুজনই ফিট আছি। তাসকিন ভাই এখন ইনজুরিতে আছেন, উনি সামনে ফিরে আসবেন ইনশাল্লাহ। উনাকে মিস করছিলাম আজকে'
'