• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    বার্নাব্যুতে রিয়াল-সিটির হিসেবি ড্র

    বার্নাব্যুতে রিয়াল-সিটির হিসেবি ড্র    

    রিয়াল মাদ্রিদ ১:১ ম্যান সিটি 


    কার্লো আনচেলত্তি আগেই বলেছিলেন এই সেমিফাইনালের নিষ্পত্তি হবে ম্যানচেস্টারে। সেটাই হলো। সেমির প্রথম ৯০ মিনিটে আলাদা করা যায়নি রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটিকে। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে সমানে সমান লড়াই করে ১-১ গোলের ড্র আদায় করেছে দুই দল। 

    হালান্ড বনাম ভিনিসিয়াস-বেনজেমা-রদ্রিগো ত্রয়ীর যে দ্বৈরথ হওয়ার কথা ছিল সেটি থেকে বঞ্চিত হয়েছে বার্নাব্যু। তবে প্রথম লেগে রোমাঞ্চের কোনো অভাব ছিল না। রুটিনমাফিক এই ম্যাচেও বলের দখল রেখে এবং প্রতিপক্ষের অর্ধে প্রেস করে শুরুতেই নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে ম্যান সিটি। প্রথম ৩৫ মিনিটে ৭০ ভাগের বেশি বলের দখল রাখে সিটিজেনরা। গোলমুখে চারবার শট নেয় ডি ব্রুইনা-হালান্ডরা। ইংলিশ দলগুলোর চাপে অভ্যস্ত এবং বড় ম্যাচে স্বাচ্ছন্দ্যে সিট-ব্যাক করতে সক্ষম কার্লো আনচেলত্তির দল গোল করে তাদের প্রথম শট থেকেই। ৩৬ মিনিটে লেফটব্যাক পজিশনে খেলতে নামা কামাভিঙ্গা মদ্রিচের সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে সিটির অর্ধে উঠেন, দুজন ডিফেন্ডারকে পাশ কাটিয়ে বক্সের সামনে বল দেন ভিনিসিয়াসকে। বলে একটি টাচ নিয়ে নিয়ার পোস্টে বুলেটগতির এক শটে এডারসনকে পরাস্ত করেন এই ব্রাজিলিয়ান। 

    এই গোলের সাথে সাথেই ম্যাচে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে রিয়াল। কিন্তু দক্ষ রক্ষণের জন্য ১-০তেই শেষ হয় প্রথমার্ধ। 

    দ্বিতীয়ার্ধে সিটি আর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পায়নি। এ সময়ে তারা বলের আধিপত্যও হারিয়েছে রিয়ালের কাছে। কিন্তু প্রথমার্ধের রিয়ালের মতো এবার ম্যাচের গতিবিধি সম্পূর্ণ উল্টে দিয়ে গোল করে বসে সিটি। ডি ব্রুইনার সেই গোলটিও আসে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া এক বুলেটগতির শটে। গুন্ডোগানের পাস থেকে ৬৭ মিনিটে স্টিভেন জেরার্ডীয় এক শট নেন কেডিবি। 

    সেই শটের আগে ও পরে রিয়াল মাদ্রিদই রাজত্ব করেছে মাঠে। কিন্তু রুবেন ডিয়াজ-আকানজিরা সবসময় সতর্ক থাকায় আর গোলের দেখা পায়নি স্বাগতিকরা। 

    দ্বিতীয়ার্ধে সিটি ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া করলেও পেপ গার্দিওলা দলে কোনো পরিবর্তন আনেননি। বিশেষ করে পুরো ম্যাচে আক্রমণ ও রক্ষণ কোনো জায়গাতেই অবদান রাখতে না পারা বার্নার্দো সিলভাও খেলেছেন পুরো ৯০ মিনিট। এই পজিশনে সিটির রেগুলার স্টার্টার রিয়াদ মাহরেজকে ওয়ার্ম-আপ করতেও দেখা যায়নি। 

    ১-১ গোলে প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার পর এখন সবার নজর থাকছে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে। কার্লো আনচেলত্তির কথামতো আগামী সপ্তাহে ম্যানচেস্টারেই নিষ্পত্তি হবে এই হেভিওয়েট নক-আউট ম্যাচের।