• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    রিয়ালকে ধুয়ে দিয়ে ফাইনালে গার্দিওলার সিটি

    রিয়ালকে ধুয়ে দিয়ে ফাইনালে গার্দিওলার সিটি    

    ম্যান সিটি (৫) ৪:০ (১) রিয়াল মাদ্রিদ


    কার্লো আনচেলত্তি ম্যাচের আগে খোলামেলাভাবেই বলেছিলেন, সিটি গোল দিলে যেন আগেভাগে দেয়। যাতে করে তার দল কামব্যাক করার জন্য যথেষ্ট সময় পায়। কিন্তু ইতিহাদ স্টেডিয়ামে শুধু শুরুতে গোল করেনি সিটি, করেছে মাঝে ও শেষেও। পুরো ম্যাচে কর্তৃত্ব নিয়ে খেলা বার্নার্দো সিলভারা রিয়ালকে তুলোধুনো করে কেটেছে ফাইনালের টিকিট। 

    রিয়াল মাদ্রিদকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে ৪-০ গোলে হারানো নিঃসন্দেহে ম্যান সিটির ইতিহাসের সবচেয়ে উজ্জ্বল মুহূর্তগুলোর একটি। কিন্তু সামনের দুই সপ্তাহে সিটির অর্জন তাদের পুরো ইতিহাসকে ছাপিয়ে যেতে পারে। এই দুই সপ্তাহে সিটির হাতে উঠতে পারে তাদের প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা, হ্যাটট্রিক প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা ও বহু-আরাধ্য ট্রেবল। 

    অনুমিতভাবেই ইতিহাদে সিটি শুরু করে তাদের হাই-টেম্পো ফুটবল দিয়ে। আগ্রাসী প্রেসিং ও নিখুঁত পাসিং ফুটবলে খুব দ্রুতই ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ডি ব্রুইনারা। প্রথম ২০ মিনিটে গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া ও দক্ষ রক্ষণের বলে রিয়াল পার পেয়ে গেলেও একসময় ঠিকই তাদের জালভেদ করে স্বাগতিকরা। ২৩ মিনিটে জন স্টোনসের পাস থেকে ম্যাচের প্রথম গোল করেন বার্নার্দো সিলভা। ১৫ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বার্নার্দো। এবার আক্রমণ শুরু করেছিল জ্যাক গ্রিলিস। লেফট উইং থেকে তার বাড়ানো বলে প্রথম গুন্ডোগান শট করলেও তা ফিরিয়ে দেন মিলিতাও। কিন্তু বল ডিফ্লেক্টেড হয়ে গিয়ে পড়ে বার্নার্দোর মাথায়। মাপা হেডে এই পর্তুগিজ দ্বিতীয়বারের মতো জাল খুঁজে নেন। 

    তৃতীয় গোলের জন্য প্রথমার্ধের শেষ মিনিট পর্যন্ত চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যেতে হয় ম্যান সিটির। 

    দ্বিতীয়ার্ধে সিটির প্রেসিং কমে যাওয়ায় ম্যাচ কিছুটা খোলামেলা হতে শুরু করে। প্রথমার্ধের আগ্রাসন ভুলে এই অর্ধে গেম ম্যানেজমেন্টে বেশি মনোযোগ দেয় সিটি। আনচেলত্তি দুজন বদলি খেলোয়াড় নামিয়ে ম্যাচের গতি পরিবর্তন করার চেষ্টা করলেও তাতে লাভ হয়নি। উল্টো রুডিগার ও আসেন্সিও নামার কয়েক মিনিটের মধ্যে তৃতীয় গোল করে সিটি। এবার ডি ব্রুইনার ফ্রিকিকে হেড করেন আকানজি, বল মিলিতাওয়ের গায়ে ডিফ্লেক্টেড হয়ে জড়ায় জালে। যোগ করা সময়ে সিটির দুই বদলি খেলোয়াড় ফিল ফোডেন ও জুলিয়ান আলভারেজ ম্যাচের চতুর্থ গোলের বন্দোবস্ত করেন। 

    অ্যাগ্রিগেটে ৫-১ গোলের এই বড় জয় পেপ গার্দিওলার জন্য একটি ট্যাকটিকাল জয়ও। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ট্যাকটিক্সের জন্য বারবার সমালোচিত হওয়া এই কাতালান ম্যানেজার এবার প্রতিটি নকআউট জিতেছেন হেসেখেলে। আর এক ম্যাচ জিততে পারলেই একটি অসাধ্য সাধন করবেন তিনি। গড়বেন সিটি ম্যানেজার হিসেবে সবকিছু জেতার ইতিহাস।