• দলবদলের যত খবর
  • " />

     

    কেন মিয়ামিতে যাচ্ছেন মেসি? বার্সেলোনা বা আল হিলালে কেন যাওয়া হলো না?

    কেন মিয়ামিতে যাচ্ছেন মেসি? বার্সেলোনা বা আল হিলালে কেন যাওয়া হলো না?    

    লিওনেল মেসি কি ইন্টার মিয়ামিতে যাচ্ছেন?

    হ্যাঁ, স্প্যানিশ ও আর্জেন্টিনা মিডিয়া নিশ্চিতভাবেই বলছে মেসি ইন্টার মিয়ামিতে যাচ্ছেন। এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে মেসি বা মিয়ামি কিছু বলেনি, তবে খুব সম্ভবত সেটা সময়ের ব্যাপার।  

    মেসি বার্সেলোনাতে গেলেন না কেন?

    প্রশ্নটা আসলে হওয়া উচিত, বার্সা কি আসলেই মেসিকে চেয়েছে? বার্সা বোর্ড সবসময় বলটা মেসির কোর্টে ঠেলে দিয়েছে, কিন্তু সত্যিটা হচ্ছে বার্সার দিক থেকে সদিচ্ছার অভাব ছিল। দুই বছর আগেও যখন মেসিকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বার্সা ছাড়তে হয়েছিল, তখনও বার্সার ইচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। এই ব্যাপারটা বার্সা একটা পিআর স্টান্ট হিসেবেই ব্যবহার করতে চেয়েছে। মেসি বার্সার জন্য লং টার্ম প্ল্যান নন, আর বার্সার বর্তমাম আর্থিক অবস্থায় মেসিকে আনার আর্থিক ঝুঁকিও তারা নেবে বলে মনে হচ্ছে না৷ মেসি চেয়েছিলেন, বার্সা যেন তাকে রেজিস্টার করার নিশ্চয়তা দেয়। কিন্তু বার্সা সেই নিশ্চয়তাও দিতে পারেনি। তবে৷  


    তবে কী?

    বার্সা যদি আর্থিক ঝুঁকিটা কমাতে চায়, তাহলে মিয়ামি থেকে মেসিকে ধারে আনার একটা চেষ্টা কর‍তে পারে। তবে এই মুহুর্তে সেটার সম্ভাবনাও খুব ক্ষীণ মনে হচ্ছে

    মিয়ামিতে কী পাচ্ছেন মেসি?

    প্রতি বছর ৫০ মিলিয়ন ডলার বেতনের সাথে অ্যাপল ও অ্যাডিডাসের সাথে মিয়ামির চুক্তির প্রফিট শেয়ার, মিয়ামির সিজন টিকেটের প্রফিট শেয়ার, অবসরের পর মিয়ামির শেয়ারের লভ্যাংশ -আপাতত এসব জানা গেছে।

    সৌদি আরবের আল হিলালে কি এর বেশি পেতেন না? তাহলে সেখানে গেলেন না কেন?

    অবশ্যই আল হিলালে হয়তো আর্থিক প্যাকেজ এর চেয়ে কিছু বেশি হতো। কিন্তু মেসি সম্ভবত নিজের পরিবার নিয়ে সৌদিতে বাস করতে চাননি। সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র তাদের জন্য বেটার অপশন। এখানে তার স্ত্রীরও একটা বড় ভূমিকা আছে। বার্সেলোনা তাদের বাড়ি, সেটা সবসময়েই তারা বলেছেন। মেসি পুরোপুরি অবসর নেওয়ার আগ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রই তাদের ঠিকানা। আর তিন বছর পর এখানেই পরের বিশ্বকাপ, এটাও হয়তো মেসির এই সিদ্ধান্তে কিছুটা ভূমিকা রেখেছে।

    ইউরোপে থাকার কি কোনো রাস্তাই ছিল না?

    মেসি অন্তত আর এক মৌসুম হয়তো ইউরোপেই থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ইউরোপের শীর্ষ লিগে কোনো দল তাকে আর্থিক ও কৌশলগতভাবে নিতে আগ্রহী হবে না। মেসির যে বেতন, সেটা অনেক কমালেও খুব বেশি ক্লাবের সেটা দেওয়ার সামর্থ্য নেই। আর চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলা কোনো ক্লাব যেরকম প্রেসিং ফুটবল খেলবে, তাতে মেসির সেটার সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়া কঠিন। বিশেষ করে ম্যান সিটিকে যারা মেসির সম্ভাব্য গন্তব্য হিসেবে দেখেছেন, তাদের প্লেয়িং স্টাইলের সাথে মেসি এখন বেমানান। রোনালদোর মতো তাই মেসিও এখন শীর্ষ ফুটবলে আর প্রার্থিত নন, এটাই অমোঘ সত্যি।

    মিয়ামিতে মেসির কি আদৌ কোনো চ্যালেঞ্জ আছে?

    সত্যি হচ্ছে, মেসির ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার এটা শেষের শুরু। আর্জেন্টিনার হয়ে কিছুদিন আরো চালিয়ে যাবেন। পরের কোপা খেলবেন, হয়তো খেলবেন বিশ্বকাপও। এমএলএস লিগ হিসেবে খারাপ নয়, তবে ইউরোপের মতো চাপ থাকবে না নিশ্চিতভাবেই। যদিও মিয়ামির অবস্থা নিজেদের লিগে ভালো নয়, এবার শেষ করেছে তলানিতে। তাদেরকে সেখান থেকে উঠিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ তো আছেই। মেসি আসলে সেটা তাদের জন্য কতটা টনিক হবে, সময়ই বলে দেবে।