• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩
  • " />

     

    ডি কক, ভ্যান ডার ডুসেন, মার্করামের ‘প্রোটিয়া ফায়ার’-এ দগ্ধ লঙ্কানরা

    ডি কক, ভ্যান ডার ডুসেন, মার্করামের ‘প্রোটিয়া ফায়ার’-এ দগ্ধ লঙ্কানরা    

    ২০২৩ বিশ্বকাপ, গ্রুপ পর্ব, দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা(টস-শ্রীলঙ্কা/বোলিং)
    দক্ষিণ আফ্রিকা - ৪২৮/৫, ৫০ ওভার (ডুসেন ১০৮, মার্করাম ১০৬, ডি কক ১০০, মাদুশাঙ্কা ২/৮৬, ওয়েলালাগে ১/৮১)


    টস জিতে শ্রীলঙ্কার নেওয়া বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত যেন দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য শাপেবর হয়ে এল। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বোলারদের তুলোধোনা করে রানের পাহাড় গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা জানাল তাদের আগমনী বার্তা।

    অথচ নিজেদের সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করতে শুরুতেই দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেছিলেন দিলশান মাদুশাঙ্কা। শ্রীলঙ্কা শিবিরের আনন্দ যেন সেখানেই শেষ হয়ে যায়। উইকেটে আসা রাসি ভ্যান ডার ডুসেনের সাথে আক্রমণের আনন্দে মেতে ওঠেন কুইন্টন ডি কক। বলপ্রতি ভ্যান ডার ডুসেন ফিফটি পাওয়ার পর ৬২ বলে ফিফটি পেয়ে যান ডি ককও। তবে এরপর শ্রীলঙ্কার জরাজীর্ণ ফিল্ডিংয়ের মাশুল তারা গুনেছে ভয়ংকরভাবেই। ২২-২৬ ওভারের মধ্যে দুবার জীবন পেয়েছেন ভ্যান ডার ডুসেন, ডি কক পেয়েছেন একবার। এরপর থেকে আরও এক দফা গিয়ার পরিবর্তন করে সেটার পূর্ণ সুযোগ নিয়ে ডি কক সেঞ্চুরি পেয়ে যান মাত্র ৮৩ বলে; যদিও তার পরের বলে তুলে মারতে গিয়ে পাথিরানার শিকার হয়ে তিনি থামেন ১০০ রানেই। তার কিছুক্ষণ পরেই অবশ্য ১০৩ বলে সেঞ্চুরি পেয়ে যান ভ্যান ডার ডুসেন।

    সেটার জন্য এইডেন মার্করামকে ধন্যবাদ দিতে পারেন ওয়ানডেতে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ডুসেন। অন্য প্রান্তে মার্করাম এসেই হাত খুলে খেলতে থাকলে কাজটা সহজ হয়ে যায় তার জন্য। ১১০ বলে ১০৮ রানে ডুসেন কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরলেও মার্করাম তাই ছিলেন অবিচল। অন্যদিকে হাইনরিখ ক্লাসেন উইকেটে এসে তিন বার সুযোগ পেয়েছিলেন। এরই মাঝে মাত্র ৩৪ বলে ফিফটি পেয়ে যান মার্করাম। অন্য প্রান্তে সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে না পেরে ২০ বলে ৩২ রানে ক্লাসেন ফিরলে মার্করাম যেন রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন। পরের পঞ্চাশ রান তুলতে তিনি খরচ করেন মাত্র ১৫ বল! তাতেই মাত্র ৪৯ বলে ফিফটি করে কেভিন ও ব্রায়েনের রেকর্ড ভেঙে হয়ে যান বিশ্বকাপ ইতিহাসের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান। মাদুশাঙ্কার দ্বিতীয় শিকার হয়ে ৫৪ বলে ১০৬ রানে থামার আগে নির্দয় পিটুনিতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাজটা ততক্ষণে সারা হয়ে গিয়েছেন মার্করামের। শেষদিকে ২১ বলে ৩৯* রানে অপরাজিত থেকে বাকি কাজটুকু সেরেছেন ডেভিড মিলার। তাতেই বিশ্বকাপ ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ডটাও গড়া হয়ে গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার।