• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩
  • " />

     

    ডি ককের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি, ফিল্ডিং গাফিলতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৩১১

    ডি ককের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি, ফিল্ডিং গাফিলতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৩১১    

    ২০২৩ বিশ্বকাপ, গ্রুপ পর্ব, অস্ট্রেলিয়া -দক্ষিণ আফ্রিকা টস-অস্ট্রেলিয়া/বোলিং)
    দক্ষিণ আফ্রিকা - ৩১১/৭, ৫০ ওভার (ডি কক ১০৯, মার্করাম ৫৬, বাভুমা ৩৫, ম্যাক্সওয়েল ২/৩৪, স্টার্ক ২/৫৩, হেজলউড ১/৬০)


    ভারতের বিপক্ষে হারের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও আজ অস্ট্রেলিয়াকে ঠিক নিজেদের মত মনে হয়নি। অন্যদিকে কুইন্টন ডি ককের দুর্দান্ত ফর্মটাও তাদের ওপর চেপে বসল আবারও। অস্ট্রেলিয়ার জরাজীর্ণ ফিল্ডিং, দক্ষিণ আফ্রিকার মার্কাটারি ব্যাটিং - দুইয়ে মিলে প্রোটিয়ারা ছুঁড়ে দিয়েছে বড় এক চ্যালেঞ্জ।

    ১৩-তম ওভারে বাভুমার মামুলি ক্যাচ ফেলে দেন আজ উইকেটকিপার হিসেবে নামা জশ ইংলিস; সেখান থেকেই শুরু অস্ট্রেলিয়ার বাজে ফিল্ডিং। নিজের প্রথম ওভারেই ১৯ রানে থাকা বাভুমার উইকেটটা তো জাম্পা পেলেনই না; উল্টো সেখান থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা শতরানের ওপেনিং জুটি পেয়ে যায় ১৮ ওভারেই। জাম্পা না পারলেও আরেক স্পিনার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলই পরে দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ককে থামান ৩৫ রানে। ভ্যান ডার ডুসেনকে সঙ্গী করে অবশ্য ফিফটি পাওয়া ডি কক তখন থেকেই দিচ্ছেন বড় কিছুর ইঙ্গিত। দারুণ ফর্মে থাকা ডুসেন ২৬ রানেই জাম্পার শিকার হয়ে থামলেও ডি কক তাই ছিলেন অবিচল।

    উইকেটে এসে আরেক ফর্মে থাকা ব্যাটার এইডেন মার্করাম আপন ছন্দে খেলতে থাকলে ডি কক হয়ে ওঠেন এক অর্থে দুর্দমনীয়। ১ রানে থাকা মার্করামের সহজ এক ফিরতি ক্যাচ ফেলে দেওয়ার জন্য কামিন্সকেও অবশ্য সেটার জন্য ধন্যবাদ দিতেই পারে দক্ষিণ আফ্রিকা। এক বল পরেই কামিন্সকে দুর্দান্ত এক ছয় মেরে ৯০ বলে ডি কক পেয়ে যান তানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। পুরো ইনিংস জুড়ে বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং করা ম্যাক্সওয়েলের শিকার হয়ে এর পরপরই থামতে হয় ডি কককে, ১০৬ বলে ১০৯ রান শেষে। তবে এরপর অস্ট্রেলিয়ার ভুলের মাশুল দিতে হয় মার্করামের বদৌলতে। বিশ্বকাপ ইতিহাসের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ার পরের ম্যাচেই মার্করাম ফিফটি পেয়ে যান ৪১ বলে। পরের ওভারে এসে অবশ্য নিজের শাপমোচনের কাজটা সারেন কামিন্স নিজেই, ৪৪ বলে ৫৬ রানের ইনিংস শেষে মার্করামকে থামিয়ে। এরপরও কামিন্সের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে আসে ৪৯-তম ওভার। প্রথম বলেই হাত খুলে খেলতে থাকা মিলার বাউন্সারে ব্যাটে-বলে করতে না পারলেও সুযোগ লুফে নিতে পারেননি স্টার্ক; চতুর্থ বলে কাভারে এরপর ইয়ানসেনের তুলে দেওয়া যেই ক্যাচটা স্টয়নিস ফেলে দিলেন তা হয়ত অস্ট্রেলিয়ার শিবিরের জন্য ক্ষমার অযোগ্য। শেষ ওভারে স্টার্ক দুজনকেই ফেরালেও ইয়ানসেনের ২৬ রান, মিলারের ১৭ রানে দক্ষিণ আফ্রিকা শেষমেশ তিনশো পেরিয়ে তুলেছে ৩১১ রান।