• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩
  • " />

     

    'প্রোটিয়া-পাওয়ার' প্রদর্শনী: ক্লাসেন-ইয়ানসেন ঝড়, রিজার উজ্জ্বল অভিষেকে রান-পাহাড়

    'প্রোটিয়া-পাওয়ার' প্রদর্শনী: ক্লাসেন-ইয়ানসেন ঝড়, রিজার উজ্জ্বল অভিষেকে রান-পাহাড়    

    ২০২৩ বিশ্বকাপ, গ্রুপ পর্ব, ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা (টস-ইংল্যান্ড/বোলিং)
    দক্ষিণ আফ্রিকা - ৩৯৯/৭, ৫০ ওভার (ক্লাসেন ১০৯, রিজা ৮৫, ইয়ানসেন ৭৫*, টপলি ৩/৮৮, অ্যাটকিনসন ২/৬০, রশিদ ২/৬১)

     

    নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হারটা যেন আঁতে ঘা লাগিয়েছে; দক্ষিণ আফ্রিকা তাই আরও একবার হয়ে উঠল ভয়ংকর। ইংলিশদের তুলোধোনা করে হাইনরিখ ক্লাসেনের অবিস্মরণীয় সেঞ্চুরি, রিজা হেনড্রিকসের দারুণ বিশ্বকাপ অভিষেক আর মার্কো ইয়ানসেনের বিধ্বংসী শেষে ইংলিশদের সামনে দক্ষিণ আফ্রিকা গড়ে তুলেছে রানের পাহাড়।

    অসুস্থতায় টেম্বা বাভুমা খেলতে পারবেন না জানা গিয়েছিল আগেই। তার জায়গায় দলে এসেই নিজেকে প্রমাণে যে বদ্ধপরিকর ছিলেন রিজা সেটা বোঝা যাচ্ছিল তার ব্যাটিংয়েই। রিস টপলির শিকার হয়ে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই কুইন্টন ডি কক ফিরলেও রাসি ভ্যান ডার ডুসেনকে সঙ্গী করে দারুণ খেলেছেন রিজা। ১৬-তম ওভারে দুজন মিলে দলকে শতরান এনে দেওয়ার পরের ওভারেই দুজনেই পান ফিফটি। ৪৯ বলে ডুসেন তার ১৪-তম ওয়ানডে ফিফটি পেলে রিজা নিজের প্রথম বিশ্বকাপ ফিফটি পেয়ে যান ৪৮ বলে। আদিল রশিদকে এরপর মিড উইকেটের ওপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৬১ বলে ৬০ রানে থাকা ডুসেন। তবে এরপর রুটকে দারুণ দুই ছয় মেরে গিয়ার পাল্টানোর ইঙ্গিত দেন রিজা। সেই ধারা বজায় রাখতে গিয়েই অবশ্য রশিদের বলে স্টাম্প খুইয়ে শেষ হয় রিজার ৭৫ বলে ৮৫ রানের ইনিংস।

    সেখান থেকেই শুরু হয় অবিশ্বাস্য এক ইনিংসের। দলীয় ২০০ রান দক্ষিণ আফ্রিকা ছোঁয় ৩১-তম ওভারে। এইডেন মার্করামের সাথে সবে যোগ দিয়ে নিজ ছন্দে খেলছেন ক্লাসেন। সুবিধা করতে না পারা মার্ক উডের জায়গায় টপলি আক্রমণে ফিরেই মার্করামকে থামান ৪২ রানে; নিজের পরের ওভারে তুলে নেন ডেভিড মিলারের উইকেটটাও। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস যখন খেই হারানোর দিকে এগুচ্ছে, ৩১-৪১ ওভারে যেখানে তারা তুলেছে ৬৩ রান ঠিক তখনই জ্বলে উঠলেন ক্লাসেন। ওয়াঙ্খেড়েতে প্রখর রোদ আর গরমে ততক্ষণে তিনি ধুঁকছেন; একটু পরে হয় ক্র্যাম্প। সেটা নিয়েই ইংলিশ পেসারদের এক হাত নিলেন এই উইকেট কিপার ব্যাটার। ৪০ বলে যেখানে ছুঁয়েছিলেন ফিফটি, সেখানে পরের ২০ বলেই করলেন পরের পঞ্চাশ রান! যেই টপলিকে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিল প্রোটিয়ারা সেই টপলির ওভার থেকে ১৯ রান তুলে ইয়ানসেনের সাথে জুটি বেঁধে বড় সংগ্রহের বার্তা দিলেন। জায়গায় দাঁড়িয়ে উডের পরপর দুই বলে ছয়-চারে ৬১ বলে সেঞ্চুরি করে ফেললে অন্য প্রান্তে টানা তিন বাউন্ডারিতে ৩৫ বলে ফিফটি করেন ইয়ানসেন। দুজনে মিলে এরপর টপলির করা ৪৯-তম ওভার থেকে তুলেন ২৬ রান! অ্যাটকিনসনের শেষ ওভারে ৬৭ বলে ১০৭ রানে ক্লাসেন থামলেও ৪২ বলে ইয়ানসেন ৭৫* রান করায় ইংল্যান্ডের সামেন ৪০০ রানের সুবিশাল লক্ষ্য দাঁড় করায় তারা।