• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩
  • " />

     

    ডাচ-রুপকথার মঞ্চ পণ্ড করে সাদিরার দায়িত্বশীল ইনিংসে শ্রীলঙ্কার প্রথম জয়

    ডাচ-রুপকথার মঞ্চ পণ্ড করে সাদিরার দায়িত্বশীল ইনিংসে শ্রীলঙ্কার প্রথম জয়    

    ২০২৩ বিশ্বকাপ, গ্রুপ পর্ব, নেদারল্যান্ডস-শ্রীলঙ্কা (টস-নেদারল্যান্ডস/ব্যাটিং)
    নেদারল্যান্ডস - ২৬২, ৪৯.৪ ওভার (এঙ্গেলব্রেখট ৭০, ভ্যান বিক ৫৯, অ্যাকারম্যান ২৯, মাদুশাঙ্কা ৪/৪৯, রাজিথা ৪/৫০, থিকশানা ১/৪৪)
    শ্রীলঙ্কা - ২৬৩/৫, ৪৮.২ ওভার (সাদির ৯১*, আসালাঙ্কা ৪৪, ধনঞ্জয়া ৩০, আরিয়ান ৩/৪৪, মিকেরেন ১/৩৯, অ্যাকারম্যান ১/৩৯
    ফলাফল - শ্রীলঙ্কা ৫ উইকেটে জয়ী


     

    দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ে আত্মবিশ্বাসী নেদারল্যান্ডস, অন্যদিকে ইনজুরিতে জর্জরিত শ্রীলঙ্কার জয়ের মুখ না দেখা  - সকালের ম্যাচটায় ছিল রোমাঞ্চের সকল উপকরণ। সেই জায়গা থেকেই ডাচদের আরেকটি রূপকথা রচনার আশা বুনলেও শ্রীলঙ্কা তাদের মুঠো থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে জয়। ব্যাটিংয়ের সময় সিব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট-লোগান ভ্যান বিক দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের গাঁথা লিখলে বোলিংয়েও আরিয়ান দত্ত শুরুতে জাগিয়েছিলেন আশা। সেই আশা ভেস্তে সাদিরা সামারাবিক্রমার দায়িত্বশীল ইনিংসটাই গড়ে দিয়েছে ব্যবধান।

    ২৬৮ রানের লক্ষ্য প্রথম পাওয়ারপ্লেতেই দুই কুশল - পেরেরা ও মেন্ডিসকে থামান আরিয়ান। ফিফটি করে এদিন নিজের ইনিংস দীর্ঘ করার ইঙ্গিত দিয়েও এরপর টানা তৃতীয় ম্যাচে নামের পাশে ফিফটি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় পাথুম নিসাঙ্কাকে। ভ্যান মিকেরেনের আঘাতে তিনি ৫২ বলে ৫৪ রানে থামলে চারিথ আসালাঙ্কাকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের সুযোগ খুঁজতে থাকেন সাদিরা। ফিফটির দ্বারপ্রান্তে এসে নিজের কাজটা করে দেওয়ার পর আরিয়ানের বলে স্টাম্প খুইয়ে ৬৬ বলে ৪৪ রানে আসালাঙ্কা থামলে আবারও ম্যাচে ফেরার আশা জাগায় ডাচরা। তবে সাদিরা অনড়, ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে নিয়ে নিজের কাজটা তিনি এগিয়েছেন আপন ছন্দে। ৪৭-তম ওভারে এসে ধনঞ্জয়াও যখন ৩৭ বলে ৩০ রানে অ্যাকারম্যানের কাছে স্টাম্প খুইয়ে ফিরলেন তখনও যেন হার মানতে নারাজ ডাচরা। তবে ২৫৭ রান করে ফেলা লঙ্কানরা যে ততক্ষণে ঠুকে দিয়েছে কফিনের পেরেক,ঠুকেছেন সাদিরাই। ১০৭ বলে ৯১* রানে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন এই ব্যাটার।

    এর আগে ব্যাট হাতে ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছিল ডাচরা। কাসুন রাজিথার দুর্দান্ত স্পেলে প্রথম তিন ব্যাটার ফিরে যান ১২-তম ওভারের মধ্যে। রাজিথার তোপ সামলাতে সামলাতেই হাজির মাদুশাঙ্কা-থিকশানা জুটি। মুহুর্মুহু আক্রমণে পর্যুদস্ত ডাচরা ৯১ রানেই খুইয়ে বসে ৬ উইকেট, সেটাও ২১.২ ওভারেই! সেখান থেকেই তাদের টেনে তোলেন এঙ্গেলব্রেখট ও ভ্যান বিক। যেই এঙ্গেলব্রেখট সাত বছর আগে এমবিএ করার জন্য ক্রিকেটকেই বিদায় বলেছিলেন সেই তিনি প্রথম বিশ্বকাপে এসেই নিজেকে চেনালেন দারুণ এক ফিফটিতে। ১৩০ রানের অবিস্মরণীয় জুটিতে দুজন গড়েছেন সপ্তম উইকেটে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড, ভেঙেছেন নিজ সতীর্থ তেজা নিদামানুরু-শারিজ আহমেদের রেকর্ড। ৮২ বলে ৭০ রানের দারুণ ইনিংস শেষে মাদুশাঙ্কার বলে স্টাম্প খুইয়ে এঙ্গেলব্রেখট ফিরলে পরে ৭৫ বলে ৫৯ রান করেছেন ভ্যান বিক। শেষদিকে অন্যরা এই জুটির প্রতি সুবিচার করতে না পারার আক্ষেপটা হয়ত তাই থাকবে ডাচদের।