• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩
  • " />

     

    রেকর্ড বই এলোমেলো করে অস্ট্রেলিয়ার টানা তৃতীয় জয়

    রেকর্ড বই এলোমেলো করে অস্ট্রেলিয়ার টানা তৃতীয় জয়    

    ২০২৩ বিশ্বকাপ, গ্রুপ পর্ব, অস্ট্রেলিয়া-নেদারল্যান্ডস (টস-অস্ট্রেলিয়া/ব্যাটিং)


    অস্ট্রেলিয়া - ৩৯৯/৮, ৫০ ওভার (ম্যাক্সওয়েল ১০৬, ওয়ার্নার ১০৪, স্মিথ ৭১, ভ্যান বিক ৪/৭৪, ডি লিড ২/১১৫)

    নেদারল্যান্ডস - ৯০, ২১ ওভার (বিক্রমজিত ২৫, নিদামানুরু ১৪, জাম্পা ৪/৮, মার্শ ২/১৯, কামিন্স ১/১৪)

    ফলাফল- অস্ট্রেলিয়া ৩০৯ রানে জয়ী


     

     

    অস্ট্রেলিয়ার দৌরাত্ম্যে দিশেহারা ডাচরা। আশা নিয়ে এসে লজ্জা নিয়েই ফিরতে হল তাদের। নিজেদের খুঁজে পাওয়া অজিরা রেকর্ড বই এলোমেলো করে পেল বিশ্বকাপের ইতিহাসে রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয়।

    ৪০০ রানের লক্ষ্য ডাচদের হয়ত গণ্ডির বাইরেই ছিল। তবে এমন ভরাডুবির চিন্তা হয়ত তারা করেনি। পঞ্চম ওভারেই বিশ্বকাপে নিজের ৫৬-তম শিকার হিসেবে ম্যাক্স ও 'ডাউডকে ফেরান মিচেল স্টার্ক। ২৫ রান করে ভাল শুরু এনে দেওয়া বিক্রমজিত এরপরের ওভারে রান আউট হয়ে ফিরলে ডাচরা আর একেবারেই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। প্রথম পাওয়ারপ্লেতে তবুও এরপর কলিন অ্যাকারম্যানকে হারিয়েছিল ৪৭ রানে। তবে পরের দশ ওভার পার হতেই যে এভাবে লজ্জার মুখে পড়তে হবে সেটা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি হয়ত তারা। বিশ্বকাপে নিজের প্রথম দুই ম্যাচে নিষ্প্রভ থাকা জাম্পা জ্বলে উঠেছিলেন আগের দুই ম্যাচেই। আজও হল তাই! নিজের শেষ দুই ওভারে জোড়া শিকারে ডাচদের গুটিয়ে দিলেন, সেই সাথে টানা তৃতীয় ম্যাচে পেলে ৪-উইকেট। আর অজিরাও যেন হুংকার দিল বিশ্বকাপে ফেরার।

    টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে এর আগে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা অবশ্য ভাল হয়নি। লোগান ভ্যান বিকের শিকার হয়ে মাত্র ৯ রানেই ফিরে যান আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি পাওয়া মিচেল মার্শ। স্টিভ স্মিথকে নিয়ে এরপর অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস এগিয়ে নিতে থাকেন ওয়ার্নার। তবে সেখানে তিনি পেয়েছেন সুযোগ। স্মিথের সাথে চরম ভুল বুঝাবুঝিতে দুজনেই এক প্রান্তে চলে গিয়েও রান আউট থেকে বেঁচে যান; ফিফটির পর রোলফ ভ্যান ডার মারওয়া তার ক্যাচ নিলেও বল মাটি স্পর্শ করায় বেঁচে যান তিনি। তবে ১৭.১ ওভারে দলীয় শতরান পূর্ণ করা অস্ট্রেলিয়া এই দুজনের হাতে আরামদায়কভাবেই আগাতে থাকে। ৪০ বলে ফিফটি পাওয়া ওয়ার্নারের সাথে ৫৩ বলে এবারের আসরের প্রথম ফিফটি পেয়ে যান স্মিথও। দুজনের জুটি শতরান ছুঁলে আরিয়ান দত্তের শিকার হয়ে থামেন স্মিথ। অবশ্য সুযোগ পাওয়া ওয়ার্নার কি আর সেটা পায়ে ঠেলে দিবেন!


    অন্য প্রান্তে এসে লাবুশেনও হাত খুলে খেলতে শুরু করলে ওয়ার্নারের কাজটা হয়ে যায় আরও সহজ। ৪২ বলে লাবুশেন ফিফটি পেয়ে গেলেও ৬২ রানে তিনি থামেন এই বাস ডি লিডের শিকার। এই ডি লিডের ভাগ্যে কি অপেক্ষা করছিল তা হয়ত তিনি তখন ঘুণাক্ষরেও টের পাননি। ওয়ার্নার যথারীতি নিজের ৬ষ্ঠ বিশ্বকাপ সেঞ্চুরি পেয়ে শচীনের পাশে নিজের নাম খোদাই করে কিছুক্ষণ পরেই ধরা দেন ভ্যান বিকের কাছে। ৯৩ বলে ১০৪ রান করে তিনি ফিরলেই শুরু হয় আসল ঝলক।


    মাঝে জস ইংলিশ, ক্যামেরন গ্রিনদের বিশের অংক পেরুতে না দিয়ে যেখানে ডাচরা স্বপ্ন দেখছিলেন অস্ট্রেলিয়ার লাগাম টেনে ধরার সেখানে ম্যাক্সওয়েল মূর্তিমান আতঙ্ক রূপে আবির্ভূত হন। ২৭ বলে ফিফটি পাওয়ার পর পরের পঞ্চাশ রান তিনি তোলেন ১৩ বলে! বিশ্বকাপ ইতিহাসের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড তিনি করেন ডি লিডের ওভারে ২৮ রান তুলে। সেই সাথে ডি লিড হয়ে যান ওয়ানডে ইতিহাসের সবচেয়ে খরুচে বল। নির্দয় এক ইনিংস শেষে ভ্যান বিকের শেষ ওভারে ৪৪ বলে ১০৬ রানে ম্যাক্সওয়েল থামলেও অস্ট্রেলিয়া পেয়ে যায় ৩৯৯ রানের সংগ্রহ।