• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩
  • " />

     

    শহীদি, রহমতের জোড়া ফিফটিতে সেমির দৌড়ে টিকে রইল আফগানিস্তান

    শহীদি, রহমতের জোড়া ফিফটিতে সেমির দৌড়ে টিকে রইল আফগানিস্তান    

    ২০২৩ বিশ্বকাপ, গ্রুপ পর্ব, নেদারল্যান্ডস-আফগানিস্তান (টস-নেদারল্যান্ডস/ব্যাটিং)
    নেদারল্যান্ডস - ১৭৯, ৪৬.৩ ওভার (এঙ্গেলব্রেখট ৫৮, ও’ডাউড ৪২, অ্যাকারম্যান ২৯, নবী ৩/২৮, নূর ২/৩১, মুজিব ১/৪০)
    আফগানিস্তান - ১৮১/৩, ৩১.৩ ওভার (শহীদি ৫৬*, রহমত ৫২, ওমরযাই ৩১*, সাকিব ১/২৫, ভ্যান ডার মারউই ১/২৫)
    ফলাফল - আফগানিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী


     

    সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখল আফগানিস্তান। ডাচদের বিপক্ষে লক্ষ্ণৌতে পূর্ণাঙ্গ এক পারফরম্যান্সে আসরে চতুর্থ জয় পেল তারা।


    ১৮০ রানের লক্ষ্যে প্রথম পাওয়ারপ্লেতেই ৫৫ রান এলেও ষষ্ঠ ওভারে ভ্যান বিকের শিকার হয়ে গুরবাজ ফেরার পর পাওয়ারপ্লের পরের ওভারেই ভ্যান ডার মারউইর বলে স্টাম্প খুইয়ে ২০ রানে থামেন ইব্রাহিম জাদরান। তবে ডাচদের আশা অতটুকু পর্যন্তই। অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদিকে নিয়ে এরপর রান তাড়ায় টানা তৃতীয় ফিফটি পান রহমত শাহ। ফিফটির পরপরই সাকিবকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ৫২ রানে থামলেও থামেননি আফগান অধিনায়ক। সাথে যোগ দিয়ে আজমতউল্লাহ ওমরযাইও ম্যাচ শেষ করার জন্য তড়িঘড়ি করলে তার ২৮ বলে ৩১* রানের সাথে শহীদির ৬৪ বলে ৫৬* রানে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আফগানরা।


    এর আগে দিনের প্রথম ওভারেই মুজিবের ফাঁদে পড়ে ব্যারেসি ফিরলেও অ্যাকারম্যানকে নিয়ে দারুণ খেলছিলেন ও’ডাউড। ফারুকীকে একেবারেই পাত্তা না দিয়ে দুজনে মিলে প্রথম পাওয়ারপ্লেতে তুলে ফেলেছিলেন ৬৬ রান। ফিফটির দিকে যখন আগাচ্ছিলেন ও’ডাউড তখনই দু’রান নিতে গিয়ে ঘটে বিপত্তি। ফাইন লেগ অঞ্চল থেকে ওমরযাইয়ের দারুণ থ্রোতে সরাসরি স্টাম্প উপড়ে গেলে ৪০ বল ৪২ রান শেষে ফেরেন ও’ডাউড - ব্যাটিং বিপর্যয়ের শুরুটাও সেখান থেকেই। অধিনায়ক এডওয়ার্ডসের সাথে ভুল বুঝাবুঝিতে ৩৫ বলে ২৯ রান শেষে অ্যাকারম্যান ফিরলে তার পরের ওভারে নবীর বল ঠিক কোথায় গড়িয়েছে সেটা বুঝতে না পেরে এদিক সেদিক করতে থাকলে আলী খিলের দ্রুততায় রান আউটের শিকার হন এডওয়ার্ডস নিজেই। নিজের পরের ওভারেই উইকেট কিপারের ক্যাচে ডি লিডকেও ফেরান নবী। নয় ওভারের মধ্যেই ৭৩/১ থেকে নেদারল্যান্ডসের স্কোরবোর্ড হয়ে দাঁড়ায় ৯৭/৫!


    সেখান থেকে সাইব্র্যান্ড এঙ্গেল্ব্রেখট একাই লড়লেও অন্য প্রান্তে উইকেট আসা যাওয়ার মিছিলে বিপর্যয় সে অর্থে সামলানো সম্ভব হয়নি। আলী খিলকে ক্যাচ দিয়ে সাকিব ফেরেন নূরের শিকার হয়ে; নবীর ভাসিয়ে দেওয়া বলে স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে ফেরান ভ্যান বিক। তবে এর মাঝে নূরের করা ২৮-তম ওভারে টানা দুই বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান এঙ্গেলব্রেখট। সেটার সুযোগ কাজে লাগিয়ে টানা দুই বলে চার মেরে ৭৪ বলে এঙ্গেলব্রেখট পেয়ে যান নিজের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ ফিফটি। তবে ফিফটির পর তারও পরিণতি হয় ডাচদের অর্ধেকের মতই। রোলফ ভ্যান ডার মারউইর সাথে ভুল বুঝাবুঝিতে ফিরতে গিয়ে রান আউটের শিকার হয়ে তিনি থামেন ৮৬ বলে ৫৮ রানে। পরে মারউই ১১ ও আরিয়ান ১০ করে সংগ্রহ কিছুটা বাড়ালেও নূর-নবীদের সাঁড়াশি আক্রমণে খুব একটা দূর যেতে পারেনি ডাচরা।