• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩
  • " />

     

    বিদায়ী উইলি, রশিদ-মঈনে বড় জয়েই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের যাত্রার সমাপ্তি

    বিদায়ী উইলি, রশিদ-মঈনে বড় জয়েই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের যাত্রার সমাপ্তি    

    ২০২৩ বিশ্বকাপ, গ্রুপ পর্ব, ইংল্যান্ড-পাকিস্তান (টস-ইংল্যান্ড/ব্যাটিং)
    ইংল্যান্ড - ৩৩৭/৯, ৫০ ওভার (স্টোকস ৮৪, রুট ৬০, বেইরস্টো ৫৯, রউফ ৩/৬৪, আফ্রিদি ২/৭২, ওয়াসিম ২/৭৪)
    পাকিস্তান - ২৪৪, ৪৩.৩ ওভার (সালমান ৫১, বাবর ৩৮, রিজওয়ান ৩৬, উইলি ৩/৫৬, অ্যাটকিনসন ২/৪, রশিদ ২/৫৫)
    ফলাফল - ইংল্যান্ড ৯৩ রানে জয়ী


     

    নিজেদের ইনিংসের ৬.৪ ওভার গড়ানোর পর আনুষ্ঠানিকভাবে সেমির দৌড় থেকে ছিটকে পড়ে পাকিস্তান; এরই মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়ে ম্যাচও হেরে বসার উপক্রম হয়েছে তখন। সেই শঙ্কাই সত্যি হল। বড় জয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিশ্চিত করে পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষটা ভালোভাবেই করল ইংল্যান্ড।
     

    উইলিকে সামলাতে না পেরে দুই পাকিস্তানি ওপেনারের দ্রুত বিদায়ের পর ইনিংস মেরামত করতে গিয়েও ব্যর্থ হন অধিনায়ক বাবর আজম। শর্ট মিড উইকেটের ফাঁদ পাতা হলে অ্যাটকিনসনের বলে সেখানেই ক্যাচ দিয়ে ৪৫ বল ৩৮ রানে থামেন তিনি। শাকিলকে নিয়ে এরপর রিজওয়ান ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও কোনও অবস্থাতেই জয়ের কোনও লক্ষণ তাদের ব্যাটিংয়ে দেখা যায়নি। মঈন আলী-আদিল রশিদ জুটি বেঁধে পাকিস্তানকে চাপে ফেললে ১৫০ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে তারা।

    বিশ্বকাপ অভিষেকে একাই লড়ে এরপর ৪২ বলে ফিফটি পান আঘা সালমান। পাঁচে থেকে শেষ করতে ১৮৮ রান করতেই হত পাকিস্তানকে। তার থেকে দুই রান দূরে থেকে উইলির ১০০-তম ওয়ানডে শিকার হয়ে ৫১ রানে তিনি থামলে এরপর ব্যাট হাতে যেন ক্ষোভ ঝাড়েন হারিস। বল হাতে এক আসরে সবচেয়ে বেশি রান গোনার ও সবচেয়ে বেশি ছয় হজম করার লজ্জায় ডুবেছেন তিনি। ব্যাট হাতে সেটাই যেন ফেরত দিতে চাইলেন। শেষ ব্যাটার হিসেবে ফেরার আগে ২৩ বলে ৩৫ রানে তাই পাকিস্তানের স্কোরটা সম্মানজনক করেছেন কিছুটা। উইলির বিদায়ী ম্যাচে তার দাপটে অবশ্য ইংল্যান্ড তা সত্ত্বেও পেয়েছে বড় জয়ই।
     

    এর আগে ব্যাটিং নিয়েও শুরুটা আজ দারুণ হয়েছিল ইংল্যান্ডের। জনি বেইরস্টো রানে ফেরার ইঙ্গিত দিলে ডাভিড মালানও যোগ দেন রানের উৎসবে। সেটার জন্য অবশ্য তৃতীয় ওভারেই শাহীন আফ্রিদির ফিরতি ক্যাচ লুফে নেওয়ার ব্যর্থতাকে ধন্যবাদ দিতে পারেন তিনি। সেখান থেকে দুজনে মিলে প্রথম পাওয়ারপ্লেতেই ৭২ রান তুলে ফেলে ইংল্যান্ড। সুযোগ পেয়েও মালান অবশ্য এরপর ইনিংস লম্বা করতে না পারলে ভাঙে ৮২ রানের ওপেনিং জুটি । ইফতিখারকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ৩৯ বলে ৩১ রান শেষে মালান থামলে উইকেটে এসে রুটও এদিন ছিলেন আপন ছন্দে। সেই সুবাদে ৫২ বলে বেইরস্টো ফিফটি পেয়ে গেলে ইংল্যান্ড শতরান পূর্ণ করে ১৬.১ ওভারেই। তবে এক ওভার পরেই রউফের বলে কাভারে সরাসরি ক্যাচ দিয়ে তিনি ৬১ বলে ৫৯ রানে থামলে ইংলিশদের লাগাম টেনে ধরতে পারত পাকিস্তান। তবে ২৪.১ ওভারে উইকেটে আসা স্টোকসের ফিরতি ক্যাচ আবারও লুফে নিতে ব্যর্থ হন আফ্রিদি।
     

    সেই সুযোগে ছুটতে থাকা স্টোকস পরে উইকেটে এসেও ৫৩ বলে পেয়ে যান ফিফটি। জুটি শতরান পূর্ণ করলে এপর রুট ফিফটি পান ৬৫ বলে। মাত্র ৩৪.৩ ওভারেই ২০০ রান পূর্ণ হয়ে গেলে বড় লক্ষ্য গড়তেই এগুচ্ছিল ইংল্যান্ড। সেই সুযোগেই আক্রমণে এসে দুর্দান্ত এক রিভার্স সুইঙ্গিং ইয়র্কারে ৭৬ বলে ৮৪ রান করা স্টোকসের স্টাম্প উপড়ে ফেলেন আফ্রিদি। এক ওভার পরে স্লোয়ারে বিভ্রান্ত করে ৭২ বলে ৬০ রানে থাকা রুটকেও থামান আফ্রিদি।
    পরের ওভারেই শাদাবের বলে দুইবার সুযোগ পান বাটলার! দ্বিতীয়বার তো বাউন্ডারিতে ক্যাচ নিয়ে দড়ি ছুঁয়ে ছয়ই বানিয়ে দেন রউফ। সেই সুযোগে ১৮ বলে ২৭ রান করেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক, সেই রউফের কাছেই রান আউটে কাটা পড়ার আগে। শেষদিকে ইংল্যান্ড একের পর এক উইকেট হারালেও ১৭ বলে হ্যারি ব্রুকের ৩০ রানের ক্যামিও, ৫ বলে ডেভিড উইলির ১৫ রানের ক্যামিওতে বড় সংগ্রহই পেয়েছিল ইংলিশরা। বল হাতেও পরে সেটা পাকিস্তানিদের নাগালের বাইরেই রেখেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।