• " />

     

    ম-তে মঈন, ম-তে (শ্রীলঙ্কার) 'মিস'!

    ম-তে মঈন, ম-তে (শ্রীলঙ্কার) 'মিস'!    

    কী নিদারুণ বৈপীরত্য!

     

    আগের দিনের ফিল্ডিং যেন সব ভুলে বসলো শ্রীলঙ্কা! চারটি অসাধারণ ক্যাচ নেয়া লঙ্কানদের হাত ফসকে বেরিয়েই যেতে লাগলো ক্যাচ। ২ রানেই মঈন আলীর ক্যাচ ফেললেন দিমুথ করুনারত্নে, গালিতে। তবে করুনারত্নেকেও ছাড়িয়ে গেলেন দীনেশ চান্ডিমাল। শামিন্দা এরাংগার বলে এজড হলো ক্রিস ওকসের, চান্ডিমাল যেন বুঝলেনই না!

    আবার এরাংগা, ব্যাটসম্যান এবার মঈন আলী। পুল করলেন মাত্রই সেঞ্চুরি করা মঈন। সিরিবর্ধনে এবার মিস করলেন প্রায় লোপ্পা ক্যাচটা। ইনিংসে শ্রীলঙ্কা ক্যাচ মিস করেনি আর। তবে তার আগেই হয়ে গেছে, শ্রীলঙ্কাকে এই টেস্ট থেকে প্রায় ছিটকে দেয়ার আয়োজনের ‘পরিকল্পনা’।

    ৩৬ রানে জীবন পাওয়া মঈন আলী শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১৫৫ রানে। দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটাকে ‘ড্যাডি হান্ড্রেড’ বানিয়েই ছেড়েছেন উরস্টারশায়ার অল-রাউন্ডার। ১০০ করেছেন চার মেরে, ১৫০-তে পৌঁছেছেন ছয় মেরে!

     

    অথচ দুই বছর আগে একই প্রতিপক্ষের সঙ্গে নিজের প্রথম সেঞ্চুরির পর শুধু জিমি অ্যান্ডারসনকে সান্ত্বনাই দিয়ে গিয়েছিলেন ‘মো’! শেষের আগের বলে আউট হয়েছিলেন জিমি, ম্যাচ হেরেছিল ইংল্যান্ড। বিফলে গিয়েছিল মঈনের প্রথম সেঞ্চুরি।

    দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটা তেমন বিফলে গেলে, কিংবা তার সেঞ্চুরিটা বিফলা করতে শ্রীলঙ্কাকে রীতিমত ‘অঘটন’ ঘটাতে হবে। নিজেদের ফিল্ডিং বৈপীরত্যের দিনে যে ব্যাটিংয়ে কোনো পরিবর্তনই আনতে পারলো না লঙ্কানরা!

     

    হেরাথ-৩০০ উইকেট। শ্রীলঙ্কা- হতাশা। 

     

    দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৩৪ রান, শ্রীলঙ্কার ইনিংসের সর্বোচ্চ। চেস্টার-লি-স্ট্রিটের দ্বিতীয় দিনশেষে ৯১ রান তুলতেই নেই ৮ উইকেট, আশার নিভু নিভু সলতে হয়ে টিকে আছেন লাহিরু থিরিমান্নে। ৩০তম বোলার হিসেবে ৩০০ উইকেট নেয়া রঙ্গনা হেরাথ ৭০ বল খেলে একটু প্রতিরোধ গড়তে চেয়েছিলেন, কিন্তু প্রতিরোধের দেয়াল তো দৃশ্যমান হলো না শেষ পর্যন্ত! থিরিমান্নের সঙ্গী তাই দশম ব্যাটসমান সুরাঙ্গা লাকমাল।

    শ্রীলঙ্কার ঠিক উল্টো ফিল্ডিং করেছে আবার ইংল্যান্ড। ক্যাচ মিস করেও ধরেছেন! শামিন্দার এরাংগার ক্যাচটা হাত ফসকে বেড়িয়ে গিয়েছিল তৃতীয় স্লিপে থাকা জেমস ভিনসের, ডানদিকে হাত বাড়িয়ে তা নিয়েছেন দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়ানো জো রুট! ইংল্যান্ডের যে ছিল পুরো দিনটাই!

    অথচ আগের দিনে ইংল্যান্ডের সঙ্গে ছিল শ্রীলঙ্কারও ভাগ! ইংল্যান্ড ৩১০ রান করেছিল, কিন্তু আশা জাগিয়ে শ্রীলঙ্কাও নিয়েছিল ৬ উইকেট। সে আশায় গুঁড়েবালি, লঙ্কানরা এদিন শুধু ক্যাচ মিসই নয়, করেছেন ফিল্ডিং মিসও! ফলো-অন এড়াতেই এখনও লাগবে ২০৭ রান, সকালবেলা বোলাররা থাকবেন সজীব, নিজের রেকর্ডের মায়া না করে কুক নিশ্চয়ই আরেকবার ফলো-অন করাতেই চাইবেন!

     

    শ্রীলঙ্কা কী চাইবে?

    নতুন একটা দিন আসুক, ব্যাটিংয়ে। যেদিন দেখে বলা যায়, একটা দিন কতোটা পার্থক্য গড়ে দিতে পারে!

    গড়ে দিতে পারে, কী দারুণ বৈপীরত্য!