হেলসের হতাশা আর একটি নো-বল
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের শর্ট লেংথের বলটা ভেতরে ঢুকছিল, মিস করলেন তিনি। প্যাডে লাগলো, আম্পায়ার রড টাকার আঙ্গুল তুলে দিলেন। টাকারের একটা ‘সূক্ষ্ণ’ ভুলে ‘জীবন’ পেয়েও তিন অঙ্কের দেখা পেলেন না অ্যালেক্স হেলস। সিরিজে তৃতীয়বার সেঞ্চুরির ‘আভাস’ পেয়েও ধরে দেখা হলো না! হেডিংলিতে ৮৬, চেস্টার-লি-স্ট্রিটে ৮৩-এর পর লর্ডসে ৯৪। হেলমেট খুলে ব্যাটটা তুলতে অন্তত পাকিস্তান সিরিজ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে ইংলিশ ওপেনারকে।
লর্ডস টেস্টের চতুর্থ দিনের পুরো সকাল জুড়েই যেমন সবাইকে অপেক্ষায় রেখেছিল বৃষ্টি। লাঞ্চের পর খেলা শুরু হলো ঠিকই, কিন্তু বৃষ্টির যাওয়া আসা থামলো না। অ্যালেস্টার কুক হাঁটুর চোট কাটিয়ে নামলেন সাতে, ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো। এর আগে তিন নম্বরের নীচে কখনোই খেলেননি ইংল্যান্ড অধিনায়ক। অ্যালেক্স হেলস এর মাঝে আরেকটা ফিফটি করেছেন, এলবিডাব্লিউয়ের হাত থেকে বেঁচেছেন, বেঁচেছেন বোল্ড হয়েও! সাতে নেমে যেন সাত নম্বরের মতোই ব্যাটিং করলেন কুক, রিভার্স সুইপ করলেন, র্যাম্প শট খেললেন, করলেন স্কুপ। ১২৯তম টেস্টে এসে মারলেন ১১তম ছয়!
নতুন পজিশন, নতুন রুপ!
যখন ইনিংস ঘোষণা করলেন, শ্রীলঙ্কার লক্ষ্য ৩৬২ রান। দিনের বাকী ১২ ওভার, ব্রড-অ্যান্ডারসন-ওকস কুকের মুখে হাসিটা ফোটাতে পারলেন না ঠিক। ২০০৯ সালের পর ইনিংসের প্রথম ওভার করলেন না অ্যান্ডারসন।
দুই ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে ও কুশল সিলভার দুজনই খেললেন ছয় ওভার মানে ৩৬ বল করে। টিকে থাকলেন দুজনই।
তবে সিরিজে প্রথম জয়ের দেখা পেতে ইতিহাস গড়তে হবে শ্রীলঙ্কাকে। গত ৩০ বছরে লর্ডসে চতুর্থ ইনিংসে মাত্র দুবারই ৩৫০ এর বেশী রান হয়েছে। লর্ডসের শেষ দিন কি দেখবে অন্যরকম কিছু?
অবশ্য বৃষ্টিকেও রাখতে হবে সামনে।
লন্ডনের আবহাওয়া আরেকবার হতাশ করতে পারে, অ্যালেক্স হেলসের মতো!